শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

কুমিল্লা ও সুনামগঞ্জের সুষ্ঠু নির্বাচন

ব্যক্তি বা দল নয়, গণতন্ত্রের জয়

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও সংসদের সুনামগঞ্জ-২ আসনের উপনির্বাচন বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে একই দিনে। সিটি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। এই জয়ের মাধ্যমে কুমিল্লা সিটিতে সাক্কু এবং বিএনপি নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছেন। সুনামগঞ্জ-২ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়া সেনগুপ্তা বিপুল ব্যবধানে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে হারিয়েছেন। এই জয়ের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সংসদবেত্তা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনটি ধরে রাখতে পেরেছে। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দলীয়ভাবে অংশ নেয়। এই সিটির প্রথম নির্বাচনে বিএনপি সরাসরি অংশ না নিলেও স্থানীয়ভাবে দলের প্রভাবশালী নেতা সাক্কু একদিকে দলীয় সমর্থকদের সমর্থন এবং অন্যদিকে স্থানীয় রাজনীতির সমীকরণ কাজে লাগিয়ে জয়ী হন। বৃহস্পতিবারের সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপি দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় স্থানীয় এই নির্বাচনে জাতীয় নির্বাচনের আবহ সৃষ্টি হয়। দুই প্রধান দলের শক্তি পরীক্ষার মঞ্চ হিসেবেও আবির্ভূত হয় এই সিটি নির্বাচন। একই দিনে অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জ-২ আসনের নির্বাচনে বিএনপি দলীয়ভাবে অংশ না নিলেও তাদের পরিপূর্ণ সমর্থন ছিল স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতি। এমনকি ২০ দলের নেতা-কর্মীরাও ছিলেন নৌকার প্রার্থীকে হারানোর প্রশ্নে একাট্টা। তার পরও প্রয়াত সংসদবেত্তা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের প্রতি এলাকাবাসীর শ্রদ্ধা এবং নৌকার ক্যারিশমায় প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি ভোটে জিতেছেন জয়া সেনগুপ্তা। একই দিনের নির্বাচনে নৌকা ও ধানের শীষের এই সাফল্যে দলবিশেষের জয়-পরাজয় নিয়ে মূল্যায়নের অবকাশ খুবই কম। তবে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক তাতে ব্যক্তি বা দলবিশেষ নয়, জয় হয়েছে গণতন্ত্রের। নতুন নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করার সক্ষমতা দেখিয়ে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে সক্ষম হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সব পক্ষ যে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে, তাও প্রশংসার দাবিদার। গণতন্ত্রের এই জয়ের ধারা আগামী সব নির্বাচনেও অনুভূত হবে আমরা তেমনটিই দেখতে চাই।

সর্বশেষ খবর