বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

সিটিং বাস সমাচার

চিটিং বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রশংসাজনক

গেটলক, স্পেশাল সার্ভিস বা সিটিং সার্ভিস নামে যাত্রীদের চিটিং করার কুপথ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সদস্যরা। গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তারা ঘোষণা করেছেন আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস কিংবা এ জাতীয় কোনো বাসের চলাচল থাকবে না। যাত্রীদের কাছ থেকে আর অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। প্রতিটি গাড়িতে সরকার নির্ধারিত ভাড়া আদায় করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাসের রুট পারমিটে সিটিং সার্ভিস, স্পেশাল সার্ভিস কিংবা গেটলক সার্ভিস নামে কোনো কিছুর অনুমোদন  নেই। ১৬ এপ্রিল থেকে প্রতিটি বাস রুট পারমিট অনুযায়ী চলাচল করবে। কোথাও কোনো ব্যত্যয় হলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্মর্তব্য, রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থায় যাচ্ছেতাই ধরনের নৈরাজ্য চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সিটিং সার্ভিসের নামে যাত্রীদের কাছ থেকে বিভিন্ন রুটের খণ্ডিত অংশে চলাচলের জন্যও পুরো ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। সিটিং সার্ভিসের নামে যাত্রীদের কাছ থেকে গড়ে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করার পরও অনেক ক্ষেত্রে দাঁড়ানো অবস্থায় যাত্রীদের নেওয়া হচ্ছে। নিয়ম থাকলেও যাত্রীদের টিকিট দেওয়া হয় না। ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বাসের কন্ডাক্টররা বাজে ধরনের বিতর্কেও জড়িয়ে পড়ে। এ নৈরাজ্য বন্ধে বাস মালিকদের উদ্যোগ দৃশ্যত প্রশংসার দাবি রাখে। তবে ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির ঘোষণা তাদের সদিচ্ছার প্রতিফলন না আইওয়াস তা বাস্তবায়নের পর্যায়ে বোঝা যাবে। সন্দেহ নেই, রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থায় যে নৈরাজ্য চলছে তার জন্য পরিবহন মালিক বা পরিবহন শ্রমিকরা এককভাবে দায়ী নয়। এর এক বড় অংশের দায় ট্রাফিক পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। তাদের চাঁদাবাজির কারণেই গণপরিবহন খাত বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। চাঁদা দেওয়ার ক্ষেত্রে কেউ আপত্তি তুললেই পুলিশ তার গাড়ি রিক্যুইজিশনে নেয়। এ জন্য যে ভাড়া দেওয়া হয় তা গাড়ি চালক কিংবা হেলপার কারোর বেতনও ওঠে না। পরিবহন খাতে সুস্থতা ফিরিয়ে আনতে হলে পুলিশের গাড়ি রিক্যুইজিশন বাণিজ্যের অবসান ঘটাতে হবে। বন্ধ করতে হবে রাজনৈতিক টাউটদের চাঁদাবাজি। পরিবহন খাতে বিদ্যমান সব ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম রুখে দিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর