বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

দুনিয়ার সবচেয়ে পঠিত গ্রন্থ কোরআন

মাওলানা মুহাম্মদ সাহেব আলী

পবিত্র কোরআন হলো মহান আল্লাহর বাণী। মানব সমাজকে সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করতে এই আসমানি কিতাব নাজিল হয়। দুটি দুনিয়ার সবচেয়ে পঠিত গ্রন্থ।

পবিত্র কোরআনের সূরা কালামের ৫২ নম্বর এবং সূরা তাকভীরের ২৭ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছে— ‘কোরআন তো বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ।’ মানুষকে সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করার জন্য পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। সূরা আয জুমার-এর ২৩ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছে— ‘আল্লাহ অবতীর্ণ করিয়াছেন উত্তম বাণীসংবলিত কিতাব যাহা সুসমঞ্জস্য এবং যাহা পুনঃপুন আবৃত্তি করা হয়।’ স্বয়ং আল্লাহ সাক্ষী দিয়েছেন কোরআন হলো সর্বোত্তম কিতাব। তিনি এটি বারবার পাঠের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেছেন।

পবিত্র কোরআন পাঠের প্রয়োজন কেন? এটি বারবার পাঠের প্রয়োজন এ জন্য যাতে মানুষ তার স্রষ্টার নির্দেশাবলি সম্পর্কে অভিহিত হতে পারে এবং সদাসর্বদা স্মরণ রাখতে পারে। আল্লাহ তার প্রিয় হাবিব সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ রসুল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ ঐশী গ্রন্থ পবিত্র কোরআন নাজিল করেছেন। মানব জাতির পথ প্রদর্শক ও উপদেশদানের জন্য অবতীর্ণ এই পবিত্র গ্রন্থকে আমল করা প্রতিটি মুমিনের কর্তব্য। কোরআন মুমিনদের সত্য অন্বেষণের সুযোগ দেয়, মিথ্যাকে পরিত্যাগের তাগিদ দেয়। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোরআন পাঠের তাগিদ দিয়েছেন এবং বলেছেন কেয়ামতের দিনে কোরআন তার পাঠকদের জন্য শাফায়াতকারীর ভূমিকা পালন করবে। (মুসলিম শরিফ)

পবিত্র কোরআনে মানুষের জীবনের চলার পথের দিশা দেওয়া হয়েছে। মানুষের ব্যক্তি, পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয়জীবন কেমন হবে তার আলোকপাত রয়েছে কোরআনে। ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কল্যাণের পথ বাতলে দিয়েছে এই মহাগ্রন্থ। কোরআন শুধু পাঠ করলেই চলবে না, এ পবিত্র গ্রন্থকে আত্মস্থ করতে হবে। কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজেকে গড়তে হবে। আল্লাহ আমাদের কোরআন পড়ার ও অনুধাবন করার তৌফিক দান করুন।

     লেখক : ইসলামী গবেষক।

সর্বশেষ খবর