শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

জঙ্গিবাদ ইসলাম পরিপন্থী

শান্তির শত্রুদের রুখতে হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দেশের আলেম-ওলামাদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, ইসলাম পবিত্র ও শান্তির ধর্ম। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই, এই সঠিক বার্তাটি মানুষের কাছে আলেম-ওলামাদেরই পৌঁছে দিতে হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে পবিত্র কাবা শরিফ মসজিদুল হারাম ও মসজিদুন নববীর ইমামও বক্তব্য দেন। তারা স্পষ্টভাবে বলেন, ইসলামে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। জঙ্গিবাদের নামে যারা মানুষ খুনের সঙ্গে জড়িত, তাদের স্থান হবে জাহান্নাম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসলামের নামে জঙ্গিবাদের অপচর্চা যখন এই পবিত্র ধর্ম ও মুসলমানদের ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করছে ঠিক সেই সময়ে ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য গুরুত্বের দাবিদার। বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। এ দেশের মানুষের ধর্মনিষ্ঠাও দুনিয়াজুড়ে নন্দিত। বাংলাদেশের মানুষ ইসলামের শান্তি ও মানবতার বাণীকে ধারণ করে চলেছে শত শত বছর ধরে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে নজির এ দেশে বিরাজ করছে, তাও নজিরবিহীন। কিন্তু ইসলাম ও মানবতার শত্রুরা বাংলাদেশেও জঙ্গিবাদের তত্পরতার মাধ্যমে শান্তির পরিবেশকে কলুষিত করার চেষ্টা করছে। ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে তারা সামাজিক শান্তি নষ্ট করতে চাচ্ছে। ইসলামে মানুষ হত্যা কবিরা গুনা। যে গুনার কোনো মাফ নেই। জঙ্গিরা নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে সেই পাপই করে চলেছে। শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম ইসলামের মর্যাদা কলুষিত করেছে অশান্তি ও অকল্যাণের প্রতিভূরা। বাংলাদেশের মানুষ যখন একাত্তরে অর্জিত রাজনৈতিক স্বাধীনতার ভিত্তিতে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা মজবুত করার লড়াইয়ে লিপ্ত, তখন বিবেক বিক্রেতা বিদেশি অপশক্তির এজেন্টরা ১৬ কোটি মানুষের সেই প্রয়াসকে প্রতিহত করার চক্রান্তে লিপ্ত। দেশকে অচিরেই মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে, উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন জিইয়ে রাখতে হলে জঙ্গি নামের নোংরা জানোয়ারদের প্রতিহত করতেই হবে। রুখে দাঁড়াতে হবে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের উপাসকদের বিরুদ্ধে। গড়ে তুলতে হবে জাতীয় ঐক্য। ঐক্য গড়ার ক্ষেত্রেও দেশের আলেম-ওলামাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর