শিরোনাম
রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

সব কাজের জন্যই শিক্ষক প্রয়োজন

আল্লামা মাহমুদুল হাসান

রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন— দেখ, আমি যেভাবে নামাজ পড়ি সেভাবে তোমরা নামাজ পড়। তোমার মনমতো নামাজ পড়লে হবে না। কেউ কোনো কাজ মনমতো করতে পারে না, সিস্টেম আছে, ফর্মুলা আছে, নিয়ম আছে। দুনিয়ার কাজ যেরকম নিয়ম অনুযায়ী হয়, আখেরাতের কাজেরও সিস্টেম আছে, নিয়ম আছে। দুনিয়ার কাজ শিক্ষা দেওয়ার জন্য শিক্ষক আছে। আখেরাতের কাজ শিক্ষা দেওয়ার জন্য আল্লাহপাক মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পাঠিয়েছেন। এরপর উলামায়ে কেরাম। যারা কেয়ামত পর্যন্ত থাকবেন। মানুষকে দীন শিক্ষা দেবেন।

সুন্নত আর এখলাস হলে এরপরে প্রয়োজন হয় মেধার। শুধু শরীর আর আত্মা আছে মেধা নেই, সে পাগল। ওই মেধা তৈরি করার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআন দান করেছেন। এটা মেধার খোরাক। আমাকে সৃষ্টি করেছেন, আমার অভীষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন, আমার শরীরের জন্য, আত্মার জন্য, দুনিয়া ও আখেরাতে সফলকাম হওয়ার জন্য পবিত্র কোরআন পাঠিয়েছেন। পৃথিবীর সব মানুষের জন্য, বিশেষ করে মুসলমানের জন্য। কোরআন ছাড়া মুসলমানের দুনিয়ার শান্তি ও আখেরাতের সফলতা অর্জনের বিকল্প কোনো পথ নেই। আল্লাহপাক আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন। আমলের মধ্যে এখলাস দান করুন! সব আমল সুন্নত মোতাবেক করার তাওফিক দান করুন!

এখলাস খুব সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়, ইচ্ছা করলেই পাওয়া যায় না। এখলাস ওহির মতো একটা জিনিস। ওহি আল্লাহর বাণী। এখলাসও তাই। আরবিতে বলা হয় এলখাস এটা আল্লাহর ভেদ, ওহি আল্লাহর ভেদ। পার্থক্য এই যে, ওহি ইচ্ছা করলে, চেষ্টা মেহনত করলে পাওয়া যায় না। মেহনতের ওপর নির্ভরশীল না। যেমন চাকরি পেতে হলে এমএ পাস করতে হবে কিন্তু এমএ পাস করলেই চাকরি পাব এর নিশ্চয়তা নেই। ওহি আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে দেন। তবে তাকেই দেন যিনি যোগ্য। অযোগ্যকে দেন না। এমনিভাবে কোরআন তেলাওয়াত করার তাওফিক সবার হয় না, কোরআন বোঝার তাওফিক সবার হয় না। আবার বুঝলেও আমল করার তাওফিক পায় না। যাকে আল্লাহ তাওফিক দেন কেবল সেই কোরআনের অধিকারী হয়, সেই কোরআন বোঝে ও আমল করে।

বলছিলাম ওহি চেষ্টা করে পাওয়া যায় না, কিন্তু এখলাসের পেছনে মেহেনত-মুজাহাদা করলে আল্লাহপাক এখলাস দান করেন। এই হলো দুটির মধ্যে পার্থক্য। এখন কথা হলো এখলাসের জন্য কী মেহেনত করব আমি? সবচেয়ে উত্তম আমল হলো নামাজ।  এর চেয়ে উত্তম আর কোনো আমল নেই। এখন ্প্রশ্ন, নামাজ আমি কীভাবে পড়ব? রসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে পড়েছেন আমাদের সেভাবে নামাজ পড়তে হবে।

লেখক : খতিব, গুলশান সেন্ট্রাল জামে মসজিদ, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর