সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

সম্পর্কের সেতুবন্ধ

বিকশিত হোক সর্বব্যাপী অংশীদারিত্ব

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের মাধ্যমে দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী সম্পর্ক এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। রচিত হয়েছে বহুমুখী সম্পর্কের এক সেতুবন্ধ। এই সফরকালে দুই দেশের মধ্যে ৬ চুক্তি ও ১৬টি সমঝোতা স্মারকসহ ৩৪টি দলিল স্বাক্ষরিত হয়েছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের চুক্তিতে উপনীত হওয়া না গেলেও ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দেওয়া হয়েছে সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি। বলা হয়েছে শেখ হাসিনা ও মোদির নেতৃত্বাধীন দুই সরকারের আমলেই তিস্তা চুক্তি সম্পাদিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে তার প্রতি যে সম্মান দেখানো হয়েছে তা অতুলনীয়। প্রটোকল ভেঙে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতি ভবনে রেখে সর্বোচ্চ আতিথ্যের নজির রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বহুল আলোচিত সফরকালে ভারত বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণদানের ঘোষণা দিয়েছে। সামরিক খাতের কেনাকাটা বাবদ বাংলাদেশ ৫০০ কোটি ডলারের আরেকটি ঋণ সুবিধা পাবে ভারতের কাছ থেকে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশি নেত্রীর দিল্লি সফরের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সোনালি অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, দুই দেশের এই নবযাত্রায় উন্নত হবে পুরো দক্ষিণ এশিয়া। দুই দেশের যৌথ বিবৃতিতে দুই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বের চেয়েও অনেক বেশি। ভ্রাতৃত্বের বন্ধন, সার্বভৌমত্ব, সমতা, আস্থা ও বোঝাপাড়ার ওপর প্রতিষ্ঠিত সর্বব্যাপী অংশীদারিত্বের এই সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেছেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে ৫২ বছর বন্ধ থাকার পর খুলনা-কলকাতা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এ ট্রেন যোগাযোগ দুই দেশের মানুষের সহজ ও নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করবে। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে বহুল প্রত্যাশিত তিস্তা চুক্তি সম্পাদিত হবে এমনটিই আশা করেছিল বাংলাদেশের মানুষ। যে আশা পূরণ না হলেও দুই সরকারের বর্তমান মেয়াদে তিস্তা চুক্তি সম্পাদনের ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসকে আমরা একটি বড় অর্জন হিসেবে ভাবতে চাই। বন্ধুত্বকে পাকাপোক্ত করার স্বার্থে এ ওয়াদার বাস্তবায়ন হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর