শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

একাল সেকাল

মাকিদ হায়দার

একাল সেকাল

এক যে আছে মজার দেশ সব রকমের ভালো,

রাত্রিতে বেজায় রোদ দিনে চাঁদের আলো

কবি যোগীন্দ্রনাথ সরকার তার রচিত কবিতাটির নামও দিয়েছিলেন ‘মজার দেশ’। ব্রিটিশ-শাসিত ভারতবর্ষে হাজার রকমের বিচিত্র মানুষের সঙ্গে বোধকরি কবির পরিচয় হয়েছিল। পরিচয় না ঘটলে ওইরকম একটি ব্যঙ্গাত্মক পদ্য হয়তো বা তিনি কখনই রচনা করতেন কিনা তাতে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। অষ্টাদশ থেকে বিংশ শতাব্দীতে যেসব কবি, ছড়াকারের রচনা, সেকালের পাঠকদের কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত হয়েছিল তাদের মধ্যে ঈশ্বরগুপ্তের নামই সর্বাগ্রে উচ্চারিত হয়। কেননা গুপ্তের শ্লেষাশ্রিত ছড়ায় তৎকালীন বঙ্গ সমাজের নানাবিধ চিত্র এমনকি কলকাতার দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় মশা-মাছিদের যে হারে উপদ্রব বেড়েছিল তাও তিনি জানিয়েছিলেন।

‘রেতে মশা, দিনে মাছি

এই নিয়ে কলকাতা আছি’

এমনকি স্বদেশের কুকুরকে গুরুত্ব না দিয়ে বিদেশি কুকুরদের প্রতি ইংরেজ প্রভুদের দিকেই তিনি ইঙ্গিত করতেও দ্বিধাবোধ করেননি। বাঙালিদের যে প্রভুভক্তি তারই সন্তুষ্টি চিত্ররূপ অল্পকথার ভিতরে রসিকতার ছলে তিনি তার পাঠকদের জানাতে দ্বিধাবোধ করেননি ঘুমন্ত জাতিকে। সেই সময়ের আরও অনেকেই ছড়া, গদ্য, পদ্য লিখে সুনাম অর্জন করলেও আমাদের পড়ালেখার জীবন ও ঈশ্বরগুপ্তকেই ব্যঙ্গাত্মক লেখক হিসেবেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন আমাদের শিক্ষকরা। বিশেষত জগন্নাথ কলেজে পাঠকালে, উচ্চমাধ্যমিকের বিশেষ বাংলার ছাত্র ছিলাম আমি, ঔপন্যাসিক বুলবুল চৌধুরী, প্রাবন্ধিক গাজী আজিজুর রহমানসহ আরও অনেকেই বিশেষ বাংলার ক্লাসগুলো নিতেন প্রফেসর অজিত গুহ, ঔপন্যাসিক শওকত আলী, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, শামসুজ্জামান খান তারা আমাদের জানিয়েছিলেন ব্যঙ্গাত্মক রচনায় ঈশ্বরগুপ্তই শ্রেষ্ঠ। মাইকেল বিহারীলাল, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, সমাজ সংস্কারক রাজা রামমোহন রায়, এমনকি রবীন্দ্রনাথ নিজেও, ওই ঈশ্বরগুপ্তের মতো ব্যঙ্গাত্মক কিছু রচনা লিখেছিলেন কিনা, সে কথা আমার জানা নেই।

ঈশ্বরগুপ্তের মৃত্যুর পর মাঝখানে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে, এমনকি এক বিংশ শতাব্দীতে ছড়াকার, পদ্যকার, গদ্যকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখে চলেছেন, ভবিষ্যতেও লিখবেন সে কথা বলা নিষ্প্রয়োজন। ঈশ্বরগুপ্তেরই উত্তরাধিকার হিসেবেই আমার মননে, মানসে স্থায়ী হয়ে আছেন যোগীন্দ্রনাথ সরকারের তার মজার দেশ নামক কবিতাটি। মজার দেশ কবিতাটির প্রথম দুটি চরণ আমার স্মরণে থাকলেও স্মরণে ছিল না কবির নাম। উপায়ন্তর না পেয়ে দুজন ছড়াকারের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। এদের একজন ওয়াসিক-এ খোদা, অন্যজন ছড়াকার কবি, সাংবাদিক অনুজপ্রতিম আলী হাবীব। হাবীব মুহূর্তের ভিতরেই জানিয়েছিলেন কবির নাম এবং শুনিয়ে দিলেন পুরো কবিতাটির সব কটি চরণ, ওয়াসিক-এ খোদা শোনালেন কয়েকটি চরণ। দুজনার স্মৃতিকে মনে মনে ধন্যবাদ না দিয়ে পারলাম না। কেননা সেই ১৯৫৬ সালে পাবনা জিলা স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়কাল পর্যন্ত অজস্র কবি, লেখক, ছড়াকারের লেখা পড়েছি। রবিঠাকুর, নজরুল, ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, জসীমউদ্দীন, জীবনানন্দ থেকে শুরু করে অনেক নাম না জানা কবির কবিতাও আমাদের পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তার মধ্যে সিলেটের এক কবি ছিলেন প্রজেশ কুমার রায়। তার কবিতার একটি চরণও আজ মনে নেই। সম্ভবত প্রজেশ কুমার রায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তি থাকার সুবাদে পাঠ্যবইয়ে নিজের অপাঠ্য কবিতাটিকে পাঠ্য করেছিলেন। কিন্তু কালের ধুলায় কবি এবং কবিতা দুটো হারিয়ে গেলেও হারায়নি ঈশ্বরগুপ্ত, বিহারীলাল, কামিনী রায় অথবা কুসুম কুমারী দাশ। কবি কুসুম কুমারী দাশ লিখেছিলেন একটি বিখ্যাত কবিতা। ‘আমাদের দেশে সেই ছেলে কবে হবে। কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।’ কবির ভবিষ্যদ্বাণী দীর্ঘকাল পরে অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল, বাংলাদেশ প্রতিদিনে বৃহস্পতিবার ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখের একটি বিশেষ ছবি এবং খবরের দিকে দৃষ্টিপাত করতেই লাখ লাখ পাঠককে যেন চমকিত করেছিল।  চিত্র ও সঙ্গের সংবাদটি পাঠ করার পর মনে হলো পৃথিবীর কবিরা যে ভবিষ্যত্দ্রষ্টা তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

কবি জীবনানন্দ দাশের মা কবি কুসুম কুমারী হয়তো স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি, তার লেখা কবিতাটির সার্থকতা পাবে। বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের নীলকমল উছমানিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উৎসবে শিক্ষার্থীদের পিঠের ওপর দিয়ে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির কম্পিত পায়ে হেঁটে যাওয়ার দৃশ্য দেখে হতভম্ব হয়ে গেলাম। সঙ্গে সঙ্গে কুসুম কুমারীর কবিতাটির কয়েকটি চরণ মনে পড়ল। জনপ্রতিনিধি যে বড় নির্বোধ ভাবতে নিজের কাছেই লজ্জা লাগল। সেসব কোমলমতি বালকের কাঁধের ওপর হাইমচর উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব পাখির মতো দুই ডানা মেলে দিয়ে বোধকরি দূরদূরান্তে উড়ে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। কবি কুসুম কুমারী বোধকরি জানতেন এই ছেলেটি সেই ছেলেটি যাকে নিয়ে শত শতাব্দীতে রচনা করেছিলেন সেই বিখ্যাত কবিতাটি। সপ্তাহ পেরোতে না পেরোতেই আরেক হঠাৎ ধনীর কর্মকাণ্ড সমগ্র বাংলাদেশ ছড়িয়ে পড়ল। রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ীর উত্তরদিকে একদার এক খরস্রোতা নদী করতোয়ার উত্তরে যেসব মহল্লা আছে তার ভিতর দরগাপাড়া, মনিরামপুর, বারাদি নতুনপাড়া এ তিনটি মহল্লার বাসিন্দা হয়তো তিনি কিনা, আমি না জানলেও জানি শাহজাদপুরের মেয়র হালিমুল হক। জনপ্রতিনিধি জনাব হকের শর্টগানের গুলিতেই সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আবদুল হালিম নিহত হয়েছিলেন। এক বৃহস্পতিবারে। তারিখ ওই একই ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭। ক্ষমতাসীন দলের দুই পক্ষে সংঘর্ষের সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে সাংবাদিক হালিম নিহত হলেন, দেশটি যে আসলেই মজার, তাতে ভুল নেই, ঠিক তার কয়েক দিন আগের এক বৃহস্পতিবার আরও একটি মজার ঘটনা ঘটেছিল, বৃহত্তর ময়মনসিংহের জামালপুর জেলার মেলান্দহে।

আমার কর্মজীবনে বেশ কয়েক বছর বৃহত্তর ময়মনসিংহের বিভিন্ন জেলায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থায় ঊর্ধ্বতন নির্বাহী হিসেবে যুক্ত ছিলাম। ১. ঋণদান, ২. নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করা, ৩. মহিলাদের কর্মকাণ্ডে আর্থিক সহায়তা দান এবং বেকারত্ব মোচনের জন্য সরকারের দেওয়া যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করাই বিসিকের মূল লক্ষ্য। তখন জামালপুর জেলার বিসিকের দায়িত্বে ছিলেন ড. আমিনুল ইসলাম। সহকারী মহাব্যবস্থাপক ছিলেন তিনি। ময়মনসিংহ থেকে একদিন তাকে জানালাম, আগামী পরশু জামালপুর যাব, জামালপুর বিসিক শিল্পনগরীর কার্যকলাপ স্বচক্ষে দেখতে, সেই সঙ্গে দেখব আশেক মাহমুদ কলেজ। ইচ্ছা আছে ওই কলেজের যিনি প্রতিষ্ঠাতা, কিংবা তার কোনো উত্তরাধিকারের যদি দেখা পাই জেনে নেব জমিদাতা, জনাব তালুকদার সাহেবের কত হাজার বিঘা জমি ছিল— তিনি জমি দান করার পরে কোনো শিক্ষক বা ছাত্রের কাঁধের ওপর দিয়ে হেঁটে গিয়েছিলেন কিনা।

কেন যে কথাটি মনে হয়েছিল জানি না। সরকারি জিপে চেপে যথারীতি জামালপুর পৌঁছে মনে  পড়ল বকুলতলার সেই বিখ্যাত অ্যাডভোকেট আবদুস সোবহানের কথা আরও মনে পড়ল তার বাড়িতে দুই রাত যাপনের স্মৃতি। জামালপুর গিয়েছিলাম ১৯৮২ সালে কবিতা পাঠ করতে, কবি মোহাম্মদ রফিকসহ বেশ কয়েকজন কবি। অনুজ জাহিদ হায়দারও ছিল সে যাত্রায়। অ্যাডভোকেট সোবহান ও তার কন্যা মিতু আমাদের অবারিত অ্যাপায়ন করেছিলেন তাদের বকুলতলার বাড়িতে। আজ সেই বকুলতলা পাড়ি দিতে গিয়ে মনে পড়ল হারানো অতীতের কথা।

ইচ্ছা করেই জিপটাকে রাস্তার মাঝে থামিয়ে দিয়ে একজন বয়স্ক লোককে জিজ্ঞাসা করলাম মেলান্দহ কোন দিকে। তিনি সম্ভবত পশ্চিম-উত্তর দিকটা দেখিয়ে বললেন আপনারা কি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের লোক। প্রশ্নকর্তা যে শিক্ষিত বুঝতে মোটেও অসুবিধা না হওয়ায়, বললাম কেন? তিনি বললেন যমুনা ভাঙনে এই অঞ্চলের অনেক বাড়িঘর, মসজিদ-মন্দির, স্কুল ইতিমধ্যেই বিলীন হয়ে গেছে কিছুদিন যাবৎ শুনছি সরকার নাকি স্কুল-কলেজ অচিরেই বানিয়ে দেবে। ভদ্রলোককে থামিয়ে দিয়ে বললাম, আমরা বিসিকের লোক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নই। তিনি তখন চায়ের নিমন্ত্রণ জানাতেই বললাম আজ রাত জামালপুর থেকে আগামীকাল মেলান্দহ শেরপুর যেতে হবে, জামালপুর এবং শেরপুরের দূরত্ব মাত্র ১২ থেকে ১৬ মাইল হলেও মেলান্দহ বেশ দূরে। ভদ্রলোককে ধন্যবাদ জানিয়ে বকুলতলা পেরিয়ে চলে এলাম ড. ইসলামের অফিসে। রাতান্নের পর আমিনুলকে জিজ্ঞাসা করলাম, মেলান্দহ ইসলামপুর দেওয়ানগঞ্জ এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সেই বিখ্যাত জামালপুর এখান থেকে কতদূর। তিনি জানালেন কামালপুর ভারতের মেঘালয়ে। দেওয়ানগঞ্জ ইসলামপুর মেলান্দহ আমাদের বাংলাদেশের ভিতরেই। আজ দীর্ঘদিন যাবৎ সেই মেলান্দহ উপজেলাটি সমগ্র বাংলাদেশে আলোড়ন তুলেছে; বিশেষ একটি সংবাদে। ২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ২০১৭ সালে বার বার মেলান্দহ নামটি মনে পড়ার কারণ বলব একটু পরে, তার আগে বলতে হবে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সেই স্লোগানটির কথা। ‘আমরা জনগণের সঙ্গে’ পত্রিকাটির স্লোগানটি সার্থক। সেই সার্থকতার মধ্যেই প্রতিদিন প্রতিনিয়তই জনগণের সামনে তুলে ধরছে সব রকমের সংবাদ। কিছু কিছু সংবাদ পাঠান্তে ভাবতে হয়— এটা কী করে সম্ভব। ফেব্রুয়ারির ২ তারিখের বাংলাদেশ প্রতিদিনের সংবাদ এবং দুটি ছবি দেখে লজ্জায় পড়ে গেলাম। সংবাদটির কিছু ভাষ্য তুলে ধরা যেতে পারে। কেননা, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে অনেকেই রাতারাতি ধনী হয়েছেন, প্রচুর জমিজমার মালিক হয়েছেন, তেমনি এক ধনী ব্যক্তি যিনি মেলান্দহের একটি স্কুলের জমিদাতা। সেই অধিকারে তিনি ছাত্রদের শরীরের ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হয়তো ভেবেছিলেন ছোটকালে খেজুর গাছে অথবা বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়, পায়ে ছিল না স্যান্ডেল, খেজুর কাঁটার আঘাত কিংবা পা ফসকে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে হাঁটতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন, সেই কথা স্মরণে আসতেই হঠাৎ সদ্য ধনী হওয়া জমিদার স্কুলের জন্য জমি দান করার আগেই স্থির করেছিলেন, যদি মানবসেতুর ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে পারি তবেই এ জীবন সার্থক, ধন্য। তিনি কি পারতেন তার ছেলে বা মেয়ের কাঁধের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে? নিশ্চয়ই পারতেন না। তিনি তার সব ধরনের মানবিকতাকে জলাঞ্জলি দিয়ে কোমলমতি বালক-কিশোরদের কাঁধের ওপর দিয়ে হি হি করে হাসতে হাসতে পাড়ি দিলেন অনন্ত আনন্দে। যেহেতু তিনি স্কুলের জমিদাতা। তিনি মুক্তাগাছার, কিংবা ময়মনসিংহের জমিদার শশীকান্ত রায় নন।

অন্যদিকে হাইমচরের সেই জনপ্রতিনিধি যিনি কোমলমতিদের কাঁধের ওপর দিয়ে হেঁটেছেন, তিনি ইতিমধ্যেই পাঠকদের মনেপ্রাণে গেঁথে আছেন একজন নির্লজ্জ ব্যক্তি হিসেবে। উপরন্তু তিনি একটি দলের মহান মহাজন ব্যক্তি তাই তিনি জুতা পায়ে দিয়ে পাড়ি দিলেন হাসিমুখে, অতি আনন্দে এবং সফলভাবে। বিষয়টি কত বড় যে মর্মান্তিক তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আফ্রিকার রাজা হাইলে সেলাসি যদি মানুষের কাঁধে চড়ে ভ্রমণ করতে পারেন তাহলে কেন বাংলাদেশের হাইমচরের সেই ব্যক্তি কিংবা জামালপুরের মেলান্দহের জমিদাতা কেন পারবেন না, নবীন কিশোরদের বুকের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে? মেলান্দহের একটি স্কুলের জমিদাতা দিলদার হোসেন প্রিন্স, আসলেই সৌরজগতের প্রিন্স তিনি, সে কথা জানিয়েছে পাঠকপ্রিয় পত্রিকা বাংলাদেশ প্রতিদিন। আমার মনে হয় হাইমচরের নেতা, কিংবা মেলান্দের জমিদাতা, তারা বোধকরি সবকিছুর ওপরে নয় তো তাদের কী ধরনের শাস্তি দেওয়া হলো এখনো জানা গেল না। তারা যদি ক্ষমতার এবং অর্থের মোহে অন্ধ হয়ে থাকেন, টাকা-ক্ষমতা জমি দিয়ে সবকিছু ভুলিয়ে দিতে চান; তাহলে তাদের নির্বাসন হওয়া উচিত পাবনার হেমায়েতপুরের মানসিক হাসপাতালে, তাদের নিবুর্দ্বিতার শাস্তি এটাই হওয়া বাঞ্ছনীয়।

     লেখক : কবি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর