বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

তিস্তার পানি আসবেই

প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তা প্রশংসার দাবিদার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভারত সফর সম্পর্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন তিস্তার পানি আসবেই। তা কেউ আটকে রাখতে পারবে না। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কথা দিয়েছেন, তার সরকারের মেয়াদের মধ্যেই তিস্তা চুক্তি সম্পাদিত হবে। ভারত সফরকালে দুই দেশের মধ্যে ৩৫টি দলিল সইয়ের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এর মধ্যে ১১টি চুক্তি ও ২৪টি সমঝোতা স্মারক। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি চেয়ারপারসনের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন তিনি জাতির পিতার কন্যা। তার বাবা কখনো দেশের স্বার্থ বিকিয়ে রাজনীতি করেননি। ভারত সফরকে সফল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তিনি সে দেশে কিছু চাইতে যাননি। বন্ধুত্ব চাইতে গিয়েছিলেন— বন্ধুত্ব পেয়েছেন। বাংলাদেশের জনগণের জন্য সম্মান পেয়েছেন। তা তার সফরের বড় অর্জন। প্রধানমন্ত্রী তিস্তার পানি বণ্টন সম্পর্কে তার সরকারের যে দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরেছেন তা প্রশংসার দাবিদার। ভারত তিস্তার পানির সমবণ্টনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ থেকে সরে আসার সুযোগ নেই। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের সঙ্গে এ চুক্তির বিষয়ে যে মত পার্থক্য রয়েছে তা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ আজ যারা অভিযোগ করেছেন তাদের আমলেই বিদেশের সঙ্গে গোপন চুক্তি হয়েছে। তিস্তার পানি নিয়ে যারা বড় কথা বলছেন তাদের আমলে গজলডোবায় বাঁধ দেওয়া হলেও কেউ কথা বলেননি। অতীতের কোনো সরকার তিস্তার পানি নিয়ে ‘টুুঁ’ শব্দটি করেনি। এমনকি সীমান্ত জটিলতার সমাধানেও কোনো সরকার ভারতকে চাপ দেয়নি। এ জন্য জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়াকে জনগণের কাছে জবাব দিতে হবে। ভারত সফর সম্পর্কে মহলবিশেষের দেশ বিক্রির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীর সোজা-সাপটা জবাব প্রশংসার দাবিদার। আমরা মনে করি রাজনীতিকে যারা কাদা ছোড়াছুড়ির অঙ্গন হিসেবে ব্যবহার করতে চান তাদের স্বরূপ উন্মোচনে এ যাবৎ কোন সরকারের আমলে কতটি গোপনচুক্তি হয়েছে তা প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। রাজনীতির নামে যারা নোংরামির অভ্যাসে ভুগছেন, তাদের বোধোদয় সৃষ্টিতেও এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর