মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

অবান্তর প্রলাপ

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)

অবান্তর প্রলাপ

৭-১০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর বেশ কিছু দিন যাবৎ বাংলাদেশের মিডিয়ায় টপ আইটেম হিসেবে চলছে। আগামীতেও এটা নিয়ে কথা চলতে থাকবে। এর সঙ্গত কারণও রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৬ বছরের খেরোখাতার পাতা ওল্টালে দেখা যাবে দুই দেশের মানুষের রক্তের মিশ্রণে রচিত অপার সম্ভাবনাময় বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রত্যাশা অনুযায়ী সব সময় বজায় থাকেনি। ১৯৭৫ সালের পর থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত, দীর্ঘ ২১ বছর ধারাবাহিকভাবে সম্পর্ক ক্রমে শীতল থেকে শীতলতর হয়েছে; যার ফলে হিন্দু-মুসলমান দুটি আলাদা জাতি ও পরস্পরের শত্রু, এ রকম চরম অবাস্তব একটি তত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালে দেশভাগের লেগেসির সূত্র ধরে দুই দেশের মধ্যে তৈরি সমস্যাগুলো জটিল আকার ধারণ করে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে দুই দেশের সম্পর্ক ইতিবাচক একটা টার্ন নিতে কেবল শুরু করেছিল। এ সময় প্রথমবারের মতো দুই দেশের মধ্যে বহুল প্রত্যাশিত গঙ্গার পানিবণ্টনের দীর্ঘমেয়াদি ৩০ বছরের চুক্তি হয়। দ্বিতীয় পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৯৭৬ সাল থেকে শুরু হওয়া ভ্রাতৃঘাতী সশস্ত্র বিদ্রোহের অবসান ঘটে, স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি। ৬২ হাজার উপজাতীয় শরণার্থী ভারত থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে তাদের নিজ বাড়িঘরে ফেরত আসে। এ চুক্তিটি তৃতীয় পক্ষের সংশ্লিষ্টতা ছাড়া সম্পন্ন হলেও নেপথ্যে ভারতের একান্ত আন্তরিক সহযোগিতা ও সমর্থন না থাকলে তা সম্ভব হতো না। এটা বাংলাদেশের জন্য যে কত বড় অর্জন তা বিশ্বের দিকে তাকিয়ে একটু ভাবলেই বোঝা যায়। পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র বিদ্রোহ আরও দীর্ঘায়িত হলে এবং তার সমাধান করতে না পারলে সেটা এতদিনে আমাদের রাষ্ট্র ও ভূখণ্ডগত নিরাপত্তার জন্য ভয়ানক হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারত। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ব্যাপারে সমর্থন দেওয়ার পেছনে ভারতের প্রত্যাশা ছিল বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও তারা একই রকম সাড়া পাবে। কিন্তু ২০০১-২০০৬ মেয়াদে চরমভাবে ভারতের আশাভঙ্গ হয়। তখনকার জামায়াত-বিএনপি সরকার ভূ-রাজনীতি ও সামরিক সমীকরণে শুধু পাকিস্তানকে সুবিধা দেওয়ার জন্য ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অস্ত্রশস্ত্রের চালানসহ সব রকমের সমর্থন ও সহযোগিতা দিতে থাকে। তখন জামায়াত-বিএনপি সরকারের একজন সিনিয়র মন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে ভারতের বিদ্রোহীদের উদ্দেশ করে বলেন, ওরা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে, তাই ওদের বাংলাদেশের সমর্থন করা উচিত। একাত্তরের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য জুলফিকার আলী ভুট্টো ১৯৭২ সালে ঘোষণা দেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে সমর্থন দিয়ে উপমহাদেশে আরও কয়েকটি বাংলাদেশ সৃষ্টির দ্বার উন্মোচন করে দিলেন ইন্দিরা গান্ধী।’ ভুট্টোর এই ঘোষণার প্রতিফলন দেখা যায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোকে ঘিরে, যেখানে ২০০১-২০০৬ মেয়াদে জামায়াত-বিএনপি সরকার ভারতের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের ইন্ধন জোগাতে পাকিস্তানের পক্ষে প্রক্সি দেয়। সে সময় ভারতের সশস্ত্র বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইকে পার্বত্য চট্টগ্রামে জায়গা করে দেওয়া হয়। ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে ধরা পড়া ১০ ট্রাক অস্ত্র পাচারের চেষ্টা এসব তত্পরতার ভয়ঙ্কর উদাহরণ। নিজ দেশের নিরাপত্তাকে অকল্পনীয় ঝুঁকির মধ্যে ফেলে পাকিস্তানকে এহেন সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশ কী পেল? কিছুই পায়নি। ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে। দ্বিপক্ষীয় সমস্যাগুলো সংকটে পরিণত হয়েছে। সুতরাং বিগত দিনের নেতিবাচক ঘটনাসমূহের বিরূপ প্রভাব এবং আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের মধ্যে সহজাত বহুপক্ষীয় পারস্পরিক বিরোধী ও সাংঘর্ষিক পক্ষগুলোকে ম্যানেজ করে গত সাত বছরে যেসব বড় বড় সমস্যার সমাধান হয়েছে এবং তার সূত্র ধরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আজ যে পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে তাকে যে কোনো বিচারে উভয় দেশের জন্য অভূতপূর্ব অর্জন বলতে হয়। এই ধারা বজায় থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাকি সমস্যারও সমাধান প্রত্যাশা করা অমূলক চিন্তা হতে পারে না। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে লেগেসির কারণে শুধু একটি-দুটি সফরের আপাত সময়ের মধ্যে সবকিছুকে সীমাবদ্ধ করে সাফল্য-ব্যর্থতার বিচার করলে তা কখনো যথার্থ হবে না। আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের আন্তরিকতা পরিমাপের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বড় সূচক হচ্ছে দুই দেশের জনগণ ও নেতৃত্বের মধ্যে প্রগাঢ় আস্থা ও গভীর শ্রদ্ধাবোধ। এবার শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময়ে উভয় দেশের পক্ষ থেকে এর যথেষ্ট প্রতিফলন লক্ষ্য করা গেছে। নরেন্দ্র মোদি প্রটোকল ভেঙে বিমানবন্দরে এসে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা, রাষ্ট্রপতি ভবন রাইসিনা হিলে শেখ হাসিনার অবস্থান, দিল্লির বিখ্যাত পার্ক স্ট্রিটকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর সড়ক নামকরণ, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের প্রতি ভারতের সমর্থন, ভারত সরকার কর্তৃক প্রদত্ত মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বৃত্তির মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বৃদ্ধি ও টাকার পরিমাণ দ্বিগুণ করা, প্রতি বছর ১০০ মুক্তিযোদ্ধাকে ভারতের হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান, সব মুক্তিযোদ্ধার জন্য পাঁচ বছরের মাল্টিপল ভিসা এবং সফরের দ্বিতীয় দিনে যৌথ ঘোষণা প্রকাশ, যা সাধারণত করা হয় সফরের শেষ দিনে। অন্যদিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ১৬৬১ জন ভারতীয় সেনা সদস্য, একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের অনন্য সম্মানে ভূষিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বহুল আকাঙ্ক্ষিত ও প্রত্যাশিত তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি না হওয়ায় বাংলাদেশে ভারতবিরোধী রাজনৈতিক দল ও তার সমর্থকরা মোক্ষম অস্ত্র হাতে পেয়েছেন। তিস্তা নদীর পানি বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার। এটা ভারতকে দিতেই হবে। এটা এখন আর শুধু পানিবণ্টন ইস্যু নয়, এর ব্যাপ্তি দুই দেশের সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল ও স্পর্শকাতর ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর প্রভাব কোথায় কীভাবে পড়তে পারে সে সম্পর্কে ভারতের বুদ্ধিজীবী মহল এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও জানেন। তাই নরেন্দ্র মোদি প্রকাশ্যে অঙ্গীকার করেছেন তিস্তাচুক্তি আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই হবে। রাজনীতি, কূটনীতি, সমরনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, যে ক্ষেত্রের কথাই বলি না কেন, সব জায়গায়ই লক্ষ্য অর্জনের অগ্রযাত্রায় একটা কমন মৌলিক কৌশল আছে। দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সেটি আরও বেশি প্রযোজ্য। লক্ষ্য অর্জনের চলার পথে কোনো টার্গেট জয় করা আপাতত কঠিন হয়ে পড়লে সেখানে আটকে না থেকে অগ্রায়নের গতিবেগ রক্ষা করে সামনে এগিয়ে গেলে তাতে যে সফলতা আসবে তার প্রভাবেই ফেলে আসা ওই কঠিন টার্গেটও অনায়াসে আয়ত্তে চলে আসে। সারা বিশ্বে আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক সেভাবে চলছে। এ সময়ের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্র-চীন এবং ভারত-চীনের দিকে তাকালেই ওই একই কৌশলের প্রতিফলন দেখা যায়। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের ভারত সফরের সময় দুই দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে ৪১টি সহযোগিতামূলক চুক্তি ও দলিল স্বাক্ষরিত হয়। আরও ৪১টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় দুই দেশের প্রদেশ ও মহানগরের মধ্যে। চীন পাঁচ বছরে ভারতে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করে। তারপর চীন-ভারতের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার জন্য ডিফেন্স ডায়ালগ কাঠামো রয়েছে যার সপ্তম সভা হয় ২০১৫ সালের এপ্রিলে। এই সহযোগিতা কাঠামোর আওতায় চীন-ভারতের মধ্যে যৌথ মহড়াসহ অন্যান্য সংযোগ অব্যাহত আছে।

 

 

ভারতের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তানের সামরিক সহযোগিতামূলক চুক্তি ও সমঝোতা রয়েছে। আমাদের সামরিক বাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের জন্য অন্য দেশের সহযোগিতার আবশ্যকতা রয়েছে। চীনের সঙ্গে আমাদের যে রকম সামরিক সহযোগিতা চুক্তি আছে, সে রকম সমঝোতার আওতায় ভারতের সহযোগিতা নিলে তা অশুদ্ধ হবে কেন, সে কথাটির তুলনামূলক বিশ্লেষণ এর বিরোধিতাকারীরা কখনো দিচ্ছেন না। তারা ব্লাইন্ড কথা বলছেন। এবার ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, কানেকটিভিটি, বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি সম্পর্কিত চুক্তিগুলোর বাস্তবায়নে দুই দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা রাখবে। স্বল্প সুদে ৫০০ কোটি ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত। সাইবার নিরাপত্তা, মহাকাশ গবেষণা ও পারমাণবিক সহযোগিতা বাংলাদেশের স্ট্র্যাটেজিক সক্ষমতা বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখবে। ভারতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে ১ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের জন্য বেসরকারি পর্যায়ে ১৩টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় সরকার অন্য দেশের সঙ্গে চুক্তি করলে তার সমালোচনা হবে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিরোধিতা হবে এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু যে দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল, সেই দলের শীর্ষ নেত্রী কর্তৃক দেশ বিক্রি করে দেওয়া, দেশের সবকিছু বিক্রি করে ফেলার মতো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য প্রদানকে অসহায়ের আর্তনাদ বলে মনে হয়। সহজাত কমপ্লেক্সের কারণেই কাপুরুষরা সব সময় বীরদের অযৌক্তিক লাগামহীন বিরোধিতায় মুখর থাকে। রাজনৈতিক সৎসাহস ও দেশের মানুষের প্রতি সামান্য অঙ্গীকার থাকলে বিএনপির উচিত হবে— তারা ক্ষমতায় গেলে ওইসব চুক্তি বাতিল করবে মর্মে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি লিখে ভারতকে এখনই জানিয়ে রাখা, যেমনটি যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দল করেছিল যখন ওবামা প্রশাসন ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার প্রতিরোধ চুক্তি করেছিল। একাত্তরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং তাদের এ-দেশীয় দোসররা মুক্তিযোদ্ধা ও মুজিবনগর সরকারকে উদ্দেশ করে বলতেন, তারা পূর্ব পাকিস্তানকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরে সে কথারই প্রতিধ্বনি শোনা যায় বাংলাদেশের বড় একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে। দেশের জন্য এর থেকে বড় দুর্ভাগ্য আর হতে পারে না। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের আত্মস্বীকৃত খুনিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কৃত করাকে ঢাকা দেওয়ায় জন্য বঙ্গবন্ধু ও তার সব কর্মের ওপর কালিমা লেপন করার উদ্দেশ্যে যে প্রোপাগান্ডা শুরু হয়, তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপির মুখ থেকে এখনো একই কথা বের হচ্ছে। সুতরাং এটা নতুন কিছু নয়। বিএনপির জন্মের সঙ্গেই এটা লেগে আছে। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর বিএনপি বলেছিল, ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে গেছে, বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে ইত্যাদি। দর্শনশাস্ত্রে উইশফুল থিংকিং বলে একটা কথা আছে। এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, যথার্থ প্রমাণ ও বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-উপাত্ত ছাড়া বাস্তবতাবহির্ভূত এবং বিগত দিনের ঘটনাসূত্রের সঙ্গে সংযোগহীন কথাবার্তা কল্পনাপ্রসূত ও মনগড়া হয়, যার কোনো মূল্য নেই। তবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা এ রকম কথা বললে সতর্ক হওয়ার কথা বলেছেন মনীষীরা। প্রখ্যাত দার্শনিক প্লটিনাস (২০৫-২৭০) প্লাটোর দর্শনকে নতুন মাত্রায় উন্নীত করেন, যা Neoplatonism হিসেবে পরিচিতি পায়। যুক্তিহীন ও অথেন্টিক  ইনটেলেকশন বা বিশ্বাসযোগ্য বুদ্ধিদীপ্ত তথ্যের সমর্থন ছাড়া বলা কথাকেই প্লটিনাস অবান্তর প্রলাপ বলে অভিহিত করেছেন।

     লেখক : কলামিস্ট ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

[email protected]

নিউ অরলিনস, ইউএসএ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর