শুক্রবার, ১৯ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

সোনা ও ডায়মন্ডের ব্যবসা

সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন হওয়া উচিত

দেশে সোনা ও ডায়মন্ডের যে বিশাল বাজার রয়েছে তা সাদা চোখেই যে কারও পক্ষে অনুমান করা সম্ভব। সারা দেশে সোনার দোকানই রয়েছে অন্তত ১০ হাজার। মণকে মণ সোনার গহনার পসরা সাজানো গহনার দোকানের শো-রুমের সংখ্যা সারা দেশে একশর বেশি। তারপরও চমকে যাওয়ার মতো তথ্য হলো দেশে যেমন সোনার কোনো খনি নেই, তেমন বিদেশ থেকে তা আমদানি করাও হয় না। ডায়মন্ডের বেলায়ও এটি সত্যি। আরও বড় সত্যি হলো দেশে যে সোনা ও ডায়মন্ড বেচাকেনা হয় তার সিংহভাগ বিদেশ থেকে আসে চোরাচালান হয়ে। সোনা ও ডায়মন্ড ব্যবসায়ীরা অবশ্য বলেন, তাদের ব্যবসা দুটি উেসর ওপর নির্ভরশীল। এর একটি হলো অভ্যন্তরীণ উৎস বা রিসাইক্লিং, অন্যটি ব্যাগেজ রুলস। রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে সোনার দোকানগুলোতে কিছু সোনা গেলেও তার পরিমাণ আহামরি কিছু নয়। ব্যাগেজ রুলের মাধ্যমে একজন যাত্রী ১০০ গ্রাম বা ৮.৫৭ ভরি পর্যন্ত সোনার গহনা বিনা শুল্কে ও ২৩৪ গ্রাম সোনার বার আনতে পারে। এভাবে যারা সোনা আনেন তারা মূলত পরিবারের সদস্যদের ব্যবহারের জন্যই আনেন, সে সোনারও একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র সোনা ব্যবসায়ীদের কাছে যায়। বলা যায়, সোনা ও ডায়মন্ডের ক্ষেত্রে কোনো নীতিমালা না থাকায় পুরো ব্যবসাটিই চোরাচালাননির্ভর হয়ে পড়ছে। বৈধ পথে সোনা ও ডায়মন্ড আমদানির সুযোগ থাকলে সরকার তা থেকে যেমন শুল্ক পেত তেমন সাধারণ মানুষ সাশ্রয়ী দামে সোনা কিনতে সক্ষম হতো। দেশে কী পরিমাণ সোনা চোরাচালান হয়ে আসছে তার প্রমাণ ২০১৩ সালে বিদেশ থেকে আনার সময় ৫৬৫ কেজি সোনা ধরা পড়েছে। গত চার বছরে সোনা ধরা পড়ার পরিমাণ ১১০০ কেজির বেশি। আনুমানিক হিসেবে ২০-২৫টি চালানের মধ্যে একটির বেশি ধরা পড়লে সোনা চোরাচালান লাভজনক হওয়ার কথা নয়। সে হিসেবে অনুমান করা যায় প্রতিবছর কেজি বা মণের হিসাবে নয়, টনের হিসাবে সোনা চোরাচালান হয়ে আসছে। দেশের অর্থনীতিতে এ চোরাচালান বিসংবাদ সৃষ্টি করছে।  যার অবসানে সোনা ও ডায়মন্ড ব্যবসার সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণীত হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর