শনিবার, ২০ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

তথ্যপ্রযুক্তিতে অগ্রগতি

এ জাদু ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে

একবিংশ শতাব্দীকে বলা হয় তথ্যপ্রযুক্তির শতাব্দী। বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল তথ্যপ্রযুক্তি একবিংশ শতাব্দীর ভাগ্য নির্ণায়ক হিসেবে বিবেচিত হবে। মূলত তথ্যপ্রযুক্তির উত্থান শুরু হয় বিংশ শতাব্দীতেই। বিশ্বব্যবস্থার পরিবর্তনেও এ প্রযুক্তি অবদান রেখেছে। বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে তথ্যপ্রযুক্তিতে পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর একটি। তবে দেশকে দ্রুত এগিয়ে নিতে সরকার এ ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে রপ্তানির প্রধান খাতে পরিণত করার স্বপ্নও দেখছে বাংলাদেশ। বলা যায়, এ ক্ষেত্রে শুরু হয়ে গেছে নীরব বিপ্লব। তার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশেই তৈরি হতে যাচ্ছে বিশ্বমানের প্রযুক্তি পণ্য স্মার্টফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ। দেশে নির্মিত সফটওয়্যার দিয়েই চলবে দেশের ব্যাংক, বীমা, কলকারখানা, অফিস-আদালত। সবকিছুর দ্বার খুলতে প্রস্তুত হচ্ছে প্রযুক্তি পণ্যের শিল্পাঞ্চল হাইটেক পার্ক। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি ইতিমধ্যে কালিয়াকৈরে ২৩২ একর জমিতে প্রথম হাইটেক পার্ক নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এর বাইরে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার খরিতাজুরি বিলে দেশের দ্বিতীয় হাইটেক পার্ক নির্মাণে ১৬৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজধানীর কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ার, যশোর, রাজশাহীসহ দেশের ৭ বিভাগের ১২ জেলায় সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপনের কাজ চলছে। হাইটেক পার্কগুলো সচল হলেই আইসিটি সেক্টর জাতীয় রাজস্ব আয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এক দশকের মধ্যে আইসিটি হবে দেশের প্রধান রপ্তানি আয়ের খাত। ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্য ও সিঙ্গাপুরভিত্তিক চারটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। জাপানও হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির সক্ষমতা অর্জনে বাংলাদেশ যে লড়াই চালাচ্ছে সে প্রয়াসকে এগিয়ে যেতে হলে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। আত্মসন্তুষ্টির বদলে কীভাবে আরও এগিয়ে যাওয়া যায় সেই অনুসন্ধিত্সুতে উন্মুখ হতে হবে। জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে পরিণত করার ক্ষেত্রেও তথ্যপ্রযুক্তির জাদু ছড়িয়ে দিতে হবে দেশের প্রতিটি ঘরে।

সর্বশেষ খবর