সোমবার, ২২ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

রাজধানীর রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি

রমজানে এ অপখেলা বন্ধ রাখুন

মাহে রমজানে প্রতিবছরই রাজধানীতে বাড়তি যানজটের দেখা মেলে। বিশেষত ইফতারের জন্য চাকরিজীবী ও অন্যান্য মানুষ যখন ঘরমুখো হয় তখন পুরো রাজধানীই যানজটের নগরীতে পরিণত হয়। রোজা শুরুর সপ্তাহ খানিক পর থেকে ঈদের কেনাকাটার জন্য সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থাকে যানবাহনের বাড়তি চাপ। এ বছর যানজট সর্বকালের সব রেকর্ড ভঙ্গ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির জন্য পুরো রাজধানীর প্রায় সব সড়ক পথ এ মুহূর্তে অচলাবস্থার শিকার। প্রধান সড়কগুলোর পাশাপাশি গলিপথেও চলছে পয়ঃনিষ্কশনের পাইপ বসানোর কাজ। ফ্লাইওভারের অভিশাপে ভুগছে মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগসহ সংলগ্ন এলাকার মানুষ। মনে হচ্ছে, এই ফ্লাইওভারের কাজ রোজ কেয়ামত পর্যন্ত চালানোর কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে। কাজ সময়মতো সম্পন্ন করতে না পারলে শাস্তির বদলে পুরস্কৃত করার বিধান চালু হওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সময়ক্ষেপণকে লাভজনক বলে ভাবা শুরু করেছে। এর ফলে লুটেরা ঠিকাদার এবং কার্যাদেশ দানকারীদের পকেট স্ফীত হলেও কপাল পুড়ছে সাধারণ মানুষের। রোজার মাসে যানজট ও জলজটে মৌচাক-মগবাজার-মালিবাগসহ সংলগ্ন এলাকা যেমন অচলাবস্থার শিকার হবে তেমন এর প্রতিক্রিয়ায় ধারে কাছের সব সড়কে অভিন্ন সংকট দেখা দেবে। সন্দেহ নেই উন্নয়ন চাইলে নির্মাণকালীন ভোগান্তিকেও মেনে নিতে হবে। এ ব্যাপারে নগরবাসীর মধ্যে কোনো দ্বিমত নেই। তবে নির্মাণ কাজের আড়ালে সময়ক্ষেপণ এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা বাড়িয়ে বরাদ্দ বাড়ানোর যে অপখেলা চলছে তা মেনে নেওয়া নগরবাসীর জন্য সত্যিকার অর্থেই কঠিন। আমরা আশা করব মাহে রমজানে নগরবাসীকে যাতে বাড়তি ভোগান্তিতে পড়তে না হয়, তা নিশ্চিত করতে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির অপখেলা এখনই বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে। ফ্লাইওভার নির্মাণের ভোগান্তিও আপাতত বন্ধ করার কথা ভাবা যেতে পারে। কর্তৃপক্ষ রোজার আগে জরুরি ভিত্তিতে রাস্তাঘাটের খানাখন্দ বন্ধ করে যানবাহন চলাচল উপযোগী করলে নগরবাসী কৃতার্থ হবে।

সর্বশেষ খবর