শিরোনাম
বুধবার, ২৪ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

রসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা

মোহাম্মদ ওমর ফারুক

রসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা

মৃত ব্যক্তিকে কবরে তিনটি বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। যারা তিন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে তারা মুক্তি পাবে। উত্তর দিতে না পারলে শাস্তির সম্মুখীন হবে। তন্মধ্যে অন্যতম প্রশ্ন হচ্ছে— ‘তোমার নবী কে’? এ প্রশ্নের উত্তর সেই ব্যক্তি দিতে পারবে যাকে দুনিয়াতে আল্লাহ এর শর্তসমূহ বাস্তবায়ন করার তাওফিক দিয়েছেন এবং কবরে তাকে দৃঢ় রেখেছেন ও জবাব শিখিয়ে দিয়েছেন। অতঃপর সে উপকৃত হবে পরকালে সেই দিন যখন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি কোনো কাজে আসবে না। ‘মুহাম্মদ রসুলুল্লাহকে বাস্তবায়ন করার শর্তমালা নিম্নরূপ : আল্লাহ আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন তার আনুগত্য করার। তিনি ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি রসুলের আনুগত্য করবে, সে আল্লাহরই আনুগত্য করবে।’ (সূরা নিসা : ৮০) তিনি আরও বলেন, ‘আপনি বলুন! তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবাস, তবে আমার অনুসরণ কর। আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন।’ (সূরা আল ইমরান : ৩১) রসুলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমার উম্মতের প্রত্যেক ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে, কিন্তু ওই ব্যক্তি নয় যে জান্নাতে যেতে অস্বীকার করে। তারা বললেন, কে এমন আছে জান্নাতে যেতে অস্বীকার করে? তিনি বললেন, যে আমার আনুগত্য করবে সে জান্নাতে যাবে। আর যে আমার অবাধ্য হবে সেই জান্নাতে যেতে অস্বীকার করবে।’ (বুখারী) যে ব্যক্তি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসবে সে অবশ্য তার আনুগত্য করবে। কেননা আনুগত্য হচ্ছে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। যে ব্যক্তি অনুসরণ না করেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসার দাবি করে, সে নিজ দাবিতে মিথ্যুক ও ধোঁকাবাজ।

অতএব রসুলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে যেসব বিষয় সহিহ সূত্রে প্রমাণিত হয়েছে, তার কোনো একটি যদি কেউ খেয়ালবশত প্রবৃত্তির অনুসরণ করে মিথ্যা মনে করে, তবে সে আল্লাহ ও তার রসুলকে মিথ্যা প্রতিপন্নকারী সাব্যস্ত হবে। কেননা রসুলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিথ্যা ও ভুল থেকে নিরাপদ ও নিষ্পাপ। ‘তিনি প্রবৃত্তি তাড়িত হয়ে কোনো কথা বলেন না।’ (সূরা নাজম : ৩)। তন্মধ্যে সর্বাধিক বড় ও প্রধান নিষেধ হচ্ছে শিরক। এরপর হচ্ছে, কবীরা গুনাহ ও ধ্বংসাত্মক পাপসমূহ এবং সর্বশেষ ছোট পাপ ও অপছন্দনীয় কাজসমূহ। রসুলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি মুসলিম ব্যক্তির ভালোবাসা অনুযায়ী তার ইমান বৃদ্ধি হয়।  আর ইমান বৃদ্ধি হলেই নেক কাজের প্রতি ভালোবাসা ও আকর্ষণ সৃষ্টি হয়। কুফরী, ফাসেক্বী ও অবাধ্যতার কাজে ঘৃণা সৃষ্টি হয়।

     লেখক : ইসলামী গবেষক।

সর্বশেষ খবর