বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

ম্যানচেস্টারের জঙ্গি হামলা

বিষবৃক্ষ উৎপাটনে ঐক্য কাম্য

যুক্তরাজ্যের শিল্পনগরী ম্যানচেস্টারের এরিনা স্টেডিয়ামে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় ৮০ জনেরও বেশি সংগীত পিপাসুর হতাহতের ঘটনায় সারা দুনিয়ায় ক্ষোভের ঝড় বইছে। বলা হয়ে থাকে যে গান পছন্দ করে না সে মানুষও হত্যা করতে পারে। এরিনা স্টেডিয়ামে ২১ হাজার শ্রোতা সোমবার রাতে জড়ো হয়েছিল মার্কিন গায়িকা আরিয়ানা গ্রান্ডের কনসার্টে। নিন্দনীয় এ হামলায় যে ২২ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রায় সবাই তরুণ-তরুণী। মাত্র দুই মাস আগে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের পাশে ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজের ওপর বেশ কয়েকজন মানুষকে গাড়ি চাপা দিয়েছিল জঙ্গি নামের এক ঘৃণ্য জানোয়ার। দুই মাস পর যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের মাত্র দুই সপ্তাহ আগে ম্যানচেস্টারের এরিনা স্টেডিয়াম লালে লাল হয়ে গেল আরেক পৈশাচিক হামলায়। যে স্টেডিয়ামে বোমা বিস্ফোরণের আগে ছিল শুধু আনন্দ উচ্ছ্বাস সেখানে আর্তনাদ ও কান্নার রোলে বিষিয়ে উঠল পুরো পরিবেশ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী আরব ইসলামিক আমেরিকান সম্মেলন উপলক্ষে সৌদি আরব সফরে মগ্ন তখনই জনপ্রিয় একজন মার্কিন গায়িকার কনসার্টে জঙ্গি হামলা চালানো হলো জঙ্গিবাদবিরোধী ঐক্যের প্রতি তাচ্ছিল্য দেখানোর জন্য। বিশ্ব নেতারা নৃশংস এ জঙ্গি হামলার বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করেছেন। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মানবতাবাদীদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ের প্রত্যয়ও ঘোষণা করা হয়েছে বিশ্ব নেতাদের বক্তব্যে। যুক্তরাজ্যের শিল্পনগরী ম্যানচেস্টারে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা প্রমাণ করেছে মানবতার শত্রুদের জিঘাংসা থেকে কোনো জাতিই মুক্ত নয়। দুনিয়ার যেসব দেশের জননিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সর্বোত্তম বলে ভাবা হয় যুক্তরাজ্য তার মধ্যে একটি। তারপরও দুই মাসের ব্যবধানে সংঘটিত দুটি জঙ্গি হামলার ঘটনায় প্রমাণ হয়েছে জঙ্গিবাদের হাত থেকে রক্ষার প্রকৃষ্ট পথ হলো এই ভয়ঙ্কর বিষবৃক্ষকে শেকড়সহ উৎপাটন করে ফেলা। এ ব্যাপারে বিশ্ববাসীকে এক হতে হবে।

সর্বশেষ খবর