শুক্রবার, ২৬ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বিচার

সাক্ষীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করুন

ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীদের মামলাগুলো নিষ্পত্তি হচ্ছে না সাক্ষীদের সাক্ষ্যদানে অনুপস্থিত থাকার কারণে। পুলিশ বাদী মামলায় সাক্ষীদের আদালতে হাজির করার দায়িত্ব পুলিশের। কিন্তু পুলিশ এ দায়িত্বটি পালন করতে না পারায় সুইডেন আসলাম, জোসেফসহ শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মামলাগুলো বছরের পর বছর ধরে ঝুলে আছে। কারাগারে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছেন আক্ষরিক অর্থে রাজার হালে। মাসের পর মাস চিকিৎসার নামে তারা হাসপাতালে ভিআইপি মর্যাদায় অবস্থানের সুযোগ পাচ্ছে। মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্যদানের ভিত্তিতে বিচার প্রক্রিয়া চলে, কে দোষী কে নির্দোষ বিচারক সে রায় দেন। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার বুকের পাটা না থাকায় সাক্ষীদের অবস্থা ছেড়ে দে মে কেঁদে বাঁচির মতো। সাক্ষীদের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ওপর ভুক্তভোগী মানুষের আস্থা না থাকায় তারা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়ে নিজেদের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলতে চান না। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাক্ষীরা যাতে হাজির না হয়, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের পক্ষ থেকে এমনটিও ম্যানেজ করা হয়। আসামিদের সঙ্গে পুলিশের অসৎ সদস্যদের সম্পর্ক ‘দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন’ তত্ত্বের বিপরীত হওয়ায় এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা অহরহ ঘটছে। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার স্বার্থে অপরাধ করে কেউ যাতে পার না পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষত সন্ত্রাসী নামের মানুষ শকুনদের কবল থেকে শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষায় তাদের ডানা ভেঙে দিতে হবে। কিন্তু অপরাধীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলোতে সাক্ষীরা হাজির না হওয়ায় অপরাধীরা কার্যত ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিচার মেলে না এ সত্য প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ বিড়ম্বনার অবসানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর মানুষের আস্থা গড়ে তোলার দিকে নজর দিতে হবে।  দুষ্টদের সঙ্গে পুলিশের সখ্যের অবসান ঘটাতে হবে।  মানুষ যাতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেওয়ার সাহস পায় সেটি নিশ্চিত করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

সর্বশেষ খবর