শিরোনাম
সোমবার, ৫ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

মা ও মেয়ের হত্যাকাণ্ড

অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কাম্য

ভোলায় স্ত্রী ও কন্যাশিশুকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে বিল্লাল নামের এক নরপশু। দৌলতখান উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নে ঘটেছে আল্লাহর আরশ কাঁপানো এ ঘটনা। পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যার মতলব আঁটে বিল্লাল। শুক্রবার রাতে সে স্ত্রী শাহনাজকে ঠাণ্ডা মাথায় গলা কেটে হত্যা করে। তারপর হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে নিতে বিছানাপত্রসহ স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। অতঃপর ছয় বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে ঘরের বাইরে এসে আগুন আগুন বলে চিৎকার শুরু করে। এ সময় প্রতিবেশী ও আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ সময় আগুন নেভাতে আসা লোকজন ঘরের ভিতর আধাপোড়া অবস্থায় বিল্লালের স্ত্রী শাহনাজের গলা কাটা লাশ দেখতে পায়। তারা শাহনাজের নয় মাস বয়সী মেয়ে মোহনাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দৌলতখানের মা ও মেয়ে হত্যাকাণ্ড দ্বীপজেলা ভোলা শুধু নয়, সারা দেশের মানুষের বিবেককে আহত করেছে। পুলিশ ইতিমধ্যে বেল্লালকে গ্রেফতার করেছে। পারিবারিক কলহের কারণে স্ত্রীকে হত্যার ঘটনা স্বীকারও করেছে সে। বলেছে হত্যাকাণ্ডকে গোপন করতেই সে ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। ভোলার দৌলতখানে মা ও মেয়ের হত্যাকাণ্ড সামাজিক অবক্ষয়ের উদাহরণ। কত তুচ্ছ কারণে মানুষ যে তার মনুষ্যত্বের মুখোশ ঝেড়ে ফেলে পিশাচে পরিণত হয় এ হত্যাকাণ্ড সে সত্যকেই তুলে ধরেছে। পরকীয়ার জন্য স্ত্রী শুধু নয়, শিশুকন্যাকে এভাবে পুড়িয়ে মারার ঘটনা আইয়ামে জাহেলিয়ার সময়েও ঘটেছে কিনা সন্দেহ। আমরা আশা করব পরিকল্পিতভাবে স্ত্রী ও শিশুকন্যাকে হত্যার দায়ে বিল্লাল যাতে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের সম্মুখীন হয়, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসন সম্ভাব্য সব কিছুই করবে।  ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধে কেউ যাতে জড়িত হওয়ার সাহস না পায় তা নিশ্চিত করতেই অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হওয়া দরকার। পাশাপাশি কেন সারা দেশে নারী নির্যাতনের মতো পৈশাচিক মানসিকতার উদ্ভব ঘটছে তা নিয়েও মনোবিজ্ঞানীদের ভাবতে হবে।  কীভাবে এ অবক্ষয়ের অবসান ঘটানো যাবে সে বিষয়টিও প্রাসঙ্গিকতার দাবিদার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর