শুক্রবার, ৯ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

রোজা সব নবী রসুলের সুন্নত

মোহাম্মদ ওমর ফারুক

রোজা সব নবী রসুলের সুন্নত

রোজার প্রচলন ছিল সব নবী রসুলের আমলে। হজরত আদম (রা.)-এর সময় থেকে রোজা শুরু। তবে শেষ পয়গম্বরের উম্মতদের মতো অন্য কোনো নবীর উম্মতরা সুনির্দিষ্টভাবে কোনো বিশেষ মাসে রোজা পালন করত কিনা সে সম্পর্কে কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, রসুল পাক (সা.)-এর পূর্ববর্তী নবীদের আমলেও রোজা ফরজ ছিল। অর্থাৎ আগের সব শরিয়তে রোজাকে ফরজ করা হয়েছে। হজরত নূহ (আ.) এবং হজরত দাউদ (আ.)-এর সময়ও রোজা পালন করা হতো। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজরত ইবনে আমরকে রোজা পালনের আদেশ দেন এভাবে— আল্লাহর কাছে যে রোজা উত্তম সে রোজা রাখ। আর সে রোজা হলো যা দাউদ রেখেছেন। তিনি একদিন রোজা রাখতেন আরেক দিন ইফতার করতেন। (মুসলিম)। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপরোক্ত হাদিস থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, হজরত দাউদের আমলে রোজার প্রচলন ছিল। হজরত ইসা (আ.)-এর আমলেও রোজার প্রচলন ছিল। ইঞ্জিল শরিফে দার বাদশাহর সময়ে বাইতুল ইলের বাসিন্দা ও বনি ইয়াহুদাদের প্রতি রোজা রাখার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মতদের আগে যে রোজা প্রচলিত ছিল তা ছিল কঠোর। কিন্তু আল্লাহ আখেরি নবীর উম্মতদের জন্য তা সহজ করে দেন। ইসলামে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সব মানুষের জন্য রোজা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে এই বাধ্যতামূলক করার ক্ষেত্রে রোগাক্রান্ত ব্যক্তি, বৃদ্ধ, গর্ভবতী নারী বা যারা শারীরিকভাবে রোজা পালনে অক্ষম তাদের জন্য শিথিলতার সুযোগ রয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে কেউ অসুস্থ অথবা ভ্রমণরত থাকবে, তার জন্য উল্লিখিত সংখ্যক রোজা অন্য সময় রাখতে হবে। আর যারা রোজা রাখতে অক্ষম, তাদের বিনিময়স্বরূপ (প্রতিদিনের জন্য) একজন করে মিসকিনকে খাবার দিতে হবে।’ ইসলামে সালাত বা নামাজের পর রোজা অবশ্য পালনীয় ইবাদত।  আত্মশুদ্ধির জন্য রোজা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে অনাহারে থাকলেও আল্লাহর নির্দেশ পালন হবে না।

লেখক : ইসলামী গবেষক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর