শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

ট্রেনেও ঠাঁই নাই

টিকিটের জন্য নাকাল ঘরমুখো মানুষ

ঈদে ট্রেনের টিকিটের খোঁজে কমলাপুর রেলস্টেশনে প্রতিদিন জমছে হাজার মানুষের ভিড়। গত বুধবার সকাল ৮টায় যে রুটের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে তা নেওয়ার জন্য অনেকে মঙ্গলবার ইফতারের পর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। অনেকে সাহরিও করেছেন লাইনে বসে। মঙ্গলবার রাত ৩টার পর ঝাঁকে ঝাঁকে লোক আসা শুরু করে টিকিটের লাইন দেওয়ার জন্য। আগাম টিকিট বিক্রির তৃতীয় দিনে আগের দুই দিনের চেয়ে ভিড় ছিল বেশি। গতকাল আগামী ২৩ জুনের ৩১টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয়েছে। একই সঙ্গে বিক্রি হয়েছে ১৪টি স্পেশাল ট্রেনের টিকিট। অনেককে টিকিট না পেয়ে হাহুতাশ করতে দেখা গেছে। সকালে শুরু হলেও দুপুর নাগাদ বলা হয় টিকিট দেওয়া শেষ। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করা আমাদের দেশে ঐতিহ্যের অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচিত। রাজধানীর ষাট লাখেরও বেশি মানুষ ঈদ কাটাতে ছুটে যান স্বজনদের কাছে। ফলে বাস, ট্রেন ও লঞ্চের টিকিটের জন্য শুরু হয় আহাজারি। ঈদ উপলক্ষে বাড়তি পরিবহনের ব্যবস্থা করা হলেও ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই অবস্থার অবসান ঘটে না। ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি বন্ধে কর্তৃপক্ষের বাড়তি নজরের কারণে এ বছর এ সংক্রান্ত অভিযোগ কম। তবে ট্রেনের আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় অনেকের পক্ষে নির্দিষ্ট দিনের টিকিট পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সবচেয়ে অস্বস্তিকর হলো ট্রেনের টিকিটের জন্য ১৫-২০ ঘণ্টা ধরে লাইনে থাকার ঘটনা। ট্রেনের টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা আধুনিকায়নের মাধ্যমে এ দুর্ভোগের অবসান ঘটানো যেতে পারে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উৎসবের সময় কীভাবে ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয় সে বিষয়টি পর্যালোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। ঈদে ব্যাংকের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট বিক্রির প্রস্তাবনাও দিয়েছেন অনেকে। তবে এ ধরনের ব্যবস্থায় টিকিট কালোবাজারির ঘটনা বাড়ারও আশঙ্কা রয়েছে। সবচেয়ে ভালো হবে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সময় বিক্রয় বুথের সংখ্যা বাড়ানো। ঈদের সময় ঘরে ফেরার জন্য উন্মুখ মানুষ বাস বা ট্রেনের টিকিটের জন্য বাড়তি দুশ্চিন্তায় ভোগেন প্রতিবছর। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।  তবে ঈদে ট্রেন যাতায়াত যাতে নির্বিঘ্ন হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে।  বিনা টিকিটের যাত্রীদের কারণে টিকিট কাটা যাত্রীরা যাতে হয়রানি বা ভোগান্তির শিকার না হয় সে বিষয়েও নজরদারি থাকা উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর