শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

গার্মেন্টের বেতন বোনাস

ঈদের আগেই পরিশোধের উদ্যোগ নিন

বেতন ও বোনাস নিয়ে গার্মেন্ট শিল্পে ঈদের আগে যাতে অসন্তোষ দেখা না দেয়, তা নিশ্চিত করতে সরকার এ বছর সতর্ক বলেই মনে হচ্ছে। ইতিমধ্যে গার্মেন্ট মালিকদের সঙ্গে এ ব্যাপারে বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ বৈঠকে চলতি মাসের ২২ তারিখের মধ্যে বোনাস এবং বেতন পরিশোধ করার জন্য তিনি মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সড়কপথে যানজটের চাপ কমাতে এক দিনের বদলে পর্যায়ক্রমে ঈদের ছুটি দেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে। বৈঠকে মন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, নিজেদের স্বার্থেই গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ চায় বেতন-বোনাস নিয়ে কোনো অশান্তি যেন মাথা উঁচু করে না দাঁড়ায়। এ উদ্দেশ্যে সমস্যায় থাকা গার্মেন্টগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে কীভাবে সময়মতো বেতন-বোনাস দেওয়া যাবে সে বিষয়েও গ্রন্থিমোচনের চেষ্টা করছেন তারা। বিজিএমইএও বিকেএমইএর এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। গার্মেন্ট শিল্পের শ্রমিকদের কাছে ঈদের আগে বেতন-বোনাস পাওয়া না পাওয়ার বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। শ্রমিকদের বেশিরভাগই নারী। তারা বেতন ভাতা নিয়ে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে নিজ নিজ আস্তানার দিকে ছোটেন। ঈদের আগে বেতন-বোনাস পাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন প্রায় প্রতিটি শ্রমিক। স্বভাবতই বেতন ভাতা নিয়ে কোনো গার্মেন্টে জটিলতা দেখা দিলে অনেক ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। গার্মেন্টের যে কোনো ধরনের অশান্তির ঘটনায় বাইরের কোনো কোনো পক্ষের ইন্ধন থাকার বিষয়টি ওপেনসিক্রেট। এমনকি বিদেশি ইন্ধনের আশঙ্কাও থাকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে। হাজার হাজার গার্মেন্টের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটির জন্য এ শিল্পের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হয় বিদেশি ক্রেতাদের কাছে। এ অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থা এড়াতে ঈদের আগেই গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধের বিষয়টি নিশ্চিত করা দরকার। এ ব্যাপারে সরকার, বিজেএমইএ, বিকেএমইএ এবং শ্রমিক সংগঠনগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি ঈদের আগে গার্মেন্ট শিল্পে যাতে অসন্তোষ দানা বেঁধে না ওঠে সে বিষয়ে সরকারকে নজরদারি চালাতে হবে। দেশের মানুষের কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের এ খাতটিতে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে সব পক্ষের বাড়তি মনোযোগ কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর