বুধবার, ২১ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

আমার কৈফিয়ৎ

বিভুরঞ্জন সরকার

আমার কৈফিয়ৎ

বাংলাদেশ প্রতিদিন-এ লেখা ছাপা হলে পাঠকদের কাছ থেকে যেরকম প্রতিক্রিয়া পেয়ে থাকি অন্য কাগজের বেলায় সাধারণত সে রকম হয় না। এ থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশ প্রতিদিন কত পাঠকপ্রিয় কাগজ। এক সময় কেউ কেউ তাচ্ছিল্য করে বলতেন, কম দামের কাগজ তো, পথচলতি পাঠকরাই এ কাগজের গ্রাহক।  সিরিয়াস পাঠকরা ‘প্রতিদিন’ পড়ে না। আমার অভিজ্ঞতা অবশ্য ভিন্ন। আমি লক্ষ করেছি, সব ধরনের পাঠকেরই আগ্রহ আছে প্রতিদিন-এ। মাঝে-মধ্যে যখনই প্রতিদিন-এ আমার লেখা ছাপা হয়, তখনই দেখি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পরিচিত-অপরিচিত কত পাঠক টেলিফোন করেন, লেখা সম্পর্কে তাদের মতামত, প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। ‘কুলীন’ পাঠক হিসেবে যাদের ধরা হয় তারাও প্রতিদিন-এ চোখ বোলান বলে আমার ধারণা। পাঠকরা যখন কোনো লেখা পড়ে প্রশংসা করেন কিংবা লেখার কোনো বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্ন মত থাকলে সেটাও উল্লেখ করে গাঁটের পয়সা খরচ করে টেলিফোন করেন অথবা ই-মেইলে তারিফ করেন তখন লেখক হিসেবে ভালো লাগাটাই স্বাভাবিক।

চার দশকের বেশি সময় ধরে লেখালেখি করছি। রাজনৈতিক বিষয়ে কত হাজার কলাম যে লিখেছি তার হিসাব রাখা হয়নি। দৈনিক, সাপ্তাহিক মিলিয়ে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ কাগজেই আমার লেখা ছাপা হয়েছে। প্রথম আলো, সমকাল আমার লেখা ছাপতে তেমন আগ্রহ দেখায় না, তারপরও ওই দুই কাগজে আমার লেখা একেবারে ছাপেনি তা নয়। সে জন্যই আমার মনে হয়, আমার চেয়ে রাজনৈতিক লেখা খুব সম্ভবত আর বেশি কেউ লেখেননি। কিন্তু তা সত্ত্বেও আজকাল লেখার জায়গা পাই না। প্রত্যেক কাগজেরই নিজস্ব ঘরানা তৈরি হয়েছে। আমি বোধ হয় কোনো ঘরানাতেই ঠাঁই করে নিতে পারিনি। সে জন্যই মাঝে মাঝে রাগে-দুঃখে লেখালেখি বন্ধও রাখি। এই বয়সে কোনো কাগজে লেখা পাঠিয়ে তা যদি ছাপা না হয় তার চেয়ে দুঃখের আর কী হতে পারে! আমি আমাদের দেশের এমন দু-একজন কলাম লেখকের কথা জানি যারা নিজেরা দুলাইনও লিখতে পারেন না। অথচ তাদের লেখা অনেক কাগজেই গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়। আমি এখনো বুঝতে পারি না, কেন এখনো লেখক হিসেবে গুরুত্বের তালিকায় আমার নাম সবার নিচের দিকে। কত কত রাজনৈতিক বিশ্লেষক এখন সংবাদপত্রের পাতা আলোকিত করছেন। কিন্তু পঁচাত্তর-পরবর্তী পনের বছর এরা কোথায় ছিলেন?

পাঠকদের কাছ থেকে যেরকম প্রতিক্রিয়া পাই, তাতে মনে হয় না যে, তারা আমার লেখা খুব অপছন্দ করেন। বরং গত শতকের আশির দশকে এরশাদ জামানায় সাপ্তাহিক যায়যায়দিন থেকে শুরু করে পরবর্তী কয়েক বছর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় আমার লেখা পড়ে পাঠকরা প্রশংসাই করতেন। এখনো দু-চারটি লেখা ছাপা হলে পাঠকদের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াই পাই। কিন্তু সংবাদপত্র কর্তৃপক্ষ কেন যেন আমার প্রতি সদয় নন। আমার লেখা ছাপতে বেশির ভাগ পত্রিকারই এক ধরনের অনীহা আছে। দু-একটি ‘ছোট’ পত্রিকা অবশ্য আমার লেখা নিয়মিতই গুরুত্ব দিয়ে ছাপতে চান। কিন্তু ওই পত্রিকাগুলোর সার্কুলেশন এতই কম যে, সেখানে লেখা ছাপা হলে সেগুলো কেউ পড়েন কিনা সেটাও বুঝতে পারি না। ফলে ওসব কাগজে লেখার উৎসাহ পাই না। মোটামুটি সার্কুলেশন আছে এমন দু-একটি কাগজে আমার লেখা ছাপা হয়। তবে তাদের মতিগতিও সব সময় বুঝে উঠতে পারি না। একটি লেখা কেন ছাপা হয় কিংবা আরেকটি কেন হয় না সেটাও বুঝে উঠতে পারি না। লেখা নয়, লেখকের নামটিই এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা কর্তৃপক্ষের কাছে?

আজকাল দু-একটি ছোট রাজনৈতিক দলের বড় নেতাকেও সংবাদপত্রের কলাম লিখতে দেখা যায়। তাদের লেখা কি পাঠকদের কাছে খুবই পছন্দের? তাদের লেখা পাঠক পছন্দ করেন অথচ তারা যে রাজনীতি করেন তার প্রতি মানুষের সমর্থন এত কম কেন সেটা বুঝে উঠতে পারি না। এখন কলাম লেখক হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারাও বেশ জনপ্রিয় বলেই মনে হয়। না হলে তাদের লেখা সংবাদপত্র এত গুরুত্ব দিয়ে ছাপে কেন? ভাগ্যিস সব সময় পরিস্থিতি এমন ছিল না। থাকলে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, আবদুস সালাম, জহুর হোসেন চৌধুরী, আবু জাফর শামসুদ্দীন, আহমেদুর রহমান (ভীমরুল), সন্তোষ গুপ্ত, আবদুল গাফ্্ফার চৌধুরী, এম আর আক্তার মকুল, খন্দকার আবদুল হামিদ, বজলুল রহমানেরা কি ডাকসাইটে সাংবাদিক হয়ে উঠতে পারতেন?

বিএনপির পক্ষ থেকে বরাবরই অভিযোগ করা হয়, দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই। বিরোধী দলের স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ নেই। কিসের ভিত্তিতে তারা এ অভিযোগ করেন আমার কাছে সেটা স্পষ্ট নয়। আমার তো মনে হয়, সংবাদপত্রগুলোকে সরকার যতটা না নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে তার চেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন পত্রিকার পরিচালনা কর্তৃপক্ষ। সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদকীয় নীতিমালা আজ একরকম তো কালই আরেক রকম বলেই সম্ভবত। একটি কাগজে আমার একটি লেখা ছাপা হলে দ্বিতীয় লেখার ক্ষেত্রেই দেখা যায় ছাপতে সমস্যা হচ্ছে। সমস্যাটা কেন হচ্ছে তার ব্যাখ্যা সম্পাদনা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া যায় না। মাঝে মাঝে নিজের কাছেই প্রশ্ন জাগে, এই যে এত বছর ধরে লিখে চলেছি তারপরও কি বুঝতে পারি না কোনটা লেখা উচিত অথবা কোনটা উচিত নয়! আমার নিজের ধারণা, লেখালেখির ব্যাপারে আমি যথেষ্ট যত্নবান। রাজনৈতিক মতামত দেওয়ার ক্ষেত্রে চটুল মন্তব্য করা আমার স্বভাববিরুদ্ধ। আমার লেখা কারও ভালো লাগতে না-ই পারে, কেউ মনে করতে পারেন আমার মতামত পক্ষপাতদুষ্ট, কিন্তু আমি অত্যন্ত জোর দিয়ে এই দাবি করতে পারি যে, যুক্তিহীনভাবে পক্ষপাতিত্ব আমি কখনো করি না।

আমি জানি, একটি লেখায় সব ধরনের পাঠককে খুশি করা যায় না। কোনো লেখকের পক্ষেই সেটা সম্ভব নয়। তা ছাড়া আমাদের সমাজ এখন তীব্রভাবে রাজনৈতিক বিভাজনের শিকার। অনেকেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমালোচনা করে থাকেন। বলা হয়ে থাকে, এ দুই দলের জন্যই দেশের রাজনীতি আজ সংঘাতময় ও প্রতিহিংসাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ দুই দলের পরস্পর বিশ্বাসহীনতার রাজনীতি দেশকে আজ এক বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়েছে। দলীয় রাজনীতির প্রতি সাধারণ মানুষের পক্ষপাতও আজকাল প্রবল। সে জন্যই আমাদের দেশের রাজনীতি অপরাজনীতির ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। আমরা যে কারণের জন্য আওয়ামী লীগকে অপছন্দ করি, দেখা যায় ঠিক একই কারণের জন্য আবার বিএনপিকে পছন্দ করি। উল্টোটাও হয়। বিএনপি যে কাজ করলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে, প্রায় একই কাজ আওয়ামী লীগ করলে তেমন সমালোচনা হয় না। আমাদের দেশে একজন আওয়ামী লীগ সমর্থক যেমন বিএনপিকে কখনই সমর্থন করবে না, তেমনি একজন বিএনপি সমর্থকও আওয়ামী লীগের দিকে সুদৃষ্টি দেবে না। এই বাস্তব অবস্থায় কোনো রাজনৈতিক লেখাই সব ধরনের পাঠককে খুশি করতে পারে না। বিএনপির কাছে যেটা অপছন্দের, আওয়ামী লীগের কাছে সেটা পছন্দের হবেই।

কাজেই লেখালেখিতে আমি ‘নিরপেক্ষ’ হওয়ার ভান করি না। সম্ভবত আমার নামের কারণেই একশ্রেণির পাঠক অবশ্য ধরেই নেন, আমি যা-ই লিখি না কেন সেটা আওয়ামী লীগের পক্ষে না গিয়ে পারে না। বিএনপির পক্ষে যায় এমন কিছু লেখা নাকি আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি অবশ্য নিজের অবস্থান হয় আওয়ামী লীগ, না হয় বিএনপি— এভাবে দেখি না। মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যগুলোকে আমি অত্যন্ত জোরালোভাবে ধারণ করি। এখন এই ধারণাগুলোর সঙ্গে যে রাজনৈতিক ধারার মিল হয় সেই ধারার প্রতি আমার পক্ষপাত থাকাটাই স্বাভাবিক। এসব ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের যদি বিচ্যুতি ঘটে তাহলে আওয়ামী লীগের পক্ষে দাঁড়ানো আমার পক্ষে সম্ভব হয় না। আবার বিএনপি যদি সব সময় এই ধারাগুলোকে পাস কাটিয়ে চলতে চায় তাহলে আমার কোনো লেখায় বিএনপির প্রতি পক্ষপাত আসাটা কঠিন। তবে একটি বিষয় আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, সাংবাদিক হিসেবে কোনো দলীয় রাজনীতির সঙ্গে আমার সামান্যতম কোনো যোগাযোগ বা সম্পর্ক নেই। আওয়ামী লীগের সমর্থক তালিকায় আমার নাম আছে বলেও মনে হয় না। লেজুড়বৃত্তি বলতে যে বিষয়টি বোঝায় সেটা যে আমি একেবারেই করতে পারি না তার বড় প্রমাণ, সরকারের কোনো ধরনের দাওয়াতের তালিকায় আমার নাম নেই। এই যে, প্রধানমন্ত্রীর দরবারে এত এত সাংবাদিক নানা উপলক্ষে তসরিফ আনেন, কই, আমি তো সে দরবারে শামিল হওয়ার সুযোগ একবারের জন্যও পেলাম না। কেউ হয়তো বলবেন, সবাই তো আর পেয়ে আওয়ামী লীগ হয় না। না পেয়েও অনেকে আওয়ামী লীগ হতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আমাকে সম্ভবত দ্বিতীয় অর্থাৎ না-পাওয়ার দলে ফেলা হয়েছে।

কলাম লিখে দু-একজনের কপাল ফেরার কথাও শুনি। আমার হয়েছে পোড়া কপাল। আমার ভাগ্যে কোনো কিছুতেই সিঁকে ছিঁড়ে না। আমার জীবনের বিড়ম্বনার কোনো শেষ নেই। গণমাধ্যমের এত প্রসার ঘটার পরও কোনো গণমাধ্যমে আমার চাকরি হয় না। এই শেষ বয়সে এসে প্রায় বেকার জীবনযাপন করছি। বিভিন্ন পত্রিকা অফিসে ধরনা দিয়েও একটি কাজ জোটাতে পারিনি। এটা কি কেউ বিশ্বাস করেন? বন্ধুদের কেউ কেউ অবশ্য বিদ্রূপ করে বলেন, আমি নাকি ‘আনলাকি’। নইলে সাপ্তাহিক যায়যায়দিনে রাজনৈতিক কলাম লিখে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ওঠার পরও আমি এখন কেন ‘নো হয়্যার’? কারও কারও ধারণা, আমার নিশ্চয়ই বিশেষ কোনো সমস্যা আছে। না হলে আমাকে কেন সংবাদপত্র জগৎ ‘ব্রাত্য’ মনে করছে? আমি নিজেও আজকাল বোঝার চেষ্টা করছি, আসলে আমার সমস্যাটা কোথায়? যতটুকু বুঝতে পারছি তাতে মনে হচ্ছে, আমার সমস্যা হলো, আমি যখন যেমন তখন তেমন হতে পারি না। হাওয়া বুঝে চলতে পারি না, হাওয়ার সঙ্গে চলতে পারি না। এখন যদি হাওয়াপন্থি হওয়ার চেষ্টা করি তাতে সুফল পাব কী?

ইদানীং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায়ই যেসব পাঠক ফোন করেন তাদের অনেকেই আমার কাছে জানতে চান আমি কেন বাংলাদেশ প্রতিদিন-এ নিয়মিত লিখি না। তাদের ধারণা আমি সম্ভবত প্রতিদিন-এ নিয়মিত লিখতে চাই না। প্রকৃত ঘটনা কিন্তু তা নয়। প্রতিদিন-এ নিয়মিত লেখা না-লেখার বিষয়টি মোটেই আমার ওপর নির্ভর করে না। এটা নির্ভর করে পত্রিকার কর্তৃপক্ষের ওপর। প্রতিদিন কর্তৃপক্ষ যদি মনে করতেন আমার লেখা তাদের পাঠকদের কাছে পছন্দের তাহলে হয়তো আমাকে নিয়মিত লেখার প্রস্তাব দেওয়া হতো। কিন্তু আমি তো এখন প্রতিদিনে অনেকটা জোর করেই লিখি। একটি লেখা পাঠিয়ে দিনের পর দিন ‘সিরিয়াল’ পাওয়ার অপেক্ষায় থাকি। আমার মতো একজন সিনিয়র সাংবাদিকের পক্ষে (আমার চেয়ে পেশায় পরে আসা অনেককেই আজকাল সিনিয়র সাংবাদিক বলা হয়, সে জন্য আমিও নিজেকে সিনিয়র না ভেবে পারছি না) পত্রিকা অফিসে লেখা পাঠিয়ে তা ছাপার জন্য সম্পাদকীয় বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে তদবির করাটা একেবারেই শোভন মনে হয় না। তারপরও গরজ বড় বালাই। লেখা ছাপা হলে নাম হয় আমার। পাঠকরা আমার প্রশংসা করেন, তাতে আমার ভালো লাগে। কাজেই মাঝেমাঝে ধৈর্যহীন হয়ে লেখার ভবিষ্যৎ জানার জন্য সম্পাদকীয় বিভাগে ফোন করি। অনেক সময় সে ফোন কেউ ধরেনও না। এ অবস্থায় আমার আসলে কী করণীয় তাও ভালো বুঝতে পারি না। ‘প্রতিদিন’ একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকা। এর সার্কুলেশন অন্য সব পত্রিকার জন্য ঈর্ষার কারণ। এ পত্রিকায় মাঝে মাঝে যে আমার লেখা ছাপা হয় এতেই আমি কৃতার্থ, ধন্য।  আমি তো তাদের কাছে আমার লেখা আরও বেশি বেশি ছাপানোর বায়না ধরতে পারি না! আপনাদের পলিসির বাইরে গিয়ে আমার লেখা নিয়মিত ছাপার ব্যবস্থা করার।

আমি পক্ষপাতমুক্ত লেখাই লিখতে চাই। কিন্তু আমাদের দেশে অনেকের মধ্যেই একটা ধারণা বদ্ধমূল হয়ে আছে যে, কোনো লেখা যদি আওয়ামী লীগের পক্ষে যায় তাহলে লেখক তার নিরপেক্ষতা হারান। আবার বিএনপির পক্ষে গেলে সে লেখা যথার্থ ‘নিরপেক্ষ’। বিএনপির প্রতি পক্ষপাত দেখিয়ে নিরপেক্ষ যেমন আমি হতে পারব না, ঠিক তেমনি এটাও ঠিক যে আওয়ামী লীগের প্রতি অন্ধ আনুগত্য পোষণ করাও আমার পক্ষে সম্ভব নয়।  আমার এই অবস্থানের পক্ষে দাঁড়ানো যদি ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ যৌক্তিক মনে করে, কেবল তাহলেই হয়তো তারা আমার লেখা ছাপানোর ব্যাপারে আরেকটু সদয় হতে পারে বা উদারতা দেখাতে পারে।

     লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল : [email protected]

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর