শুক্রবার, ৩০ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

আল্লাহ ও রসুলের প্রতি অনুগত থাকতে হবে

মাওলানা মুহাম্মদ আশরাফ আলী

সৃষ্টিকূলের মধ্যে মানুষকে শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীতে মানুষকে পাঠানো হয়েছে আল্লাহর খলিফা হিসেবে। মানুষ আল্লাহর খলিফা হিসেবে তার হুকুম অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে এমনটিই কাঙ্ক্ষিত। যারা এ ক্ষেত্রে সাফল্যের পরিচয় দেবেন তাদের আখেরাতে পুরস্কৃত করা হবে। যারা পৃথিবীর সাময়িক জীবনে আল্লাহ এবং তাঁর রসুলের প্রতি, আসমানি কিতাবের প্রতি অনুগত থাকবে কিয়ামতে তারা পুরস্কার হিসেবে পাবে জান্নাত আর যারা সে ক্ষেত্রে অক্ষমতা দেখাবে তাদের জন্য অপেক্ষা করবে জাহান্নাম।

পৃথিবীতে মানুষ ক্ষুদ্র সময় অবস্থান করলেও অন্য একদিক থেকে সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়টি হলো আল্লাহর প্রতি মানুষ কতটা অনুগত তার পরীক্ষা দেওয়ার সময়। এ পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হবে তারা আল্লাহর অনুগত বলে বিবেচিত হবে। যারা অনুত্তীর্ণ হবে তারা অভিশপ্ত জীবনের অধিকারী হবে। পৃথিবী যে মানুষের জন্য পরীক্ষাগার এ বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে পবিত্র কোরআনের সূরা আল কাহেদর ৭ ও ৮ নং আয়াতে। ইরশাদ করা হয়েছে, ‘পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে, তাকে আমি তার জন্য শোভাস্বরূপ সৃষ্টি করেছি, যাতে তাদের (মানুষের) মধ্যে যে অধিক ভালো কাজ করে, তা পরীক্ষা করতে পারি। আর তাকে আমি এক সময় (কেয়ামতের জন্য) তৃণহীন ভূমিতে পরিণত করব’।

পৃথিবী যে মানুষের পরীক্ষার স্থল, স্রষ্টার প্রতি আনুগত্য প্রকাশের স্থান তা ওই আয়াতে স্পষ্টভাবে আভাস দেওয়া হয়েছে। আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানে জাগতিক লোভ-লালসা ও ক্ষণিকের মোহ থেকে ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। সত্যের প্রতি অনুগত হতে হবে। পবিত্র কোরআন এবং সুন্নাহর নির্দেশনা অনুযায়ী চলতে হবে। সব ধরনের অসত্য ও অকল্যাণ থেকে দূরে থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে সক্ষমতার পরিচয় দিলে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ সম্ভব হবে। পবিত্র কোরআনে সূরা আল-ইনশিকাকের ৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘হে মানুষ। নিশ্চয় তুমি কষ্টের পরেই তোমার পালনকর্তার সাক্ষাৎ পাবে।’

মহান সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ে আমরা যাতে তাঁর কাছে নিজেদের অনুগত বান্দা হিসেবে প্রমাণ করতে পারি তা দুনিয়ার জীবনে নিশ্চিত করতে হবে।  আল্লাহ আমাদের তাঁর প্রতিটি হুকুম মেনে চলা এবং তাঁর প্রিয় হাবিব রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত অনুযায়ী চলার তৌফিক দান করুন।

লেখক : ইসলামী গবেষক।

সর্বশেষ খবর