১৩৯৩ খ্রিস্টাব্দে গিয়াসউদ্দীন আযম শাহ সিংহাসনে আরোহণ করেন। তার সুদীর্ঘ রাজত্বকালের মধ্যে আসাম অভিযানের ব্যর্থতা, জৌনপুরের রাজা খাজা জাহানের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন এবং চীনের সম্রাট ইয়ংলোর প্রেরিত প্রতিনিধি দলের অভ্যর্থনা ও উপহার প্রেরণ এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আইনের প্রতি আযম শাহের অনুরাগ ছিল। তিনি কাব্যরসিক ছিলেন। একছত্র কবিতা রচনা করে দ্বিতীয় পদ পূরণের জন্য তিনি বিখ্যাত কবিদের কাছে পাঠাতেন। এ সম্পর্কে প্রসিদ্ধ ইরানি কবি হাফিজের সঙ্গে তিনি পত্র বিনিময় করতেন। চীন সাম্রাজ্যের সঙ্গে তার দূত বিনিময় হয়েছিল। ইলিয়াস শাহী সুলতানগণ বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। সুলতান গিয়াসউদ্দীন আযম শাহের আমলে প্রথম বাঙালি কবি শাহ মুহম্মদ সগীর ‘ইউছুফ-জোলেখা’ কাব্য রচনা করেন। বিখ্যাত সুফি সাধক নূর কুতুব-উল-আলম তার বন্ধু ছিলেন।