রবিবার, ৯ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য

ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ধৃষ্টতা

ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোর একাংশ নিজেদের আইনের ঊর্ধ্বে ভাবার প্রবণতায় ভুগছে বললেও অত্যুক্তি হবে না। আদালতের নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করার দৃষ্টতাও দেখাচ্ছে তারা। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পুনঃভর্তি ফি, সেশন ফি, একাডেমিক ফি বা অন্য কোনো নামে ফি আদায় করা যাবে না বলে গত ২৫ মে হাই কোর্ট নিষেধাজ্ঞা দিলেও অনেক স্কুলে এ নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। আদালতকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে কোনো কোনো স্কুল হরেক নামে ফি আদায়ের মহোৎসব অব্যাহত রেখেছে। আদালতের রায়ে বলা হয়, শ্রেণি পরিবর্তন হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বার্ষিক পুনঃভর্তি ফি বা সেশন ফি নেওয়া বেআইনি। কোনো কোনো ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এ নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে অন্য নামে পুনঃভর্তি ফি আদায় করছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নীতিমালা না থাকায় খেয়ালখুশি মতো চলছে দেশের ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান। অনেক স্কুলে কর্মরত শিক্ষকদের নামমাত্র বেতন দেওয়া হলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে গলাকাটা ফি। রাজধানীর ওয়ারীর ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড স্কুলে পুনঃভর্তি ফির নাম পাল্টে নেওয়া হয়েছে ‘অন্যান্য ফি’ নামে। জুন-জুলাই শিক্ষাবর্ষে ছাত্রছাত্রীদের কাছে স্কুলটি অন্যান্য ফি নামের ভুতুড়ে খাতে হাতিয়ে নিচ্ছে ১৫ হাজার টাকা। স্কুলটির বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন অনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষাসচিব বরাবর লিখিত আবেদনও জমা দিয়েছেন। আবেদনে অভিভাবকরা বলেছেন, স্কুলটিতে ফরমের মাধ্যমে ‘বিবিধ ফি’র নামে ১৫ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। অথচ আগের ফরমে ‘সেশন ফি’ নামে এ টাকা নেওয়া হতো। রাজধানীর বনশ্রীর কর্ডোভা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এখনো ‘পুনঃভর্তি ফি’ আদায় করা হচ্ছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফি আদায়ের মহোৎসব চলছে রাজধানীর বেশির ভাগ ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে।  তাদের এই বেপরোয়া মনোভাব অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করছে।  আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে সরকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে— এমনটিই প্রত্যাশিত।

সর্বশেষ খবর