মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

চিকুনগুনিয়া নিয়ে কিছু কথা

অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ

চিকুনগুনিয়া নিয়ে কিছু কথা

ঘরে ঘরে এখন চিকুনগুনিয়া, যা বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য সমস্যা। রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, বাস-ট্রেন, আড্ডা এমনকি বিভিন্ন গণমাধ্যমে একই আলোচনা। এ শতাব্দীর শুরুতে ডেঙ্গু যখন ভয়াবহ রূপ ধারণ করে, তাও এ রকম আলোড়ন তুলেছিল। আর বর্তমানে চলছে চিকুনগুনিয়ার ভয়াবহতা নিয়ে সর্বত্র শোরগোল। রোগটি ভয়াবহ বা জীবনঘাতী নয়, চিকিৎসকের এমন শত আশ্বাসবাণী সত্ত্বেও জনগণ মোটেই ভরসা রাখতে পারছে না। হঠাৎ করে এ রোগের প্রকোপ এত বেড়ে গেছে যে, মানুষের মধ্যে রীতিমতো আতঙ্ক বিরাজ করছে। এক পরিবারের কারও হলে অন্য সদস্যরাও আক্রান্ত হচ্ছে। রোগটি মহামারী না হলেও এটা যে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই।

চিকুনগুনিয়া কেন হয় : রোগটি ভাইরাসজনিত, ডেঙ্গুজ্বরের মতো এডিস ইজিপটাই ও এডিস অ্যালবপিকটাস মশার কামড়ের মাধ্যমে মানবশরীরে প্রবেশ করে। চিকুনগুনিয়া মানবদেহ থেকে মশা ও মশা থেকে মানবদেহে ছড়ায়। মানুষ ছাড়াও বানর, পাখি, তীক্ষ দন্ত প্রাণী যেমন ইঁদুরে এ ভাইরাসের জীবনচক্র বিদ্যমান। মশা কামড় দেওয়ার চার থেকে আট দিনের মধ্যে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়।

চিকুনগুনিয়ার ইতিহাস : চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাসজনিত অসহনীয় ব্যথাসংবলিত যন্ত্রণাদায়ক জ্বর। প্রথম ১৯৫২ সালে আফ্রিকার দক্ষিণ-পূর্ব তানজানিয়া ও উত্তর মোজাম্বিক বর্ডার এলাকায় মাকন্ডি জাতির মধ্যে পাওয়া যায়। ২০০৬ সালে ভারতে কয়েক হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়, ২০০৭ সালে ইতালি, ফ্রান্স, ক্রোয়েশিয়া ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে রোগটির প্রাদুর্ভাব ছিল ভয়াবহ। ২০১৫ সালে আমেরিকার বহু দেশে রোগটির ভয়াবহতা টের পাওয়া যায়। বাংলাদেশে ২০০৮ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথম চিকুনগুনিয়া রোগী শনাক্ত হয়। ২০১১ সালেও দোহারে কিছু কিছু লোক আক্রান্ত হয়। অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে এ বছর রোগটি রাজধানীতে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশে রোগটির প্রাদুর্ভাব। মূলত আফ্রিকা, এশিয়া ও ভারতীয় উপমহাদেশে এ রোগের প্রকোপ বেশি।

নামটি চিকুনগুনিয়া কেন : শব্দটি আফ্রিকান, রোগটিকে মাকন্ডি জাতির স্থানীয় ভাষায় বলা হয় কিমাকন্ডি, যার অর্থ ‘টু বিকাম কনটরটেড’ বা ‘দুমড়ানো অবস্থা’। অনেকটা ‘ধনুকের মতো বেঁকে যাওয়া’। আসলে ব্যথার তীব্রতায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয় যে, রোগী ধনুকের মতো সামনে বেঁকে হাঁটে। এ জ্বরকে স্থানীয় ভাষায় ‘ল্যাংড়া জ্বরও’ বলা হয়। কারণ হাঁটুসহ শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে বা গিরায় এত ব্যথা হয় যে, রোগীকে নুইয়ে পণ্ড করে ফেলে।

চিকুনগুনিয়ার মূল সমস্যা বা লক্ষণ : রোগের শুরুতে প্রচণ্ড জ্বর, বমিবমি ভাব বা বমি, মাথাব্যথা, শরীর দুর্বল, শরীরে লাল র‍্যাশ এবং সর্বশরীরে বিশেষ করে মাংসপেশি, মেরুদণ্ড বা অস্থিসন্ধিতে তীব্র ব্যথা এমনকি ফুলাও থাকে, চলাফেরা কঠিন হয়ে যায়। প্রচণ্ড জ্বরে রোগী অচেতনও হতে পারে। তিন-চার দিনের মাথায় জ্বর সেরে যাওয়ার পরও অনেকেই দুর্বলতা, অরুচি এবং বমিভাব অনুভব করেন। কারও কারও ভাষায় চলে আসে জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা। আবার কিছু রোগী তীব্র গিঁঠের ব্যথায় ভোগে, ফলে স্বাভাবিক কাজকর্ম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। এ সমস্যা কয়েক মাস পর্যন্ত থাকতে পারে।

চিকুনগুনিয়ার লংটার্ম ইফেক্ট কী : চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের ৮০ থেকে ৯০ ভাগ রোগী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আরোগ্য লাভ করে। শতকরা ১০ ভাগের কম রোগী জ্বর চলে যাওয়ার পরও শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট বা গিরায় এবং মাংসপেশিতে প্রচণ্ড ব্যথায় ভোগে, যার অধিকাংশই দু-এক সপ্তাহের মধ্যেই দ্রুত আরোগ্য লাভ করে। স্বল্পসংখ্যক রোগী কয়েক মাস পর্যন্ত মারাত্মক ব্যথায় ভুগতে পারে। ব্যথার তীব্রতা এত বেশি যে, আক্রান্তের অনেকেই দীর্ঘদিনের জন্য স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। একমাত্র ভুক্তভোগী ছাড়া অন্য কেউ এর তীব্রতা অনুভব করতে পারবে না। অনেক রোগী এমনভাবে বলে যে, তাদের হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভর্তা বানিয়ে ফেলা হয়েছে।

চিকুনগুনিয়া শনাক্তকরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা কী এবং কী করা জরুরি? : লক্ষণগুলো দেখে খুব সহজেই রোগ শনাক্ত করা যায়। পাঁচ-সাত দিন পর রক্তে ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যা পাঁচ-সাত দিন পর রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়। এ সময়ের আগে পরীক্ষাটি করলে পজিটিভ হওয়ার সম্ভাবনা কম। আর-টি-পিসিআর এবং সেরোলজির মাধ্যমে ভাইরাস শনাক্ত করা যায়। রোগীর আর্থিক সামর্থ্য না থাকলে এ পরীক্ষাগুলো করার প্রয়োজন নেই, এতে চিকিৎসায় কোনো লাভ হবে না। তবে রক্তের কমল্লিট ব্লাড কাউন্ট করা উচিত জ্বরের চার-পাঁচ দিন পর।

চিকুনগুনিয়ার চিকিৎসা কী? : চিকিৎসা মূলত উপসর্গভিত্তিক। জ্বরের জন্য শুধু প্যারাসিটামল-জাতীয় ওষুধই যথেষ্ট। একটি বা দুটি ট্যাবলেট তিন বেলা অথবা সাপোজিটরি ব্যবহার করা যায়। পানি দিয়ে শরীর স্পঞ্জ করা এবং রোগীকে পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে। প্রচুর পানি, ডাবের পানি, শরবত, গ্লুকোজ, স্যালাইন, স্যুপ-জাতীয় তরল খাদ্য এবং স্বাভাবিক খাবার খেতে হবে।

কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে বা হাসপাতালে নিতে হবে?  : পাঁচ দিনের বেশি জ্বর থাকলে, শরীরে বেশি র‍্যাশ উঠলে, অস্থিসন্ধির তীব্র ব্যথা থাকলে, প্রেসার দ্রুত ওঠানামা করলে, প্রস্রাব অনেক কমে গেলে, শরীরের কোথাও রক্তপাত এবং মস্তিষ্কে সংক্রমণ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ খাওয়া উচিত হবে না।

গিঁঠে ব্যথা থাকলে করণীয় : অতিরিক্ত পরিশ্রম বা ভারী কাজ কম করা এবং বিশ্রামে থাকতে হবে। তবে হালকা সহনীয় ব্যায়াম করা ভালো। প্লাস্টিকের ব্যাগে ঠাণ্ডা বরফকুচি দিয়ে সেঁক দিলে ব্যথা উপশম হয়। গরম সেঁক পরিহার করতে হবে। হালকা ম্যাসাজ এবং ফিজিওথেরাপি নেওয়া যেতে পারে। প্যারাসিটামল খেলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যথা নিরাময় হয়। অন্য ব্যথার ওষুধ যেমন আইবুপ্রোফেন, ডাইক্লোফেনাক, ন্যাপ্রোক্সেন কোনোক্রমেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়।

স্টেরয়েড-জাতীয় ওষুধ দেওয়া যাবে কী? : স্টেরয়েডের ব্যবহার নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) গাইডলাইন অনুযায়ী বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন দীর্ঘস্থায়ী এমনকি মারাত্মক ব্যথায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শর্ট কোর্স স্টেরয়েড দেওয়া যেতে পারে।

ত্বকে র‍্যাশ হলে করণীয় : জ্বর কমে গেলে দু-তিন দিন পর এমনিতেই র‍্যাশ কমতে থাকে। অনেকের তীব্র চুলকানি এবং ত্বকের রং কালচে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে অ্যান্টি হিস্টামিন, কেলামিন লোশন ব্যবহার করা যায়। তীব্র চুলকানি হলে চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

অতিরিক্ত দুর্বলতায় করণীয় : অন্যান্য ভাইরাস জ্বরের মতো চিকুনগুনিয়ায়ও শরীরের মেটাবলিক সিস্টেমে বিঘ্ন, শরীরে পুষ্টি ঘাটতি, শরীর দুর্বল এবং অনেকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে নতুন অন্য অসুখ বা সেকেন্ডারি ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রচুর তরল-জাতীয় খাবার যেমন শরবত, ডাবের পানি, ফলের রস, ডাল, স্যুপ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি রোগীকে স্বাভাবিক যে কোনো পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়া যাবে। ভিটামিন সি-যুক্ত ফল যেমন কমলা, মাল্টা, লেবু, জাম্বুুুরা, আনারস ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করবে। এর পরও দুর্বলতা না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বয়স্কদের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি : বয়স্করা চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হলে যথেষ্ট ঝুঁকির আশঙ্কা থাকে। যাদের ক্রনিক রোগ রয়েছে বিশেষ করে ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, হৃদরোগ, ক্যান্সার, হাঁপানি ইত্যাদি, চিকুনগুনিয়া হলে তারাই মূলত হাই রিস্কের মধ্যে থাকেন। বয়োবৃদ্ধদের রোগপ্রতিরোধ ও সহ্য করার ক্ষমতা অনেক কম। তাদের চিকুনগুনিয়া হলে গিরায় গিরায় যে প্রচণ্ড ব্যথা হয় তার ধকল সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। যদিও আলাদা চিকিৎসা নেই, তবুও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত এবং প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। তারা যেন শুধু প্যারাসিটামল খেয়ে ঘরে শুয়ে না থাকেন।

অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যাবে কি না? : চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক দিলে রোগীর অবস্থা খারাপ হবে এমন ভুল ধারণা অনেকের মধ্যে আছে। যেহেতু এ রোগ ভাইরাসজনিত, তাই অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই। তবে অন্য কোনো রোগ যেমন টাইফয়েড, প্রস্রাবের বা বুকের ইনফেকশন বা সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে প্রয়োজনে চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারবেন। এতে চিকুনগুনিয়ায় কোনো জটিলতা হবে না।

গর্ভাবস্থায় চিকুনগুনিয়া কি বিপজ্জনক? : গর্ভাবস্থায় চিকুনগুনিয়া হলে অন্য উপসর্গগুলো ছাড়াও মুখে ঘা, পাতলা পায়খানা, রক্ত জমে যাওয়া ও রক্তচাপ কমার আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া রক্তক্ষরণ, অতিরিক্ত বমি, খিঁচুনিসহ অন্যান্য জটিলতা দেখা দিতে পারে। গর্ভের শিশুর ক্ষতি এমনকি গর্ভপাতও হতে পারে। তাই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।

স্তনদানকারী মা ও শিশুর যত্ন : এ ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা ও যত্ন নিতে হবে। বুকের দুধের মাধ্যমে চিকুনগুনিয়া ছড়ায় না। তাই আক্রান্ত মায়ের শিশুকে বুকের দুধ দিতে কোনো বাধা নেই।

জ্বর সেরে গেলে শরীরে কত দিন ভাইরাসটি থাকে? : চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস সাধারণত এক সপ্তাহ পর্যন্ত শরীরে বা রক্তে বিদ্যমান থাকে। এ সময় এডিস মশা রোগীকে কামড় দিলে সেই মশার মাধ্যমে অন্যেরাও আক্রান্ত হতে পারে। অর্থাৎ সংক্রমিত মশা থেকে অন্যদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই এ সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাঁচ-সাত দিন পর রক্তে ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। এরপর শরীরে আর ভাইরাস থাকে না।

চিকুনগুনিয়া কি ছোঁয়াচে? : রোগটি মোটেই ছোঁয়াচে নয়, মশার কামড়ের মাধ্যমে হয়। আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে থাকলে, এক বিছানায় ঘুমালে, একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করলে রোগ ছড়াবে না। তবে আক্রান্তের সাত দিনের মধ্যে মশা কামড়িয়ে সঙ্গে সঙ্গে পাশের আরেকজনকে কামড়ালে রোগ ছড়াতে পারে।

চিকুনগুনিয়ায় মৃত্যুঝুঁকি নেই কথাটি কতটুকু সত্য? : চিকুনগুনিয়ায় মৃত্যুঝুঁকি নেই। তবে যারা অন্যান্য রোগে ভোগেন যেমন ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, হৃদ, ক্যান্সার, হাঁপানি ইত্যাদি, তাদের বেলায় রোগটি ঝুঁকিপূর্ণ।

প্রতিরোধ কীভাবে করা যায় : চিকুনগুনিয়া জ্বরের কোনো প্রতিষেধক, ভ্যাকসিন বা টিকা এখনো আবিষ্কার হয়নি। এ রোগ থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রতিরোধের গুরুত্বটাই বেশি। রোগ থেকে উদ্ধার পাওয়ার একটাই উপায়— মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করা এবং এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ করার জন্য মশার আবাসস্থল এবং আশপাশের প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করা। অর্থাৎ ব্যক্তিগত সতর্কতা ও মশা প্রতিরোধটাই জরুরি।

লেখক : ডিন, মেডিসিন অনুষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।

সর্বশেষ খবর