বুধবার, ১৯ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

পোশাক শিল্পে বিদেশি বিনিয়োগ

প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে দেশের সক্ষমতা বাড়াবে

দেশের তৈরি পোশাক খাতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ শিল্পের উদ্যোক্তারা এ যাবৎ ছিলেন সংরক্ষণবাদের পক্ষে এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের বিপক্ষে। কিন্তু কৌশলগত কারণে তারা শর্তসাপেক্ষে সে অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা এখন তাদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএর সদস্য হওয়া সাপেক্ষে পোশাক খাতে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ দিতে রাজি। এর ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ইপিজেডের বাইরেও পোশাক কারখানা স্থাপনের সুযোগ পাবেন। তাদের উৎপাদিত পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় বিদেশে রপ্তানিও করা যাবে। স্মর্তব্য, বিভিন্ন দেশের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের পোশাক খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখালেও দেশের পোশাক ব্যবসায়ীদের আপত্তিতে এ খাতে বিনিয়োগ সম্ভব হয়নি। দেশীয় উদ্যোক্তাদের যুক্তি ছিল, তারা পোশাকশিল্পকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে এসেছেন এবং তারাই এ খাতে বিনিয়োগের জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিজিএমইএর বক্তব্য ছিল, ইপিজেড এলাকার বাইরে পোশাক খাতে বিশেষ করে কাটিং ও মেকিংয়ের কাজে বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করা হলে পোশাক খাতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। তবে বাংলাদেশি শিল্পোদ্যোক্তারা সময়ের চাহিদা মেটাতে তাদের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। আইনগতভাবে বিদেশি বিনিয়োগে বাধা দেওয়ার সুযোগ না থাকায় তারা তাদের পুরনো দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন এনেছেন। বিদেশি বিনিয়োগের ফলে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে এমন আশাও করছেন তারা। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। চীনের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। সস্তা পোশাক তৈরিতে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও দামি পোশাক তৈরিতে বাংলাদেশ প্রতিদ্বন্দ্বী চীন, ভারত, ভিয়েতনামসহ আরও কিছু দেশের চেয়ে পিছিয়ে। তৈরি পোশাক শিল্পে বিদেশি বিনিয়োগ হলে মানসম্মত পোশাক তৈরিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়বে। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার আয় যেমন বাড়াবে তেমন তৈরি পোশাক শিল্পে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা বাড়াবে।  পোশাক শিল্পে বিদেশি বিনিয়োগ দেশি বিনিয়োগকারীদের জন্যও লাভবান বলে বিবেচিত হবে। তারাও মানসম্মত পোশাক তৈরিতে নিজেদের আত্মস্থ করতে সক্ষম হবেন।

সর্বশেষ খবর