বুধবার, ১৯ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

সাইবার অপরাধ বাড়ছে

অপরাধীদের আইনের আওতায় আনুন

দেশে হঠাৎ করেই ব্লাকমেইল ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ব্লাকমেইলের মাধ্যমে নারীর সম্ভ্রমহানি করা হচ্ছে। হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে অর্থবিত্ত। রাজধানীতে তো বটেই, দেশের আনাচে-কানাচে প্রতিদিনই ব্লাকমেইলের সঙ্গে যুক্ত অপরাধী চক্রের হাতে অর্থবিত্ত হারাচ্ছে মানুষ। সাধারণত নারীরা ব্ল্যাকমেইলের শিকার হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। উচ্চবিত্ত শ্রেণির ছেলেদেরও টার্গেট করে ব্ল্যাকমেইল করছে সুসংবদ্ধ অপরাধীরা। তাদের কেউ কেউ মডেলিং, র‍্যাম্পিংয়ের নামে ছড়াচ্ছে প্রতারণার জাল। রাজধানীসহ সারা দেশে গত দুই মাসে ঘটেছে বেশ কয়েকটি ব্ল্যাকমেইলের ঘটনা। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অথবা খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে। পরে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া বা সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আদায় করা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। এ জাল থেকে বেরোতে না পেরে অনেকে বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে আত্মহত্যার পথ। প্রতারিতরা বেশির ভাগই নারী। ইন্টারনেটে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রথমে বন্ধুত্ব, প্রেম আর বিয়ের প্রতিশ্রুতি। তারপর দৈহিক সম্পর্ক পাতিয়ে গোপনে অন্তরঙ্গ ছবি বা ভিডিও তৈরি করে বেছে নেওয়া হচ্ছে ব্ল্যাকমেইলের পথ। দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ যেহেতু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউবে সক্রিয় সেহেতু এ মাধ্যমকেই কাজে লাগাচ্ছে একশ্রেণির প্রতারক। ব্ল্যাকমেইলের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এসেছে কাউন্টার টেররিজমের সাইবার ক্রাইম বিভাগে এবং অপরাধীদের কাউকে কাউকে গ্রেফতার করাও হয়েছে। তবুও থামছে না অপরাধ। অপরাধী চক্র ধনী পরিবারের ছেলেদের ব্ল্যাকমেইলে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে মডেল হিসেবে পরিচয় দেওয়া মেয়েদের। উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলের সঙ্গে কৌশলে সম্পর্ক গড়ে তুলছে তারা। অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ইউটিউবে ছেড়ে দেওয়া, পর্নোগ্রাফিতে ব্যবহার করা এবং ধর্ষণ মামলার হুমকি দিয়ে অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে দেশে কড়া আইন থাকলেও সচেতনতার অভাবে অথবা লোকলজ্জার ভয়ে অনেকেই আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করতে ভয় পান। যা অপরাধীদের টিকে থাকতে সাহায্য করছে।  সাইবার অপরাধ দমনে ব্লাকমেইলের শিকারদের সাহস নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি ব্লাকমেইলের শিকার হওয়ার ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর