শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

কর্নেল তাহেরের বিচার প্রহসন ও মৃত্যুদণ্ডের ৪১ বছর

হাসানুল হক ইনু

কর্নেল তাহেরের বিচার প্রহসন ও মৃত্যুদণ্ডের ৪১ বছর

৪১ বছর আগে, ১৯৭৬ সালের ২১ জুলাই বীর দেশপ্রেমিক কর্নেল তাহেরকে দেশদ্রোহিতার মিথ্যা অভিযোগে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দিয়েছিল জিয়াউর রহমানের গোপন সামরিক আদালত। জাতির ইতিহাসে এ এক নির্মম ঘটনা। ফিরে তাকাই, দেখি, কী ঘটেছিল সেই সময়। 

১৯৭৫ সালে বাংলাদেশে নভেম্বর বিপ্লবের কাহিনী কমবেশি সবার জানা। ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতা এক হয়ে তাদের অধিকার আদায়ের জন্য যে অভ্যুত্থান ঘটায়, কর্নেল আবু তাহের ছিলেন তার মূল সংগঠক।  দুর্ভাগ্যজনকভাবে অল্প সময়ের মধ্যেই তারা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার শিকার হন। বেআইনিভাবে তাহেরকে ফাঁসি দেওয়া হয়।  তাহেরের সহযোদ্ধা হিসেবে আমাকেও তার সঙ্গে বন্দী করে অনেকের সঙ্গে গোপন বিচারে দেওয়া হয় ১০ বছরের কারাদণ্ড।

প্রশ্ন হচ্ছে, কর্নেল তাহের যদি অপরাধীই হবেন, তবে কেন প্রকাশ্য আদালতে তার বিচার করা হলো না? কেন কারাগারের গোপন সামরিক আদালতে বিচারের প্রহসন করা হলো? এই ন্যক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রশ্নের অবতারণা হওয়াই স্বাভাবিক এবং জাতির জন্য এ প্রশ্নের উত্তরগুলো জানাও অত্যন্ত জরুরি।

কে কর্নেল আবু তাহের : সংক্ষেপে পরিচয় দিতে বলতে হয়, কর্নেল আবু তাহের বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের একজন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য তিনি তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের এবোটাবাদ দুর্গের বন্দীদশা থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পালিয়ে আসেন এবং ১১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি যুদ্ধ পরিচালনা করেন জনযুদ্ধের নীতিতে। যুদ্ধে অসামান্য সামরিক নৈপুণ্য ও বীরত্ব প্রদর্শন করে যুদ্ধের শেষদিকে সম্মুখ সমরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কামানের গোলার আঘাতে তাহের একটি পা হারান। অসামান্য বীরত্বের জন্য তিনি বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত হন।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি সেনাবাহিনীর প্রথম অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল ছিলেন। সশস্ত্র বাহিনীর পুনর্গঠন ও সংস্কার বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গিগত পার্থক্যের কারণে ১৯৭৪ সালের সেপ্টেম্বরে সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছা অবসরের পর তিনি নদী খনন সংস্থার পরিচালক পদে নিযুক্ত হন। দেশপ্রেম আর সততার জন্য তিনি ছিলেন সর্বজনশ্রদ্ধেয়। 

কেন নভেম্বর বিপ্লব, কেন সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান : ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে খোন্দকার মোশতাক-ফারুক-রশিদ চক্রের ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে দেশে সংবিধান লঙ্ঘন ও অবৈধ ক্ষমতা দখলের রাজনীতির সূচনা হয়। খোন্দকার মোশতাক রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন এবং সেনাপ্রধানকে অপসারণ করে জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করেন। ৩ নভেম্বর সেনাবাহিনীর আরেক উচ্চাভিলাষী কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ জিয়াকে বন্দী করে নিজেকে সেনাপ্রধান এবং বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে ঘোষণা করেন।

বন্দী জিয়া জীবনরক্ষার জন্য সদ্য অবসরে যাওয়া বিপুল জনপ্রিয় কর্নেল তাহেরের প্রতি আবেদন জানান। সেনাবাহিনীর কতিপয় উচ্চাভিলাষী কর্মকর্তার ক্ষমতা দখলের লড়াই ও গণভবন ও ক্যান্টনমেন্টের পরস্পরবিরোধী অবস্থানের ফলে দেশে দ্বৈত শাসন, ক্ষমতার চরম দ্বন্দ্ব দেখা দেয়, রাষ্ট্রীয় জীবনে আসে চরম অনিশ্চয়তা। আর এ লড়াইয়ে সিপাহিদের কামানের গোলার খোরাক বানানোর খেলায় সাধারণ সিপাহিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। সেনাবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা সিপাহিরাও শরণাপন্ন হন তাহেরের।

কর্নেল তাহেরের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সিপাহিরা ঐক্যবদ্ধ হন। শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও ‘একটি সর্বদলীয় গণতান্ত্রিক জাতীয় সরকার’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থানে সংগঠিত হয় নভেম্বর বিপ্লব। বন্দী জিয়াকে তাহেরের নেতৃত্বে মুক্ত করা হয়।

ক্ষমতার মোহে তাহেরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র : কিন্তু মুক্ত হয়েই জিয়া পাল্টে যান। রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য তিনি মোশতাক-খালেদের সামরিক শাসনের ধারাই বহাল রাখেন। বিচারপতি সায়েমও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে বহাল থাকেন। ক্ষমতার মোহে সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে ক্ষমতালিপ্সু চক্র গড়ে তোলার মাধ্যমে জিয়া তাকে মুক্তকারী কর্নেল তাহের ও সিপাহি-সংগঠকদের সরাসরি নিশ্চিহ্ন করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন।

১৯৭৫ সালের ২৪ নভেম্বর কর্নেল তাহেরকে কোনো অভিযোগ বা মামলা ছাড়াই বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতার করা হয়। আগের দিন ২৩ নভেম্বর জাসদ সভাপতি মেজর এম এ জলিল, সাধারণ সম্পাদক আ স ম আবদুর রব ও আমাকে গ্রেফতারের পর ড. আখলাকুর রহমানসহ ব্যাপকহারে জাসদ নেতৃবৃন্দ সিপাহিদের সংগঠক ও কর্নেল তাহেরের সহযোগীদের গ্রেফতার করা হয়।

এর সাত মাস পর ১৯৭৬ সালের ১৪ জুন প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ‘বিশেষ সামরিক আইন আদালত বিধি ১৯৭৬’ অধ্যাদেশ জারি করে এবং ওই দিনই ওই অধ্যাদেশ বলে ‘এক নম্বর বিশেষ সামরিক আইন’ গঠন করা হয়।

এ ধরনের আদালতের বিচারকদের বিচার বিভাগ থেকে নেওয়া হয়ে থাকলেও এখানে বিচার বিভাগ থেকে কাউকেই নেওয়া হয়নি। পাঁচজন বিচারকের তিনজনই ছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর। কর্নেল ইউসুফ হায়দার, চেয়ারম্যান হিসেবে আর উইং কমান্ডার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ ও নৌবাহিনীর কমান্ডার সিদ্দিক আহমদ সদস্য হিসেবে। বাকি দুজন ছিলেন তৎকালীন সামরিক সরকার প্রশাসনের ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তরের প্রথম শ্রেণির দুই ম্যাজিস্ট্রেট যথাক্রমে আবদুল আলী ও হাসান মোর্শেদ। আদালত কক্ষ ছিল ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডিআইজির কক্ষ এবং প্রচলিত বিধান ভঙ্গ করে কারাগারের ভিতরে ছিল সেনাপ্রহরা।

মিথ্যা মামলার শুরু : ১৫ জুন বাংলাদেশ টাইমসের পেছনের পাতায় সরকার ছোট্ট একটা আইন বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে ১১ জনকে ২১ জুনের মধ্যে ‘বিশেষ সামরিক আইন আদালত’-এর সামনে হাজির হতে আদেশ দেয়, অন্যথায় অনুপস্থিতিতে বিচার পরিচালিত হবে বলা হয়। এ সময় দৈনিক ইত্তেফাক শেষ পৃষ্ঠায় ‘ষড়যন্ত্র মামলার শুরু’ শিরোনামে এক ইঞ্চি একটি সংবাদ ছাপালে সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে ক্যান্টেনমেন্টে ডেকে নিয়ে সতর্ক করে সামরিক কর্তৃপক্ষ। মোট ৫২ জনের নামে সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থান দ্বারা বৈধ সরকারকে উত্খাত করার ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রের মিথ্যা অভিযোগে অবৈধ এ মামলায় ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেখানো হয়।

গোপন বিচার ও যুগপৎ ষড়যন্ত্র : ১৯৭৬ সালের জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সমস্ত কর্তৃত্ব সেনাবাহিনী গ্রহণ করে। ওই সময়ে আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখি, খালেদের অন্যতম সহযোগী কারাগারে আটক কর্নেল শাফায়াত জামিলসহ আরও কতিপয় অফিসারকে মুক্ত করে দেওয়া হলো। অর্থাৎ জিয়াকে যারা হত্যা করতে চেয়েছিল, তারা মুক্ত হলো, আর যারা জিয়াকে বাঁচিয়েছিলেন, তাদের বন্দী করে গোপনে বিচারের প্রহসন শুরু হলো। বিচারের নামে প্রহসন : বন্দুকের মুখে কর্নেল তাহেরসহ আমাদের হাতকড়া পরানো অবস্থায় খালি পায়ে টেনেহিঁচড়ে আদালত কক্ষের লোহার খাঁচায় বন্দী করে ২১ জুন শুরু হয় কথিত বিচার।

মামলার কিছুই প্রকাশ না করার শর্ত ভঙ্গ করলে জরিমানা ও তিন বছর কারাদণ্ডের মনগড়া বিধান সত্ত্বেও কেবল ঘটনার সাক্ষী হওয়ার জন্য এই জঘন্য শর্ত মেনে অভিযুক্তদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রহমান খানের নেতৃত্বে জুলমত আলী খান, আমিনুল হক (পরে অ্যাটর্নি জেনারেল), সিরাজুল হকসহ প্রায় ৩০ জন আইনবিদ এভাবে ওই প্রহসনের সাক্ষী হয়ে রইলেন।

তথাকথিত বিচার শুরুর পরই তা আট দিনের জন্য মুলতবি করে আবার মাত্র ১৫ দিন আদালত বসে। আইনজীবী তো দূরের কথা আত্মীয়স্বজনের সঙ্গেও একান্তে পরামর্শের কোনো সুযোগ আমাদের দেওয়া হয়নি। আত্মপক্ষ সমর্থনের প্রস্তুতির জন্য মাত্র আট দিন সময় দেওয়া হয়। অভিযোগের কোনো প্রমাণও আইনজীবীদের দেখানো হয়নি। ছিল না কোনো নিরপেক্ষ সাক্ষী। অকথ্য নির্যাতন করে সাতজন অভিযুক্তকে রাজসাক্ষী করা হয়।

বিচার শুরুর মাত্র ৩২ দিন পর ১৭ জুলাই ১৯৭৬ বিকাল ৪টার দিকে আদালত রায় দেয় কর্নেল তাহেরের মৃত্যুদণ্ড। মেজর জলিল ও আবু ইউসুফ খানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত। মেজর জিয়াউদ্দিনের ১২ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড। আ স ম আবদুর রব, হাসানুল হক ইনু ও আনোয়ার হোসেনের ১০ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড, সিরাজুল আলম খানকে তার অনুপস্থিতিতে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সালেহা ও রবিউল আলমকে পাঁচ বছর, নায়েক সিদ্দিকুর রহমানকে তিন বছর এবং অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ড. আখলাকুর রহমান, মো. শাজাহান, শরীফ নুরুল আম্বিয়া (অনুপস্থিত), মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ ১৩ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। কিন্তু এদের কেউই তখন কারাগার থেকে মুক্তি পাননি। বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাদের বহুদিন আটক রাখা হয়।

সরকারি প্রসিকিউটর দাবি না করা সত্ত্বেও কর্নেল তাহেরের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় ও সামরিক অধ্যাদেশ বা অন্য কোনো আইনে আনীত অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডের কোনো বিধান না থাকায় রায় শুনে হতবাক আইনজীবীরা রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করার কথা বললেও তাহের না করেন।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতের রায় অনুমোদন করেন রাষ্ট্রপতি। প্রত্যাখ্যান করেন মৃত্যুদণ্ড রহিত করতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের জরুরি তারবার্তা। মৃত্যুদণ্ডের অন্তত ২১ দিন পূর্বে জেল সুপারকে ওয়ারেন্ট পাঠানোর বিধান থাকলেও মাত্র তিন দিনের মাথায় ২১ জুলাই ভোর ৪টায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি দেওয়া হয় কর্নেল তাহেরকে।

অন্যায় ঢেকে রাখার ব্যর্থচেষ্টা : মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ১০ দিন পর এই হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিতে ৩১ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনে সামরিক আইনের বিশতম সংশোধনী জারি করে সামরিক বাহিনীতে রাজনৈতিক মতবাদ প্রচারের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান প্রবর্তিত হয়।

কর্নেল তাহেরের ফাঁসির রায়ের আপিল বন্ধে জিয়াউর রহমান সংবিধানে পঞ্চম সংশোধনী আনেন। কিন্তু বাঁচতে পারেননি, শেষ পর্যন্ত সেনাদের হাতেই প্রাণ দিতে হয়েছে তাকে। আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে জীবন দিয়েও শেষ পর্যন্ত ন্যায়বিচার পেয়েছেন কর্নেল তাহের।

সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগে ২০১০ সালের ৭২৩৬, ২০১১ সালে ৮২৬, ১০৪৮ এবং ১০৫৯ নং রিট পিটিশন মামলায় সেই প্রহসনের বিচারের ঘটনাবলী পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার ও পর্যালোচনা করে ২০১১ সালের ২২ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগ রায় দিয়েছে— “এই মৃত্যু দণ্ডাদেশ স্পষ্টতই সামরিক জান্তার বন্দুকের নল থেকে উৎসারিত স্বেচ্ছাচারী আইনের বল প্রয়োগ।  ঠাণ্ডা মাথার খুন ছাড়া এই মৃত্যু দণ্ডাদেশকে আর কী বলা যায়!’

এক সামরিক প্রহসনের আদালতে কর্নেল তাহেরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। দেশের সাংবিধানিক আদালতের বিচার তাকে আবার প্রকৃত দেশপ্রেমিক হিসেবে প্রমাণ করে তার সব মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে। সত্যি হলো এই যে, প্রহসনের আদালতে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেও জনতার আদালত ও আইনের আদালতে তাহের দেশপ্রেমিক এবং জেনারেল জিয়া মূল খলনায়ক।  বাংলাদেশে যাতে আর কখনো কোনো প্রহসনের বিচারে কর্নেল তাহেরের মতো দেশপ্রেমিককে জীবন দিতে না হয় সেটিই সবার চাওয়া।

লেখক : সভাপতি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, জাসদ ও তথ্যমন্ত্রী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

সর্বশেষ খবর