বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

উচ্চ শিক্ষার ভর্তিযুদ্ধ

ভোগান্তি নিরসনের সিদ্ধান্ত কাম্য

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছে উচ্চ শিক্ষার প্রস্তুতি। পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঠাঁই পেতে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। আসন সংকটের কারণে পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া সম্ভব হবে না সিংহভাগ পরীক্ষার্থীর পক্ষে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য গুচ্ছ বা সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির মুখে পড়তে হবে। শুধু শিক্ষার্থী নয়, তাদের সঙ্গে অভিভাবকদেরও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছুটে বেড়াতে হবে। ব্যয় হবে অতিরিক্ত অর্থ। স্মর্তব্য, চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিল ১১ লাখ ৬৩ হাজার ৩৭০। এর মধ্যে পাস করেছে ৮ লাখ ১ হাজার ৭১১ জন। চলতি বছর এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭ হাজার ৯৬৯ ছাত্রছাত্রী। এ ছাড়া জিপিএ-৪ থেকে ৫-এর মধ্যে রয়েছে ২ লাখ ১৬ হাজার ২৮৭, জিপিএ-৩ দশমিক ৫ থেকে ৩-এর মধ্যে রয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৭৮। এসব শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ছুটবে এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে। দেশের ৩৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ৯৫টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন সংখ্যা ৬ লাখ ৩৬ হাজার ৩৪৩টি। এর মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা ৪৮ হাজার ৪১৩টি, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ লাখ ৮৯ হাজার। চলতি বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের মোট আসনের চেয়ে কম হওয়ায় গত কয়েক বছরের চেয়ে তাদের ভর্তিযুদ্ধ কিছুটা হলেও সহজতর হবে। তবে সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা না হওয়ায় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ভোগান্তি থেকেই যাবে। পরীক্ষার জন্য অভিভাবকসহ যাতায়াত, হোটেলে থাকা ইত্যাদির পেছনে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়সহ ঝক্কি-ঝামেলার সম্মুখীন হতে হবে। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির বিষয়টি সহজে অনুমেয়। মেডিকেলের মতো অন্যান্য ক্ষেত্রে সমন্বিত বা গুচ্ছভিত্তিক পরীক্ষার ব্যাপারে ২০০৮ সাল থেকে আলোচনা থাকলেও কোনো সমাধানে না আসার বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক।  এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঔদার্য দেখাবেন এমনটিই প্রত্যাশিত।

সর্বশেষ খবর