সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

উপাচার্য জেলে : সীমাহীন অস্বস্তি

ড. শেখ আবদুস সালাম

উপাচার্য জেলে : সীমাহীন অস্বস্তি

আমরা যারা কোনো প্রতিষ্ঠানে বা অফিস-আদালতে কাজ করি, সপ্তাহ শেষে শুক্র-শনিবার তারা বাসায় একটু নিকটজনকে নিয়ে সময় কাটাতে তৃপ্তি বোধ করি। এই দিন দুটোতে অনেকেই আমরা ঘুম থেকেও উঠি একটু দেরিতে। এ লেখাটি আমি তৈরি করেছি ২১ জুলাই তারিখে। দিনটি ছিল শুক্রবার, ছুটির দিন। ২০ তারিখের বৃষ্টির রাত শেষ করে ভোরে বাসা থেকে বেরিয়ে নিচে নেমেছি, প্রাতভ্রমণে যাব। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ১২তলা ভবনের সাততলায় থাকি। লিফট দিয়ে নিচে নেমে দেখি বাইরে রাতভর বৃষ্টির রেশ এখনো রয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে হাঁটতে যাওয়া মানেই কাকভেজা হয়ে বাসায় ফিরতে হবে। আর এমনটি হলে চলমান চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু অথবা অন্য কী নতুন উপসর্গের শিকার হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে তা ভেবে নিত্যদিনের হাঁটার অভ্যাস থেকে নিজেকে বিরত রাখতে বাধ্য হলাম। ঘরে এসে আবার বিছানায় গিয়ে ঘুম ঘুমভাব আর অলসতাকে আলিঙ্গন করা ছাড়া আমার আর কোনো কাজ রইল না। আমি সেটাকেই বেছে নিলাম।

বিছানায় থাকতে থাকতে সকাল ৮টা নাগাদ যুগপত্ভাবে আমার কানে দুটি শব্দ ভেসে এলো। একটি ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ির ভোঁ, অন্যটি জোরে দরজায় বেল বাজার শব্দ। এর মধ্যেই আমার কন্যা হুড়মুড় করে আমার রুমে ঢুকল আর বলল, আব্বু ইউনিভার্সিটি এলাকায় কোথাও আগুন লেগেছে। ভিসি স্যারের বাসার সোজাসুজি মলচত্বরের দিকে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। খবর নিয়ে জানলাম ঘটনা সত্য, উপাচার্যের বাসভবনের কাছাকাছি একটি ইলেকট্রিক পোলের লাইন জ্বলে গিয়ে প্রচণ্ড ধোঁয়া তৈরি হয়েছে। রাস্তায় মানুষের ছোটাছুটি। খবর পেয়ে ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীরা তা নেভাতে এসেছেন। তাদের গাড়ির সাইরেনের শব্দ মোটামুটি আমাদের খানিকটা সময় হলেও একটু আতঙ্কের মধ্যে ফেলে দিল বৈকি।

দরজায় জোরে বেল বাজার কারণে সৃষ্ট শব্দের মাজেজা হচ্ছে পত্রিকাওয়ালা ছুটিতে থাকায় সময়মতো সে তার গত মাসের বিল নিতে পারেনি। আজ তাই সকালে পত্রিকা দিতে এসে সে আমাকে চাচ্ছে। তার টাকা পাওয়ার তাগিদ রয়েছে বিধায় বোধকরি সে কারণে সে বেলটিও একটু জোরে চেপে ধরে বাজিয়েছে। যাহোক আমি ঘর থেকে বেরিয়ে এসে তাকে বিলের টাকা দিলাম আর একই সঙ্গে সেদিনের (২১.৭.১৭) পত্রিকাটিও তার হাত থেকে নিয়ে নিলাম। অতঃপর পত্রিকা খুলেই একগুচ্ছ সংবাদের দিকে আমার চোখ পড়ল। এদিন আমি আরও দু-একটি পত্রিকা পড়েছি, কয়েকটি টিভি চ্যানেলের খবর শুনেছি এবং স্ক্রলের দিকে চোখ রেখেছি। এসব খবরাখবর পড়তে পড়তে, দেখতে দেখতে এবং শুনতে শুনতে আমার মনে হয়েছে শুক্র-শনিবার কিংবা ছুটির দিনগুলোতেও আসলে এ দেশের কোনো সংবেদনশীল মানুষের পক্ষে স্বস্তিতে থাকার উপায় নেই। সেদিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ওই একদিনের সংবাদগুলোর বিষয়বস্তু পাঠকদের সঙ্গে শেয়ার করার উদ্দেশ্যেই আমার আজকের এই লেখা।

আমি আমার পত্রিকার হকারের কাছ থেকে যে পত্রিকাটি সেদিন হাতে নিয়েছি তার প্রথম পৃষ্ঠায় ছিল সাতটি খবর। প্রথম খবরটির হেডলাইন ছিল ‘দেশে ৭টি নতুন রোগ—পুরনো রোগও নতুনভাবে আসছে’। ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষ এখন চিকুনগুনিয়া এবং ডেঙ্গু আতঙ্কে আতঙ্কিত। এর মধ্যে আবার গণমাধ্যমে খবর বের হচ্ছে, দেশে এখন নতুন/পুরনো মিলিয়ে এইচআইভি, ডেঙ্গু, নিপাহ, বার্ড-ফ্লু, চিকুনগুনিয়া, সোয়াইন ফ্লু, জিকা প্রভৃতি রোগের প্রকোপের কালোছায়ার বিস্তার লাভ ঘটছে। অনেকেই আবার বলছেন, এর কোনো কোনোটি ঢাকা শহরে অন্তত মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব খবর নিশ্চয়ই আমাদের স্বস্তি দেয় না বরং আতঙ্কিত করে। রোগ-ব্যাধিকে মানুষ অবশ্য অনেক সময় প্রকৃতির প্রতিশোধ বা নিয়তি বলে মেনে নেয়। কিন্তু মানুষের দুঃখ বাড়ে যদি কর্তৃপক্ষ এসব যথাযথভাবে প্রতিকারের জন্য এগিয়ে না আসে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে সেদিন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতির বয়ানও বিধৃত ছিল। এসব খবর এবং বয়ান আমাদের স্বস্তি দেয় না।

ওই পত্রিকায় প্রকাশিত আরেকটি খবরের হেডলাইন ছিল ‘তালিকাভুক্ত চরমপন্থিরা ক্ষমতাসীন দলে ভিড়ছে’। খবরটিতে এদের নাম-ধাম, এলাকা সবকিছুই দেওয়া ছিল। তথ্যভিত্তিক এ খবরটি অস্বীকার করা কঠিন। আগামীতে দেশে বেশ কিছু পৌর নির্বাচন, এরপর হবে জাতীয় নির্বাচন। অতীতে ক্ষমতাসীন এবং ক্ষমতার বাইরে বড় দলগুলোতে বিশেষ করে কোনো নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলে এসব চরমপন্থি, গরমপন্থি, ডাকাত-দুর্বৃত্ত এমনকি সাজাপ্রাপ্ত খুনিদেরও জায়গা হতে দেখেছি। ক্ষমতার স্বার্থে দলগুলো যখন এদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় তখন এসব ‘কোয়ালিফাইড’ মানুষেরা ধরাকে যেন সরা জ্ঞান করে। সমাজ এবং সাধারণ মানুষের প্রতি এদের অত্যাচার বহুমাত্রায় বেড়ে যায়। মানুষের মনে তখন আর স্বস্তি থাকে না। আমাদের দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-নেত্রীরা যে এটা বোঝেন না, তা নয়। কিন্তু বুঝেও তারা এদের কেন আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন সে প্রশ্নের জবাব আর পাওয়া যায় না। এসবের ফলে অসহায় মানুষগুলো চিরকাল অসহায়ই থেকে যায়। উন্নয়ন, বড় বড় নীতিকথা সবকিছু তখন মানুষের কাছে অস্বস্তিদায়ক মনে হয়।

সেদিনের পত্রপত্রিকায় প্রথম পাতায় খবর রয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু কলেজের শিক্ষার্থীকে তাদের পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবি নিয়ে রাজপথে নামতে হয়েছে। পাঁচ মাস ধরে তাদের পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হচ্ছে না। তাই তারা মাঠে নামার কারণে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করছে, তাদের প্রতি কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে, তাদের ধরে নিয়ে জেল-হাজতে পুরেছে। এ বিষয়ে পরের দিন ফলোআপ রয়েছে যে, সেদিন পুলিশের পিটুনিতে এদের একজনের চক্ষু নষ্ট হতে বসেছে। এ ঘটনার জের ধরে পুলিশ অন্তত ১২শ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষার দাবিতে রাস্তায় নামলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর লোকেরা তাদের সঙ্গে এমনটি করবে, পিটিয়ে চোখ নষ্ট করে দেবে—একজন শিক্ষক হিসেবে এটি আমাকে কোনো স্বস্তি দেয় না।

একইভাবে পত্রিকার পাতায় আরও একটি খবর হচ্ছে—সাংবাদিকরা আশঙ্কা করছেন, সরকার সহসা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। আর সেই আইনের ১৯ ধারায় আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার মতো বিষয় বিদ্যমান থাকছে। এই ৫৭ ধারা ইতিমধ্যে মানুষের কাছে একটি আতঙ্কের বিষয় হিসেবে প্রতীয়মান হয়ে উঠেছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পর্যন্ত এই ৫৭ ধারার সুুযোগ নিয়ে একে অন্যের জন্য আতঙ্ক তৈরির কারণ হয়ে উঠছেন। সরকার যদি আবারও এরকম আরেকটি ধারা চালু করে তাহলে তার প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ মানুষকে স্বস্তি তো দেবেই না, বরং কতটা অস্বস্তি তৈরি করবে তা এ মুহূর্তে ধারণা করা কঠিন নয়। কাছাকাছি সময়ে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, একজন সংসদ সদস্য তার এলাকায় ক্রসফায়ারের সুযোগ নিয়ে ইতিমধ্যে পাঁচজনকে পরপারে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন এবং আরও ১৪ জনকে তালিকায় রেখেছেন। এসব কী ধরনের কাণ্ড এবং কী পরিমাণ অস্বস্তি ও আতঙ্কদায়ক তা কি ভাবা যায়? আমি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। আমি এ দেশের একজন নাগরিকও। অনেকের মতো গণমাধ্যমে প্রকাশিত উল্লিখিত খবরগুলো পাঠ করে আমিও এক ধরনের অস্বস্তি অনুভব করেছি। একজন শিক্ষক হিসেবে আমি বেশি অস্বস্তি বোধ করেছি ওইদিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত/প্রচারিত আর দু-একটি খবর জেনে। এর একটি খবরের হেডলাইন হচ্ছে—‘রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়—দুর্নীতির মামলায় সাবেক উপাচার্যসহ দুজন জেলে’। হায়রে কপাল! দুর্নীতির কারণে একজন উপাচার্যকে আজকাল জেলে যেতে হচ্ছে। খবরটিতে জানা যায়, কয়েক বছর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল জলিল মিয়া রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য নিযুক্ত হয়েছিলেন। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়া তো বটেই, প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়া যে কোনো ব্যক্তির জন্য নিশ্চয় খুবই গৌরবের ব্যাপার। আবদুল জলিল মিয়া ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালেই তার দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতির বেশ কিছু কাহিনী তখন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। সরকার এতকিছুর পরও তার ফুল টেনিউর পর্যন্ত তাকে সম্ভবত উপাচার্য পদে আসীন রাখতে চেয়েছিল। যতটুকু মনে পড়ে ওই উপাচার্যের ভাগ্যে তা জোটেনি। সরকার বাধ্য হয়েছিল তার কার্যকাল শেষ হওয়ার মাত্র কয়েকদিন আগে তাকে উপাচার্যের পদ থেকে অপসারণ করার। উপাচার্য হওয়ার পর তিনি আচার-আচরণ এবং যে কোনো ধরনের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে যেন প্রতিষ্ঠানটির ‘মালিক’ বনে গিয়েছিলেন। তার ইচ্ছাই ছিল নিয়ম।

তিনি নিজ আত্মীয়স্বজনসহ বহু লোককে ইচ্ছামতো এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দিয়েছিলেন। এসব চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নিয়োগ বিধি প্রতিপালনের বালাই ছিল না। এই উপাচার্য মহোদয় তার সময়ে ৩৪৯ জনকে নিয়োগ দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কোনো অনুমোদন বা কোনো কনকারেন্স ছাড়াই। এসব পদের অনুমোদন এবং বাজেট বরাদ্দ না থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য খাত থেকে টাকা এনে তিনি এসব অনুমোদনহীন নিয়োগ লাভকারীদের বেতন-ভাতা দিতেন বলে গণমাধ্যমের খবরগুলোতে উল্লেখ রয়েছে। একটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক শৃঙ্খলাকে তিনি বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এসব কাজ করেছিলেন।

২১ জুলাই ২০১৭ তারিখের একটি পত্রিকায় যখন র‌্যাব/পুলিশ সদস্য বেষ্টিত তার একটি ছবি দেখলাম এবং সেই ছবিটির নিচে লেখা রয়েছে—‘দুনীতির মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুল জলিল মিয়ার জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় তাকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে’, এ দৃশ্যটি আমাকে ভীষণভাবে মর্মাহত করেছে। একজন শিক্ষক হিসেবে তো বটেই, একজন নাগরিক হিসেবেও এ খবর এবং ছবি আমাদের মধ্যে এক চরম অস্বস্তিই তৈরি করে বৈকি। বেশ কিছু দিন আগে কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের স্ক্রলে দেখেছিলাম ওই একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন ১৩টি অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। আশা করব, দুর্নীতি দমন কমিশন এই উপাচার্যের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর ব্যাপারে কোনো সত্যতা উদঘাটন করতে পারবে না। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশন সত্যিই যদি কোনো দুর্নীতি বের করে ফেলে, তাহলে আমাদের আর দুঃখের কোনো শেষ থাকবে না। ইতিপূর্বে গণমাধ্যমের বদৌলতে আমরা বিভিন্ন সময়ে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিয়ম না-মানা, ঔদ্ধত্য প্রদর্শন বা স্বেচ্ছাচারমূলক আচরণ প্রভৃতি খবরাখবর জেনেছি; কিন্তু এসবের সঙ্গে যদি দুর্নীতিও যুক্ত হয়, তাহলে আমাদের ভরসা আর রইল কোথায়?  এ সময়ে গণমাধ্যমের পাতায় বা স্ক্রলে দেখছি, শিক্ষায় গতিশীল নেতৃত্ব প্রদান এবং অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্মান বা পদক পেতে যাচ্ছেন। একই সময় আবার পত্রিকার পাতা উল্টালেই যদি খবর এবং ছবিতে দেখতে হয় যে, দুর্নীতির জন্য পুলিশ একজন উপাচার্যকে ধরে জেলে নিয়ে যাচ্ছে, পুলিশের লাঠিপেটায় একজন শিক্ষার্থী তার চোখ হারাতে বসেছে—এই বৈপরীত্য বড়ই বেমানান এবং বেদনাদায়ক। যে কোনো মূল্যে এমন পরিস্থিতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

লেখক : অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ই-মেইল : [email protected]

সর্বশেষ খবর