শিরোনাম
সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

সবার জন্য নিরাপদ পানি

সরকারের প্রশংসনীয় উদ্যোগ

নিরাপদ পানির অভাবে ধুঁকছে এখন সারা বিশ্ব। উন্নত দেশগুলোতেও নিরাপদ পানি সরবরাহ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুই হাজার বছর আগেও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে ইতালির রোম নগরী ছিল বাকি বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় মডেল। সেই রোম নগরীতেও এখন চলছে পানির ভয়াবহ সংকট। দিনে ৮ ঘণ্টা পানি সরবরাহ বন্ধ থাকে ইউরোপের এ গুরুত্বপূর্ণ নগরীতে। প্রাপ্যতার বিচারে বাংলাদেশকে বলা যায় পানির দেশ। তবে দুনিয়ার অন্য দেশের মতো বিশুদ্ধ পানির সংকটে বাংলাদেশও ভুগছে। দেশের উপকূলভাগের বিপুল এলাকা লবণাক্ততার শিকার। আর্সেনিক দূষণে নিরাপদ পানির সংকট লাখ লাখ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। সমস্যা গভীর হলেও তার সমাধানে সরকার যে বসে নেই, সে চিত্র ফুটে উঠেছে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে তিন দিনব্যাপী পানি সম্মেলন ২০১৭-এর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ভাষণে। তিনি বলেছেন, এসডিজির নির্ধারিত সময়সীমা ২০৩০ সালের আগেই বাংলাদেশ সবার জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। ২০২১ সাল নাগাদ বিভাগীয় শহরগুলোতে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে ভূ-উপরিস্থিত নিরাপদ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনায় লবণাক্ত এলাকার সাত হাজার পুকুরের পানি পরিশোধন করে লবণাক্ততামুক্ত করা হয়েছে। এ উদ্দেশে ৩২ হাজার ৬০০টি গভীর নলকূপ খনন করা হয়েছে। বর্ষায় পানি সংরক্ষণে চার হাজার ৭০০টি জলাধার নির্মাণ করা হয়েছে। নিরাপদ পানি সরবরাহে সরকারের গৃহীত পরিকল্পনাগুলো প্রমাণ করছে এ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সম্পর্কে সরকার সজাগ। বিশেষত এসডিজির নির্ধারিত সময়সীমার নয় বছর আগেই সবার জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহের উদ্যোগ আশা জাগানিয়া ঘটনা। স্মর্তব্য, পানি সমস্যায় পৃৃথিবীতে বছরে ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটছে যাদের বড় অংশই শিশু। এ সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশের উদ্যোগ বিশ্ব পরিসরেও প্রশংসা পেয়েছে। মরক্কোর মারাকাসের জলবায়ু সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন বিষয়ে পৃথক ফান্ড গঠনের প্রস্তাব রাখেন। জাতিসংঘ গঠিত নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনবিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্যানেলে বাংলাদেশকে রাখা হয়েছে, যা এ বিষয়ে বাংলাদেশের অগ্রসর ভূমিকার স্বীকৃতি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর