সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

সম্ভ্রম লুটেরাও শ্রমিক নেতা

ধর্ষক ও তার সহযোগীদের শাস্তি হোক

বগুড়ায় কলেজে ভর্তির নাম করে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং ধর্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় বিচারের কথা বলে মা ও মেয়েকে নির্যাতন এবং মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেওয়ার পৈশাচিক ঘটনা ঘটেছে। এ অভিযোগে তুফান সরকার নামের এক শ্রমিক লীগ নেতাসহ চার নরপশুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মা ও মেয়ের ওপর নির্যাতন এবং মাথা ন্যাড়া করার ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে তুফান সরকারের স্ত্রী আশা এবং শ্যালিকা পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিকে পুলিশ খুঁজছে। লম্পট স্বামীর বিচারের নামে ধর্ষিতা কিশোরী ছাত্রী ও তার মাকে আশা সালিশে ডেকে আনে এবং বোন রুমকি ও অন্যদের সাহায্যে তাদের মারধর করে মাথা ন্যাড়া করে দেয়। শ্রমিক লীগের লম্পট নেতা তুফান সরকার পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার অপরাধ স্বীকার করেছে। কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার নামে কিশোরী এক ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং এর সঙ্গে শ্রমিক লীগ নেতা নামধারী একজন লম্পটের জড়িত থাকার বিষয়টি নিঃসন্দেহে একটি নিন্দনীয় ঘটনা। বগুড়ায় ধর্ষণের ঘটনায় অঙ্গসংগঠনের একজন নেতার জড়িত থাকার অভিযোগ ক্ষমতাসীন দলের ভাবমূর্তির ওপর কলঙ্ক লেপন করেছে। সংশ্লিষ্টরা অপরাধ করেই শুধু ক্ষান্ত হয়নি এ বিষয়ে অভিযোগ করায় মা ও মেয়েকে মারধর ও চুল কেটে চরমভাবে অপমানিত করার যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে তা মধ্যযুগের বর্বরতাকেও হার মানায়। আমরা আশা করব, ধর্ষণ ও নির্যাতনের হোতাদের বিচারের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে পুলিশ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে। ক্ষমতাদর্পী রাজনৈতিক টাউটদের কাছে আত্মসমর্পণ করে মামলাকে ধামাচাপা দেওয়া হবে না এমনটিই প্রত্যাশিত। পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দল তাদের শ্রমিক সংগঠনের ক্ষমতাদর্পী লম্পট নেতা এবং পৌরসভার সংরক্ষিত কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে এমনটিও কাম্য। নিজেদের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনে বগুড়ার ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা নির্যাতিত কিশোরী ও তার মায়ের পাশে মানবিক দায়িত্ববোধ নিয়ে দাঁড়াবেন আমরা এমনটিই দেখতে চাই। অপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তিও সময়ের দাবি।

সর্বশেষ খবর