মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

হুমকির মুখে রেমিট্যান্স আয়

প্রবাসীদের বৈধতা পেতে সহায়তা দিন

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনে অবস্থানকারী ১ লাখেরও বেশি বাংলাদেশির জন্য সেসব দেশে অবস্থান করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোয় অবস্থান করায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ব্রিটেনও তাদের দেশে অবস্থানকারী যেসব বাংলাদেশির ভিসার মেয়াদ নেই তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার চাপ দিচ্ছে। বাংলাদেশ এ ব্যাপারে সমঝোতায় উপনীত না হলে সেসব দেশে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে এমন হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। বিপদ সংকেত বেজে উঠেছে সৌদি আরবে ‘মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা নিয়ে অবস্থানরত’ বাংলাদেশিদের জন্যও। অন্তত ২ লাখ বাংলাদেশি তাদের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরও সে দেশে অবস্থান করছেন। সৌদি আরব সরকার অবৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তার আগে সাধারণ ক্ষমার আওতায় তাদের দেশে ফেরার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। যে সুযোগ নিয়ে ৫৫ হাজার বাংলাদেশি দেশে ফেরার আবেদন করেছেন। সোজা কথায় বিদেশে কর্মরত অন্তত দুই লাখ বাংলাদেশির ভিসার মেয়াদ না থাকায় তাদের দেশে ফেরা ছাড়া দৃশ্যত গত্যন্তর নেই। ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ অভিবাসী দেশে ফিরলে তা যেমন রেমিট্যান্স আয়ের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলবে তেমন মানবিক সমস্যারও উদ্ভব হবে। এ ভয়াবহ সমস্যার সমাধানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনে মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা নিয়ে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বৈধতাদানে কূটনৈতিক পর্যায়ে দেনদরবার চালানো হবে, এমনটিই কাম্য। একইভাবে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে যেসব বাংলাদেশির ভিসার মেয়াদ নেই তাদের বৈধকরণেরও উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হবে, এমনটিই প্রত্যাশিত। পাশাপাশি রেমিট্যান্স আয়ের প্রবাহ বাড়াতে নতুন নতুন শ্রমবাজার সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে। বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্স আয় দেশের অর্থনীতিকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছে। প্রতিকূল অবস্থার মোকাবিলায় তাদের সমর্থন জোগানো সরকার তথা প্রশাসনের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

সর্বশেষ খবর