বুধবার, ২ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

নির্বাচন কমিশনের সংলাপ

সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ রচনা করুক

নির্বাচন কমিশন আহূত সংলাপে সুশীল সমাজ একাদশ সংসদ নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত করতে একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের দেওয়া প্রস্তাবে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনী আইন সংস্কারের কথা যেমন বলা হয়েছে, তেমন এর বিপক্ষেও মতামত এসেছে। নাগরিক প্রতিনিধিদের খোলামেলা মতামতে না ভোটের বিধান চালু এবং নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কেও দৃষ্টিপাত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে আরও সক্রিয় ও শক্তিশালী করার মতামতও দেওয়া হয়েছে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে। নাগরিক সমাজের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে নানা মতের উদ্ভব ঘটলেও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে সব পক্ষের যে ঐকমত্যের প্রকাশ ঘটেছে তা প্রশংসার দাবিদার। নাগরিক সমাজ নির্বাচন কমিশনকে এককভাবে সিদ্ধান্ত না নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের যে পরামর্শ দিয়েছে তাতে দেশের ১৭ কোটি মানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে। ইভিএম নিয়ে বিতর্ক হলে তা নিয়ে বেশি সময় ব্যয় না করার পরামর্শ এসেছে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে তাও তাৎপর্যের দাবিদার। নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কমিশনের সামর্থ্য বৃদ্ধির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের ভূমিকাও খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার ঔদার্য দেখাবে এমনটিও কাম্য। একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নাগরিক সমাজের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে সব বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে এমন বলার সুযোগ নেই। বিভিন্ন বিষয়ে মতভিন্নতা থাকলেও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনের সামনে যেসব মতামত এসেছে তা থেকে সঠিক বিষয়গুলো বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে তারা নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দেবেন আমরা এমনটিই দেখতে চাই।  বিশেষ করে সবার আস্থা অর্জনে নির্বাচন কমিশন আন্তরিকভাবে প্রয়াস চালাবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর