শিরোনাম
শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান

আন্তধর্মীয় সংলাপ পথ দেখাতে পারে

ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) মহাসচিব ইউসুফ বিন আহমাদ আল ওসাইমিন রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশের মুসলিম ও মিয়ানমারের বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতাদের আন্তধর্মীয় সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছেন। বাংলাদেশ সফররত ওআইসি মহাসচিব বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আহ্বান জানান। মহাসচিব বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার মানবিক সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। ওআইসি মহাসচিব বলেন, আন্তধর্মীয় সংলাপ পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি ও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে অবদান রাখবে। রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের ওপর চেপে বসে আছে ২৭ বছর ধরে এবং প্রতিবেশী মিয়ানমারের ৪ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। এতে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতির দেশ বাংলাদেশের জন্য নানামুখী সমস্যা সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশ প্রথম থেকেই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাতে এ যাবৎ দৃষ্টিগ্রাহ্য কোনো সাফল্য অর্জিত হয়নি। এ প্রেক্ষাপটে ওআইসি মহাসচিবের প্রস্তাবটি তাৎপর্যের দাবিদার। মিয়ানমার বাংলাদেশের দুই ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর একটি। দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বোঝাপড়া চমৎকার। বাংলাদেশ সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্কে বিশ্বাসী, এ ক্ষেত্রে মিয়ানমারের অবস্থানও অভিন্ন। দুই দেশের মধ্যে সমুদ্রসীমা নিয়ে কিছুটা মতভিন্নতা থাকলেও আন্তর্জাতিক আদালতের শালিসি পদক্ষেপে তার অবসান ঘটেছে। মিয়ানমার সে রায় মেনে নিয়ে সুপ্রতিবেশীসুলভ মনোভাব দেখিয়েছে। বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। ইসলামের প্রতিশব্দই হলো শান্তি। অন্যদিকে বৌদ্ধধর্মের অনুসারী মিয়ানমারের মানুষ, অহিংসা যে ধর্মের মূল কথা। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সমস্যার উদ্ভব রোহিঙ্গা মুসলিম ও সে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যকার আস্থার সংকট থেকে। বাংলাদেশ যেহেতু সব প্রতবেশী দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল সেহেতু মিয়ানমারের জাতিগত সমস্যার সমাধানে দুই দেশের ধর্মীয় নেতাদের আন্তধর্মীয় সংলাপ সংকট মোচনে ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশাবাদী। আমরা আশা করব নিজেদের স্বার্থেই মিয়ানমারও এ প্রস্তাবে আগ্রহী হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর