বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

দুদকের হটলাইন

দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখুক

দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের হটলাইনে মাত্র ১১ দিনে ৯২ হাজার অভিযোগ জমা হয়েছে। দুদকের কাছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে দুর্নীতির যেসব অভিযোগ এসেছে তার বেশির ভাগই ভূমি সংক্রান্ত। এরপর রয়েছে চিকিৎসাসেবা, পল্লী বিদ্যুৎ, টিআর ও কাবিখা সংক্রান্ত অভিযোগ। স্মর্তব্য, দেশের ৬৪ জেলার সাধারণ জনগণের সব ধরনের আর্থিক অভিযোগ জানাতে ২৬ জুলাই দুদক আনুষ্ঠানিকভাবে হটলাইন নম্বর ১০৬ চালু করে। শুক্র ও শনিবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত হাজার হাজার অভিযোগের ফোনকল গ্রহণ করা হয়। যারা অভিযোগ করছেন, তাদের কোনো কোনো ক্ষেত্রে জরুরি পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে হটলাইন নম্বর থেকে। যে অভিযোগগুলো প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধানের জন্য বিবেচিত হয় তা দুদকের যাচাই-বাছাই শাখায় পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য পাঠানো হচ্ছে। ফ্রি হটলাইন নম্বরে গত ১১ দিনে ভূমি-সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে সবচেয়ে বেশি ফোন করেছে সাধারণ মানুষ। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অভিযোগ ছিল নারী নির্যাতন ও মাদক-সংক্রান্ত। কিছু অভিযোগ তফসিলভুক্ত না হওয়ায় সেগুলোর তাত্ক্ষণিক সমাধানের উপায়ও বাতলে দিয়েছেন দুদকের কর্মকর্তারা। হটলাইনে যারা ফোন করছেন, তাদের তিনটি পদ্ধতিতে সেবা দিচ্ছেন কল সেন্টার-সংশ্লিষ্টরা। কর্মদিবসের ৯ দিনে ৯২ হাজারের বেশি কল আসায় ছুটির দিনেও দুদকের হটলাইন নম্বর চালু রাখার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। মাত্র ১১ দিনে ৯২ হাজার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের সবই দুর্নীতি বা অনিয়ম তা ভাবার অবকাশ নেই। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমেই উদঘাটিত হতে পারে প্রাপ্ত অভিযোগের কোনটি সত্যি আর কোনটি নিছক অভিযোগ। তবে স্বীকার করতেই হবে অভিযোগের বিশাল সংখ্যা দুর্নীতি কি সর্বগ্রাসী রূপ ধারণ করেছে সে বিষয়টি স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে। দুদকের হটলাইন দুর্নীতি সম্পর্কিত অভিযোগ পাওয়ার যে সুযোগ সৃষ্টি করেছে তা নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক দিক। দুর্নীতিবাজদের বেপরোয়া মনোভাব নিয়ন্ত্রণে দুদকের হটলাইন সফল হলে তা দেশবাসীর জন্য ইতিবাচক ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হবে। দুর্নীতি দমনে গঠিত হয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন নামের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান।  দেরিতে হলেও তারা খোলস থেকে বেরিয়ে এসে দুর্নীতিবাজদের টুঁটি চেপে ধরার যে উদ্যোগ নিচ্ছে তা আশাজাগানিয়া ঘটনা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাদের প্রয়াস সফল হোক এ কামনা দেশবাসীর।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর