রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

মর্মান্তিক সেই ১৫ আগস্ট

খান আলতাফ হোসেন ভুলু

মর্মান্তিক সেই ১৫ আগস্ট

আমার বাড়ি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জের গোমা কৃষ্ণকাঠিতে। আমার বাবা মো. আবদুর রশীদ খান চাইতেন ছেলেরা যেন লেখাপড়া করে। সে জন্য ভর্তি করে দিয়েছিলেন তৎকালীন সময়ে বরিশালের নামকরা এ কে স্কুলে। এই স্কুলেই আমার রাজনৈতিক চেতনার স্ফুরণ ঘটে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির জাতীয় ইতিহাসে প্রবল এক ব্যক্তিত্ব। ১৯৬০-এর দশকের দ্বিতীয় ভাগে বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন বাঙালির স্বাধীনতার ব্যক্তি-প্রতীক।  সে সময়ে প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনা বিশেষ করে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আমার জীবনে প্রভাব ফেলে। ষাটের দশকে স্বাধিকারের রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা বিশেষ করে ছাত্র রাজনীতিতে প্রবল জোয়ার সৃষ্টি করেছিল। আমিও এই জোয়ারে ভেসে গেলাম। এর পর এলো ছয় দফা। বাঙালির মুক্তির সনদ। আমরা তৈরি হতে লাগলাম সব গোলামির জিঞ্জির ছিঁড়ে ফেলতে।

১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু লাহোরে ছয় দফা ঘোষণা করেন। আমি তখন এ কে স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। ছয় দফার প্রতিটি লাইন যেন আমার মণিকোঠায় গেঁথেছিল। এর আগেই ১৯৬২ সালে আমি ছাত্রলীগে যোগদান করি। এ কে স্কুলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও লাভ করি। মানুষের মনের মধ্যে তখন স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা খুব প্রবল ছিল। বক্তৃতা ছাড়াও মাঝে মাঝে গণসংগীত দিয়ে আমরা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতাম। আক্কাস হোসেন, আবু আল সাইদ নান্টু, ভবানি সাহাসহ অনেকেই গণসংগীতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আমার একটা সাইকেল ছিল তা নিয়ে বের হতাম প্রচারাভিযানে। ’৬৬ সালের ৭ জুন হরতালের ডাক এলো—সঙ্গে ইশতেহার ‘পূর্ববাংলা রুখে দাঁড়াও’ ‘স্বায়ত্তশাসন নয় স্বাধীনতা’ এ কে স্কুলের ছাত্রদের নিয়ে একটি বিরাট মিছিল বের করি। সে দিন বরিশালের রাজপথে একটি সাইকেল পর্যন্ত বের হয়নি। পুলিশ এ সময় কয়েক হাজার লিফলেটসহ আমাকে ও ইমান আলীর ছেলে মাহাবুবকে গ্রেফতার করে। আমাদের নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়। সে মামলা অবশ্য টেকেনি।

জেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আবদুল মমিন সাহেবকে পাই। কিছু দিন পরে অবশ্য আমার মুক্তি মেলে। এটা ছিল আমার জেল জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা। ১৯৬৭ সালে আমি সরকারি ব্রজমোহন কলেজে ভর্তি হই। সে সময়ে কলেজটি শুধু দক্ষিণাঞ্চলের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুই ছিল না—তৎকালীন বিএম কলেজের বহু ছাত্রনেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরও নেতৃত্ব দিয়েছিল। আমি ১৯৬৭ সালে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর বিএম কলেজে এজিএস নির্বাচিত হই। একই কলেজে পরবর্তী বছর জিএস ও ১৯৬৯ সালে ভিপি নির্বাচিত হই। সে সময়ের গণআন্দোলনে বিএম কলেজের ভূমিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। ১৯৬৯ সালে গণআন্দোলন তুঙ্গে ওঠে। প্রতিদিনই বিএম কলেজের ছাত্রদের নিয়ে মিছিল-সমাবেশ বের হতো। মিছিল, কলেজ থেকে সোজা অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এসে শেষ হতো। ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি বিএম কলেজের ছাত্রদের মিছিল সদর রোডে আসার সঙ্গে সঙ্গে তৎকালীন ইপিআর (ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস) গুলি করে। গুলিতে এ কে স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র আলাউদ্দিন নিহত হয়। আরও বহু ছাত্র-জনতা আহত হয়। অ্যাডভোকেট সুবোধ দে’র ছেলে সুজিত দে’র পায়ে গুলি লাগে। পা কেটে ফেলতে হয়। পুলিশের গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে বরিশালে পরদিন হরতাল পালিত হয়। চারদিকে থমথমে অবস্থা। পরিস্থিতির দ্রুত অবনতিতে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ব্রজমোহন কলেজেও সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। আমি এর আহ্বায়ক নির্বাচিত হই। এই সংগ্রাম পরিষদ বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে গ্রামেগঞ্জে গিয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে বাঙালিদের আশু সংগ্রামের কথা প্রচার করতে থাকে। সে সময়ে বরিশালে বাটার গলির পেছনে ছিল ছাত্রলীগের অফিস। এই অফিসে ছাত্রদের মোটিভেশনাল প্রোগ্রামে আমি পেয়েছি শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত, বিপ্লবী দেবেন ঘোষ, তার ভাইয়ের ছেলে মনা ঘোষ, নলিনী দাশ, এমনকি মনোরমা বসু মাসিকেও। তারা ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হলেও দেশের ডাকে ছাত্রসমাজকে প্রস্তুত করতে এগিয়ে এসেছিলেন। সে দিনের এই দিনগুলো ছিল অসম্ভব উত্তেজনাপূর্ণ। প্রতিটি বাঙালি যেন চাইতেন পাকিস্তানি গোলামির নাগপাশ থেকে যে কোনো উপায়ে মুক্তি পেতে। মুক্তিযুদ্ধের সূচনায় আমি আমার এলাকা বাকেরগঞ্জে ফিরে যাই, সেখানে গিয়ে সশস্ত্র যুদ্ধে অংশ নিই। যুদ্ধে আমাদের বহু সাথীকে হারিয়েছি। বহু আত্মীয়স্বজন, পরিচিতজন পাকিস্তানি হামলায় নির্মমভাবে শহীদ হন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। আমরা থাকতাম দফতরখানার বাড়িতে। আমার একটা রেডিও ছিল, ভোর ৬টায় রেডিও অন করতেই ঘোষণা এলো ডালিমের কণ্ঠস্বর যাতে বলা হলো— ‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে’। আমি স্তম্ভিত হয়ে যাই। এরপর সঙ্গে সঙ্গে আরও ঘোষণা আসতে লাগল ‘মোশতাকের নেতৃত্বে সরকার গঠন করা হয়েছে’। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে— এই ঘোষণায় প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি। তখন জাসদের গণবাহিনী, সিরাজ সিকদারের আন্ডার গ্রাউন্ড বাহিনী সক্রিয় ছিল; ভেবেছি এসব তাদের প্ররোচনা হতে পারে। কিন্তু রেডিওতে একের পর এক ঘোষণা ও কারফিউ জারির নির্দেশনায় বুঝতে আর বাকি রইল না, বঙ্গবন্ধুকে ওরা হত্যা করেছে। আমার একটা লাইসেন্স করা পিস্তল ছিল। এটা নিয়েই বের হলাম— উদ্দেশ্য প্রতিবাদ করা। তখন সারা শহর নিঃস্তব্ধ। সদর রোডে তৎকালীন আর্যলক্ষী ব্যাংকের সামনে এসে দেখা পাই তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা হেমায়েত উদ্দিন আহমেদের। তিনি আমাকে দেখেই জিজ্ঞাসা করলেন, কোথায় যাচ্ছ? আমি বললাম ছাত্রলীগের সবাইকে খবর দিতে হবে, বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদে আমাদের রাজপথে নামতে হবে। উনি বললেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। মন্ত্রিসভার সদস্যদের হত্যা করেছে। বরিশালে ওরা সবাই জড়ো হয়েছে পেশকার বাড়িতে। ওরা এখনই এসে পড়বে। তোমাদের ওপর যে কোনো সময় হামলা করতে পারে। আমি বললাম, হামলা হোক আর যাই হোক বঙ্গবন্ধু হত্যার আমরা প্রতিবাদ করবই। এরপর বর্তমান সশস্ত্র বাহিনী বোর্ড, যেখানে আওয়ামী লীগ অফিস ছিল সেখানে গিয়ে দেখি, কেশব বাবু ও কুট্টি মিয়া ভারাক্রান্ত হয়ে বসে আছেন। ইতিমধ্যে মনসরুল আলম মন্টু, মুশফিকুর রহমান, শেখ মোবারক, তরুণ দেব, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ নেতা-কর্মীরা এসে গেছে। আমরা একটি মিছিল বের করে বিবিরপুকুরের দিকে আসতেই পেশকার বাড়ির দিক থেকে একটি বিরাট মিছিল লাঠিসোঁটা নিয়ে এগিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। আমরা সেখান থেকে চলে গেলে খুনি মোশতাকের সমর্থকরা আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর ছবি রাস্তায় এনে ভাঙচুর করতে দেখা যায়। আওয়ামী লীগ অফিসে কেশব বাবু ও কুট্টি মিয়া আক্রান্ত হলেন। এই হামলাকারীরা শহরের যেসব দোকানপাটে বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিল সেগুলো টেনে নামিয়ে এনে ভাঙতে শুরু করে। সে সময় জাসদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদেরও এদের সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা যায়। হামলাকারীদের একাংশ বিএম কলেজে প্রিন্সিপালের রুমে গিয়ে প্রিন্সিপাল এমদাদুল হক মজুমদারকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবিকে পদদলিত করে। এমনকি এই সমর্থকরা যারা আনন্দ-উল্লাস করছিল তারা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে প্রকাশ্যে গোসল করে খিচুড়ি রান্না করে খেয়েছে। আমরা তৎকালীন বিএম কলেজের ক্যান্টিন মালিকের বাড়িতে একটি গোপন মিটিং করি। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, ১৯ তারিখ দক্ষিণাঞ্চলে একটি বড় মিছিল ও শোডাউন করা হবে। তৎকালীন সময়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ছাড়াও রক্ষী বাহিনী, পুলিশের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমি আমার সাইকেলটি নিয়ে বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ শুরু করি। ১৭ আগস্ট সাইকেলে প্রচারণার সময় আমাকে সদর জেলখানার সামনে থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় গিয়ে দেখি আতাহার উদ্দিন দারোগা, সাজু, নুরুসহ আরও নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধরপাকড় বাড়ছিল। তৎকালীন এসপিকে আমাদের সঙ্গে সহানুভূতি দেখানোর অভিযোগে সাসপেন্ড করে এএসপি রাশেদ সাহেবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। রাতে রাশেদ সাহেব থানায় এসে আমাদের আলাদা কক্ষে নিয়ে যান। এ সময় তার নির্দেশে চলে অমানুষিক নির্যাতন। আমাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়ে একের পর এক জিজ্ঞাসাবাদ চলে। একপর্যায়ে রাশেদ সাহেব চলে গিয়ে রাত আড়াইটায় পুনরায় ফিরে আসে। আমার চোখ কালো কাপড়ে বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই তিন দিন কোথায় কী করেছি—সেসব নিয়েই প্রশ্ন ছিল। আমি কারাগারে যাওয়ার পরই আরও বহু লোককে কারাগারে আনা হয়। এর মধ্যে প্রবীণ বিপ্লবী দেবেন ঘোষ, আক্কাস হোসেন, মানবেন্দ্র বটব্যাল, কাশীনাথ দত্তকে পেয়েছি। জেলে জাসদ ও সিরাজ সিকদারের সদস্যরা আমাদের ওপর নির্যাতন চালাত। এসব ঘটনায় জেলে আমাদের সমর্থকদের সঙ্গে তাদের মারামারিতে নুরু ও আমার এক মাস সেল হয়। এর প্রতিবাদে ৮০ বছর বয়সী দেবেনদা জেলে আমরণ অনশন শুরু করে দেন। তিন দিন অনশন চলার পর তাকে আমরা বলি—তিনি যদি অনশন ভঙ্গ না করেন তাহলে আমরাও অনশন করব। দেবেন দা অনশন ভঙ্গ করতে রাজি হলেন। জেলে দীর্ঘ ৩৪ মাস কারাগারে থাকার পর মুক্তিলাভ করি। জেল থেকে মুক্তিলাভ করার পর ফিরে এসে দেখি সর্বত্রই বঙ্গবন্ধুর ও আওয়ামী লীগের বিরোধী শক্তিরা ক্ষমতায় আসীন। আমার অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে। আমি কপর্দক শূন্য হয়ে পড়ি। ১৯৭৮ সালের ১ মে জেল থেকে মুক্তিলাভ করার পর দলীয় নির্দেশে সংসদ সদস্য পদে বাকেরগঞ্জে আমি নির্বাচন করি। আমার টাকা-পয়সা ছিল না। পায়ে হেঁটে হেঁটে, সাইকেলে-নৌকায় চেপে আমি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চেয়েছি। সে দিন ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হওয়ার পরও দুই দিন পর আমার ১০ হাজার ব্যালটে ডাবল সিল মেরে বিপক্ষ প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করে দেওয়া হয়। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনেও দল আমাকে নমিনেশন দেয়। সে দিন নজিরবিহীনভাবে ডিসি আজিজ আহম্মেদ পাঁচ দিন আগে ব্যালট বাকেরগঞ্জে পাঠিয়ে দেন। ব্যালট আগেই সিল মেরে ভর্তি করে রুহুল আমিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। আজিজ আহম্মেদ ছিলেন এরশাদের আত্মীয়। এভাবেই তিনি ফলাফল পাল্টে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। আমাকে পরাজিত করাই শুধু নয়, আমার গ্রামের বাড়িতে হামলা করা হয়েছিল। ১২ বছর আমি আমার বাড়িতে যেতে পারিনি।

বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাসের ‘গণতন্ত্র’ ছিল সাধারণ মানুষের কল্যাণ সাধন করা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দুঃখী বাঙালির মুখে হাসি ফোটানো। সেই স্বপ্ন পূরণে ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে একটি শোষণহীন সমাজভিত্তিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করতে বঙ্গবন্ধু সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন। ’৭৫-পরবর্তী কালপর্বে যে অপশক্তি বাংলাদেশকে পথভ্রষ্ট করতে চেয়েছিল তার গতিমুখ আবার বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আর এ কারণে আজ আমাদের দেশ উন্নয়নের মাপকাঠিতে সর্বাধিক সাফল্য অর্জন করেছে।

ষাটের দশক থেকেই বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগই ছিল আমার ধ্যান-জ্ঞান। শত সংকট আর বিরুদ্ধের প্রবল জোয়ারে এ দুটি আলোকবর্তিকা আমি ছেড়ে যাইনি।  রাজনীতিতে এ দুই আলোক স্তম্ভই আমাকে পথ চলতে প্রেরণা জুগিয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, কিন্তু সে দিন যারা বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করেছে—তাকে অপমান করার জন্য বর্বরতার পরিচয় দিয়েছে—নেতা-কর্মীদের হামলা করেছে, আমি এর বিচার চাই।  স্বাধীনতার জনককে আর কেউ কোনো দিন যেন অপমান না করতে পারে।

লেখক : রাজনীতিক।

সর্বশেষ খবর