ঈদুল আজহা উদযাপনে ঘরমুখো হতে চান যারা তাদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। টানা বৃষ্টিপাতে মহাসড়কগুলো ইতিমধ্যেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিপাতের কারণে সংস্কারের সুযোগ পাওয়াও কঠিন হয়ে পড়ছে। এমনিতেই খানাখন্দকে ভরা সড়ক অতিক্রম করতে যানবাহনগুলোর সময় লাগছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। যানজট হলে দ্বিগুণ সময়েও দূরত্ব অতিক্রম করা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দেশের এমন কোনো সড়ক নেই যা টানা বৃষ্টিতে আক্রান্ত হয়নি। শতকরা ৯০ ভাগ সড়কই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঈদের আগে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে মহাসড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ বেড়ে গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। খানাখন্দকে ভরা মহাসড়কে কোনো যানবাহন অচল হয়ে পড়লে চলাচলে অচলাবস্থা দেখা দেবে। ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর অংশে অতিবৃষ্টির কারণে স্থানে স্থানে পিচ-কার্পেটিং উঠে খানাখন্দ ও ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দ ও গর্তে ইট দিয়ে কোনোমতে জোড়াতালির মাধ্যমে সড়ক সচল রাখার চেষ্টা হচ্ছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ৩০টি জেলার ৯২ রুটে যানবাহন চলাচল করে। ঈদের সময় এ মহাসড়কে গাড়ির চাপ থাকে অন্য সময়ের অন্তত ১০ গুণ। এবার সে আশঙ্কা আরও বেশি। কারণ টানা বৃষ্টিতে মহাসড়কের অনেক জায়গায় ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে কালিহাতীর এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার মহাসড়কে চার লেনের কাজ চলছে। এ কারণে এই মহাসড়কে নিত্যদিনই যানজট থাকছে। টানা বৃষ্টিতে গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় ঢাকা-বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে। এ সরকারের আমলে ঈদ উপলক্ষে মহাসড়ক চলাচল উপযোগী করার ব্যবস্থাপনায় অতীতে সাফল্য দেখানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বৃষ্টি কমলেই সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। অন্ততপক্ষে খানাখন্দ বন্ধ করে ঈদ উপলক্ষে যানবাহন চলাচলে যাতে অসুবিধা না হয় তা নিশ্চিত করা হবে। এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষীয় সদিচ্ছার অভাব না থাকলেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ঈদ যাত্রার ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। এ সংকট নিরসনে সর্বাধিক সতর্কতা অবলম্বন করা হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।