শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই

নির্বাচন কমিশনের সৎ সাহস কাম্য

নির্বাচন হলো জনগণের উৎসব। ব্যাপক জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচন উৎসবী রূপ পায়। একাদশ সংসদ নির্বাচন যাতে উৎসবী রূপ পায় তা নিশ্চিত করতে দেশের সংবাদপত্র সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকরা নির্বাচন কমিশনকে তাগিদ দিয়েছেন। বলেছেন, ভারতের নির্বাচন কমিশনের তুলনায় বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিকভাবে কম শক্তিশালী নয়। অপরকে দেখানোর জন্য নির্বাচন কমিশনকে মেরুদণ্ড সোজা করার দরকার নেই, তাদের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে তা ঠিকঠাকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে নিশ্চিত করতে হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। সব দল যাতে নির্বাচনে আসে এমন আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সংবাদ মাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি উন্নয়নের তাগিদও দেওয়া হয়। সুষ্ঠু নির্বাচন ও রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সমঝোতার পরামর্শও দেওয়া হয় মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের পক্ষ থেকে। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন মধ্যস্থতা করতে পারে এমন বক্তব্যও উঠে এসেছে ওই বৈঠকে। একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে গত বুধবার নির্বাচন কমিশন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করে এবং এ বৈঠকে যে বিষয়গুলো সামনে এসেছে তা সময়ের বিবেচনায় গুরুত্ববহ। দুনিয়ার সব দেশে নির্বাচন কমিশনের আয়োজনে নির্বাচন সম্পন্ন হয়। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতায়নও নিশ্চিত করা হয়। বাংলাদেশেও এর ব্যত্যয় হয়নি। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক ক্ষমতা সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে দুনিয়ার যে সব দেশের নির্বাচন কমিশনকে দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয় সেগুলোর কোনোটির চেয়ে কম নয়। তারপরও অসুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং সৎ সাহসের অভাব বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থার জন্য বিড়ম্বনা ডেকে আনছে। রাজনৈতিক দলগুলোর অনুদার মনোভাবও এ জন্য অনেকাংশে দায়ী। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিতর্কিত করার যে নিন্দনীয় মানসিকতা তাদের মধ্যে সক্রিয় তা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অন্তরায় হয়ে উঠেছে। এ নেতিবাচক মনোভাব রাজনৈতিক দলগুলোর জন্যও কল্যাণকর হয়নি। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব ত্যাগ করে আপন কর্তব্যে মনোনিবেশ করতে হবে। সেটিই প্রকৃষ্ট পথ।

সর্বশেষ খবর