শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

বাংলাদেশে আগামী প্রজন্মের কৃষি

শাইখ সিরাজ

বাংলাদেশে আগামী প্রজন্মের কৃষি

পাঠক! কয়েক বছর আগে থেকেই ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়ার বিভিন্ন দেশের হাইটেক বা আধুনিক কৃষি, গ্রিন হাউস কৃষি, সোজা কথায় অঙ্কের কৃষি সম্প্রসারণ সম্পর্কে টেলিভিশনে বিভিন্ন প্রতিবেদন তুলে ধরেছি। কৃষি এখন আর বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে থাকবে না, কৃষি চলে যাবে ঘরের ভিতর। এর সম্প্রসারণ ঘটবে উপরের দিকে, যাকে আমরা কিতাবি ভাষায় বলি, ভার্টিক্যাল এক্সপানশন। অর্থাৎ ঊর্ধ্বমুখী কৃষি। তেমন মাটির দরকার নেই, সেভাবে বেশি পানির দরকার নেই— সয়েললেস (মাটিবিহীন) এগ্রিকালচার বা ড্রিপ-ওয়াটার এগ্রিকালচারও বলা হয়। ভিতরে ভিতরে অনুভব করছি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। যিনি আগে গার্মেন্ট কিংবা টেক্সটাইলের মালিক ছিলেন তিনি আস্তে আস্তে কৃষিতে বিনিয়োগ শুরু করেছেন। কৃষিতে বিনিয়োগ কমে যাচ্ছিল। সাধারণ কৃষকই কৃষিতে বিনিয়োগ করত। তবে তাদের পক্ষে হাইটেক এগ্রিকালচারে বিশাল বিনিয়োগ করা সম্ভব নয়।

আজ আপনাদের বলব গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ফাউগান গ্রামের সাখাওয়াত হোসেনের আধুনিক কৃষির গল্প। সাখাওয়াত একজন ব্যবসায়ী। বহু বছর আগে তিনি ফাউগানে বেশকিছু জমি কিনেছিলেন চাষাবাদ করবেন বলে। এখন এখানে গড়ে তুলেছেন আধুনিক কৃষিচর্চার এক ক্ষেত্র।

দেড়-দুই বিঘা জমির ওপর সাখাওয়াত হোসেন দুটি গ্রিন হাউস করেছেন। যেখানে চাষ হচ্ছে তরমুজ, শসা, মিষ্টিকুমড়া, চেরি, টমেটো ইত্যাদি ফল, ফসল। একেবারে অঙ্কের কৃষি। আমি বিশ্বাস রাখি আগামী দু-চার বছরে কৃষির দৃশ্যপটে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। এখানে ব্যবসায়ীরা যেমন বড় বিনিয়োগ করবেন, তেমনি বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও আগ্রহী হবেন। যৌথ বিনিয়োগের ক্ষেত্র তৈরি হবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ খাদ্য নিরাপত্তা ও নিরাপদ খাবার বিষয়ে বিশ্বের মানুষ এখন জোরালোভাবে তাগিদ অনুভব করছে। কারণ কৃষির একটি সন্ধিক্ষণ চলছে সবখানেই। বইছে পরিবর্তনের বাতাস। বিশ্বব্যাপী কৃষি ও খাদ্য উত্পাদন বিষয়টিকে সহজতর ও স্বয়ংক্রিয় শিল্পের পর্যায়ে নিতে শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা। তারই ধারাবাহিকতা চলে এসেছে বাংলাদেশে। এ ব্যবস্থাগুলোকে উন্নত বিশ্বে বলা হচ্ছে, ‘প্লান্ট ফ্যাক্টরি’। প্যারামাউন্ট অ্যাগ্রোর আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় কৃষি খামারে গিয়ে ঠিক তাই মনে হলো।

বিশাল দুটি গ্রিন হাউসের প্রতিটির আয়তন ২২ হাজার স্কয়ার ফিট। সম্পূর্ণটাই পুরোপুরি ঘেরা একটা জায়গা। ঋতু এখন কোনো বিষয় নয়। আলো আর তাপ নিয়ন্ত্রণ করে সব ফসলই এখন সারা বছর ধরে ফলবে। প্যারামাউন্ট অ্যাগ্রোতে ফসল ফলছে মাটির স্পর্শ ছাড়াই আর ড্রিপ ইরিগেশনের (পুষ্টিসম্পন্ন প্রয়োজনীয় উপাদান নিয়ে ফসলের ওপর ফোঁটা করে পড়ে যে পানি) মাধ্যমে। দীর্ঘদিন যাবৎ আধুনিক গ্রিন হাউসগুলোর চিত্র তুলে ধরেছি টেলিভিশনে। মধ্যপ্রাচ্য, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য,  আফ্রিকা ও ইউরোপের দেশগুলোর নানান ধরনের গ্রিন হাউসের প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছে ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’-এ। ৯-১০ মাস আগে শুরু হয় সাখাওয়াত হোসেনের গ্রিন হাউস তৈরির কাজ। এরই মধ্যে রীতিমতো ফসল তুলে বাজারে পাঠানো শুরু হয়ে গেছে। ঠিক শিল্প কারখানার উত্পাদনব্যবস্থার মতোই। এখানে উত্পাদিত মেলনগুলো কি সুন্দর! আকার ও বৈশিষ্ট্যে ভিন্ন! সব একই আকারের, একই রঙের। দারুণ আকর্ষণীয়।

গ্রিন হাউসে ব্যবহূত উপকরণ ও চাষ প্রক্রিয়া হলো, প্রথমে তারা ৪ ইঞ্চি সাইজের কোকোপিটে (নারিকেলের ছোবড়ার গুঁড়া) বীজ দেয়, তার ওপরে কোকোডাস্ট মিশিয়ে দেয়। তিন দিন পর অঙ্কুরোদগম হয়। কোকোপিটের কাপ থেকে ১২ দিন পর ১৩তম দিনে চারাটাকে আর একটা বেডে এনে রোপণ করে। সেটাও মাটিবিহীন কোকোপিটেরই একটা স্লাব। প্রতিটি স্লাবে তারা চারটি করে চারা লাগায়। সাত দিন পর খাদ্যপুষ্টি যেটাকে সলিউশন ‘এ’ ও ‘বি’র মিক্সার বলে সেটা দেয়। এটাও হয় যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়। সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে ঠিক করে দেওয়া হয় সময়, দিন-ক্ষণ, বছর, সূর্যাস্ত-সূর্যোদয়। সে অনুযায়ী মেশিন চারার চাহিদা অনুযায়ী পুষ্টি প্রদান করে। পানিতে মেশানো পুষ্টিটুকু গাছের গোড়ায় ফোঁটায় ফোঁটায় সঞ্চালিত হয়। পুষ্টি গ্রহণ শেষে অবশিষ্ট পানি গিয়ে জমা হয় আউটার ট্যাঙ্কে। সেই ট্যাঙ্ক থেকে পানি মোটরের সাহায্যে নিয়ে এসে পুষ্টি মিশিয়ে আবার সরবরাহ করা হয়— এভাবেই চলতে থাকে। ফলে পানির অপচয়ও তেমন হয় না। প্রতিটি গাছ নির্দিষ্ট সময়ে সমান পুষ্টি গ্রহণ করে বড় হতে থাকে। একই সঙ্গে ফল আসতে শুরু করে।

১০ ইঞ্চি ফাঁকে ফাঁকে ১৩৩ ফুট লম্বা ১১টি ট্রেতে মোট ১৪৮টি মাস মেলনের গাছ আছে। মাস মেলন বিদেশি ফল হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। এ গ্রিন হাউসে নেদারল্যান্ডসের মাস মেলন চাষ হচ্ছে। প্রতিটি গাছে প্রতি মৌসুমে ১০ বর্গমিলিমিটার জায়গায় পাঁচটি করে ফল এসেছে। সে হিসাবে এক মৌসুমে মোট ফল আসবে ৭৪০টি। এ জায়গায় প্রতি তিন মাস অন্তর বছরে চারবার ফলন হয়। এতে বছরে এ জায়গা থেকে মাস মেলন ফলবে ২ হাজার ৯৬০টি। এটাই হচ্ছে অঙ্কের কৃষি। আপনি যে হিসাবে চাইবেন সেই হিসাবে ফলন পাবেন। সবকিছুর হিসাব থাকবে নিখুঁত ও পূর্বপরিকল্পিত। নেদারল্যান্ডসের গ্রিনকিউ নামে একটি কৃষি কনসালট্যান্সি ফার্মে দেখেছিলাম একটি গাছে কতগুলো টমেটো ফলবে তা নির্ভর করছে কৃষক কীভাবে চাচ্ছেন, কতবার চাচ্ছেন তার ওপর। অর্থাৎ পুরোটাই অঙ্কের। কী পরিমাণ বিনিয়োগ করবেন আর কী পরিমাণ লাভ পাবেন সবটাই আগে হিসাব কষে ফেলা যাবে। বাংলাদেশেও এখন এই আধুনিক কৃষি দেখতে পেরে সত্যিই ভালো লাগল। গ্রিনকিউর মতো এত বেশি প্রযুক্তির সমাবেশ এখানে না ঘটলেও কার্যক্রমটি একই রকম। দিনে দিনে এখানেও এ ধরনের প্রযুক্তির সমাবেশ ঘটবে, সে সম্ভাবনা এখনই বোঝা যায়। এখানে ফসলের বালাই দমন ব্যবস্থাটিও অনেকটা স্বয়ংক্রিয়। এখানে ব্যবহূত প্রযুক্তির সঙ্গেও আপনাদের পরিচিতি ঘটেছে ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। পাঠক! নিশ্চয়ই আপনাদের মনে আছে ইংল্যান্ডের চেস্টারে অবস্থিত রুসেল আইপিএমের কথা। সেখানে পোকা ও বালাই দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিগুলো। ব্যবহার হচ্ছে কালার ট্র্যাপ, গ্লু ট্র্যাপ থেকে শুরু করে কালার সেন্সর ট্র্যাপ পর্যন্ত— নানান ধরনের কালার ট্র্যাপ। কোনো কীটনাশক ব্যবহার নেই। উত্পাদন হচ্ছে সম্পূর্ণ বিষমুক্ত ফসল। সব মিলিয়ে দারুণ আশাজাগানিয়া। বলে রাখা ভালো, এখানে পুরোদস্তুর কৃষিকাজ চলছে কিন্তু ধরনটি পুরোপুরি করপোরেট অফিসের কাজের মতো। প্যান্ট-শার্ট অ্যাপ্রোন পরে একজন কর্মী অনায়াসেই এ ফসল উত্পাদনের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কাজ করতে পারছেন। আর সাখাওয়াত হোসেন জানাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রী এখানে কৃষক হিসেবে কাজ করে চলেছেন তাদের পূর্ণ মেধা ও দক্ষতার সমন্বয়ে। অত্যাধুনিক কৃষির এ বিশাল স্বপ্নকে ধারণ করেছেন প্যারামাউন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বললেন, তার এ উদ্যোগের পেছনে রয়েছে নিজের জীবনের এক গল্প। তার মাকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হতো। ডাক্তার বিষমুক্ত খাবার খেতে পরামর্শ দেন। কিন্তু বাজার সয়লাব বিষযুক্ত খাবারে। কোনটা বিষমুক্ত আর কোনটা বিষযুক্ত চেনা কঠিন। তখন তিনি চিন্তা করলেন, নিজেই চাষ করবেন বিষমুক্ত ফল-ফসল। পরবর্তীতে আড়াই লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে তিনি গড়ে তোলেন জৈব ফল-ফসলের বিশাল দুটি গ্রিন হাউস। এখন সাখাওয়াত হোসেন তার মাকে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মত ফল-ফসল খাওয়ানোর পাশাপাশি বাজারের চাহিদাও মেটাচ্ছেন, আর মুনাফাও পাচ্ছেন। ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানে দেখা বিভিন্ন প্রতিবেদন তাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, বলেন সাখাওয়াত। ২০১০ সালে কাতারের গ্রিন হাউস নিয়ে হৃদয়ে মাটি ও মানুষের প্রতিবেদন দেখেছিলেন, সেই থেকে মনে মনে উদ্যোগ নেন। তারপর তিনি নিজে থাইল্যান্ড, জাপানসহ বিভিন্ন দেশ ঘুরে দেখে এসেছেন কী করে ড্রিপ-ওয়াটার ইরিগেশন প্রক্রিয়ায় চাষাবাদ হয়। তিনি মালয়েশিয়ার ক্যামেরন হাইল্যান্ডস নামক স্থানে দেখেছেন প্রচুর বাংলাদেশি শ্রমিক এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছেন। সেখান থেকে দেখে অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি নিজের মতো শুরু করেছেন।

এ কার্যক্রমটিকে অনেক দূর এগিয়ে নেওয়ার জন্য নানাভাবে কাজও করছেন তিনি। বলছেন, গ্রিন হাউস কৃষির ক্ষেত্রে সার ও অন্য উপকরণগুলো যাতে বাইরে থেকে সহজে আমদানি করা যায়, সেজন্য সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। স্থাপনার এক বছরের মধ্যেই তার গ্রিন হাউসে ফসল উঠতে শুরু করেছে। তাই উপকরণ আমদানি সহযোগিতা দ্রুতই প্রয়োজন।

পাঠক! হৃদয়ে মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানের পক্ষ থেকে গত দেড় দশকের কৃষির বিবর্তন আমি তুলে ধরছি বিভিন্ন প্রতিবেদনের মাধ্যমে। বাংলাদেশ টেলিভিশনের আমার মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠান উপস্থাপনকাল হিসাব করলে নিবিড়ভাবে এ বিবর্তন দেখছি তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে। পৃথিবীর দেশে দেশে পরিবর্তিত ও আগামীর কৃষির বহুমুখী গবেষণা ও অনুশীলন দেখেছি। এখানে কৃষিপ্রধান বাংলাদেশও যে পিছিয়ে থাকবে না সেটিই স্বাভাবিক। বড় বড় শিল্পোদ্যোক্তার বিনিয়োগ আসবে আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর কৃষিতে। এর মধ্য দিয়ে কৃষির উত্কর্ষ অনেক গুণ বাড়বে। কিন্তু লক্ষ্য রাখার বিষয় হচ্ছে, এখানে আমাদের কৃষি ঐতিহ্য ও পারিবারিক কৃষির যে বুনিয়াদ তা কতটা টিকে থাকবে? খাদ্য নিরাপত্তার জন্য এ বুনিয়াদ রক্ষার দিকেও দৃষ্টি দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আগামী প্রজন্মের এ উন্নত গ্রিন হাউস কৃষিতে আমাদের দেশের সাধারণ কৃষকেরও যাতে অংশগ্রহণ থাকে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে রাষ্ট্রকে। তাহলেই কৃষির সঙ্গে সঙ্গে কৃষকের এগিয়ে যাওয়ার কথা বলতে পারব আমরা।

বিশ্বব্যাপী দ্রুত বাণিজ্যায়ন হচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশও পিছিয়ে থাকবে না। সময়ের প্রয়োজনে জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার সঙ্গেই এসেছে হাইটেক কৃষি। বড় বড় ব্যবসায়ীর এখানে বিনিয়োগের সুযোগ ও উত্সাহ তৈরি হয়েছে। কারণ ব্যবসায়ের প্রথম শর্ত বিনিয়োগ করে মুনাফাসহ ফেরত নেওয়া। আর বিনিয়োগমুখী বাণিজ্যিক কৃষি মানেই যান্ত্রিক ও প্রযুক্তিনির্ভর চাষব্যবস্থা। সময় মেপে বাণিজ্যিক উত্পাদন ও বাজার চাহিদা পূরণ করতে গেলে এর কোনো বিকল্প নেই। স্বাভাবিকভাবেই দেশের আবাদি খেতগুলোয় গড়ে উঠতে থাকবে বিশাল বিশাল কৃষি অবকাঠামো। প্রশ্ন হলো, কৃষকের অবস্থান থাকবে কোথায়? বাণিজ্যিক উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের কাছে কৃষক কি তার আবাদি জমি বিক্রি করে ভূমিহীন দিনমজুর হবে? আমরা দেখেছি গত তিন দশকে গাজীপুর, সাভার ও মুন্সীগঞ্জে নগরায়ণ এবং শিল্প কারখানা সম্প্রসারিত হয়েছে। বহু কৃষক তার আবাদি জমি বিক্রি করে দিনে দিনে ভূমিহীন দিনমজুরে পরিণত হয়েছে। কৃষি তার হাত থেকে চিরতরে বিদায় দিয়েছে। এটি আমাদের কৃষি ঐতিহ্যের জন্য এক অশনিসংকেত। আমাদের প্রত্যাশা, বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগমুখী কৃষিতে কৃষকের অংশীদারিত্ব থাক। একজন উদ্যোক্তা জমি কিনে বড় পরিসরে কৃষি উদ্যোগ গ্রহণ করলে সেখানে ভূমি মালিক কৃষকের সঙ্গে একটি চুক্তি তৈরি হোক। যার মধ্য দিয়ে কৃষকও প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হয়, কৃষি ঐতিহ্যও টিকে থাকে।

লেখক : মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।

            [email protected]

সর্বশেষ খবর