সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

ট্রেনের টিকিট নিয়ে হতাশা

ঈদ যাত্রায় ভোগান্তির আশঙ্কা

বন্যায় সড়কপথে যোগাযোগ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যে কারণে ট্রেনের টিকিটের চাহিদা বেড়েছে ঈদে ঘরমুখো মানুষের মধ্যে। গত তিন দিনে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে বিরাজ করছে ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই অবস্থা। কমলাপুর রেলস্টেশনে অগ্রিম টিকিটের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে লাইন দিয়েও অনেকেই তা সংগ্রহ করতে পারেননি। বন্যায় সড়কপথের পাশাপাশি রেলপথেরও ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রেলপথগুলো দ্রুত মেরামত করে তা চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা চলছে জোরেশোরে। যে কারণে ঈদুল আজহায় ঘুরমুখো মানুষ সড়কপথের চেয়ে রেলপথের প্রতি বেশি আস্থা রাখছে। তবে ট্রেনের ধারণক্ষমতার চেয়ে টিকিট প্রত্যাশীদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেককে কাউন্টার থেকে ফিরতে হচ্ছে হতাশ মুখে। ঈদ উপলক্ষে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করলেও তা কোনো সুখবর বয়ে আনতে পারছে না। টানা বৃষ্টি ও বন্যায় সড়কপথের অবস্থা এতটাই বেহাল যে দূরপাল্লার রুটে বাস চলাচলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ এমনকি তিনগুণ সময় লাগছে। ঈদের আগে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে। কারণ সে সময় যানবাহনের ভিড় অন্তত দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। এ বছর ট্রেনের টিকিট যাতে কালোবাজারি না হয় সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষীয় সতর্কতা ছিল লক্ষ্য করার মতো। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাদা পোশাকের সদস্যরাও ছিলেন সজাগ। তারপরও কালোবাজারির ঘটনা এড়ানো যায়নি। তবে এ ব্যাপারে অভিযোগ অন্যান্য বারের চেয়ে কম। কালোবাজারি বন্ধে গত তিন দিনে একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। ঈদ যাত্রায় সড়ক পথের চেয়ে রেলপথের অবস্থা কিছুটা ভালো হলেও উপচে পড়া ভিড়ের জন্য ট্রেন যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচলের সুযোগ পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বিনা টিকিটের যাত্রীরা যাতে ট্রেনে উঠতে না পারেন সে ব্যাপারে নজরদারির তাগিদ দিয়েছেন অনেকে। আমরা আশা করব এ বিষয়টির ওপর বিশেষভাবে নজর দেওয়া হবে। ঈদ উপলক্ষে রেলকর্মীরা যাতে পকেট ভরার উৎসবে মেতে না ওঠেন সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়। সময় মতো ট্রেন ছাড়া ও ট্রেন পৌঁছানোর নিশ্চয়তা বিধানেও কর্তৃপক্ষ সজাগ থাকবেন এমনটিও প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর