শিরোনাম
শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

চাল নিয়ে চালবাজি

বাজারে নজরদারি বাড়াতে হবে

চাল নিয়ে চলছে চালবাজি। দেশ যখন বন্যাদুর্গতদের পুনর্বাসনে ব্যস্ত, মিয়ানমার থেকে নতুন করে ৪ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর খাদ্য ও আশ্রয় নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে, তখন মুনাফাখোরেরা তাদের থাবা বিস্তারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ভারত চাল রপ্তানি বন্ধ করেছে এমন গুজব ছড়িয়ে চালের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। আশার কথা প্রধানমন্ত্রী মুনাফাখোর ও গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। সংসদে বলেছেন মানুষের খাদ্য নিয়ে কাউকে খেলতে দেওয়া হবে না। কেউ চাল মজুদ করে সংকট সৃষ্টির চেষ্টা চালালে তল্লাশি চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খাদ্যমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এ বছর ১ কোটি ৯১ লাখ টন বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। বন্যায় ২০ লাখ টন ফসল নষ্ট হয়েছে। দেশে দিনে ৮৫ হাজার টন চাল লাগে। এই হিসাবে গত চার মাসে ১ কোটি ২ লাখ টন চাল খরচ হয়েছে, আরও ১ কোটি টন চাল দেশে আছে। ট্যাক্স কমিয়ে দেওয়ার পর বেসরকারিভাবে ভারত থেকে ৬ লাখ টন চাল এসেছে। ভারত বাংলাদেশে চাল রপ্তানি তিন মাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে যে রটনা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। সরকার ইতিমধ্যে ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া থেকে চাল আনছে। মিয়ানমার থেকেও চাল আনার প্রক্রিয়া চলছে। সরকারি বিতরণব্যবস্থায়ও চালের কোনো সংকট নেই। চালের দাম বৃদ্ধির পেছনে যে কোনো যুক্তিসংগত কারণ নেই তা প্রধানমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট। এ কথা ঠিক, ভয়াবহ বন্যায় ফসলহানি হওয়ায় চলতি বছর দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় হুমকি সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থার মোকাবিলায় বিদেশ থেকে কয়েক কোটি মণ চাল আমদানি করা হয়েছে। আরও চাল আসছে। সামনেই আমন ধান ঘরে তুলবে কৃষক। চলতি বছর আমন মৌসুমে ২৭ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। ফলে দেশে খাদ্য সংকটের কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে চাল নিয়ে যারা চালবাজির অপচেষ্টা চালাচ্ছে তাদের কঠোর হাতে দমনের উদ্যোগ নিতে হবে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির বাস্তব ফলও দেখতে চায় দেশের মানুষ। সাধারণ মানুষের জীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে যেসব বিবেকবর্জিত অসৎ ব্যবসায়ী, তাদের দমনে বাজারে নজরদারি বাড়াতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর