শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বাড়ছে অপহরণ

দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনুন

রাজধানীসহ সারা দেশে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে অপহরণ ঘটনা। অপহরণের যারা শিকার তাদের একাংশের খোঁজ মিললেও অন্যাংশের ভাগ্য অজানাই থেকে যাচ্ছে। অপহরণের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে রাজধানী ঢাকায়। নরসিংদী, কক্সবাজারও এদিক থেকে এগিয়ে। রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার মানুষ অপহরণের শিকার হচ্ছে। অপহরণকারীরা অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রকাশ্যে অপহরণ করছে রাজধানীর রাজপথ থেকে। তারপর অপহৃতের ওপর নির্মম নির্যাতনের শব্দ শুনিয়ে স্বজনদের কাছে চাঁদা দাবি করছে। অপহরণকারীদের সহজ টার্গেটে পরিণত হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার শিশুরা। শিশু অপহরণ করে অভিভাবকদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় প্রায়শই ঘটছে। মুক্তিপণ না পেয়ে পাঁচ মাস আগে নাজমুল ও আকাশ নামের দুই শিশুর পেট কেটে ইট বেঁধে শীতলক্ষ্যায় ডুবিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। মালয়েশিয়া-লিবিয়াসহ বিভিন্ন দেশে প্রবাসীদের আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়ে স্বজনদের সে আর্তধ্বনি শুনিয়ে মুক্তিপণের টাকা আদায় করার ঘটনাও ঘটছে। সুসংবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের কারণে জননিরাপত্তা যেমন হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে তেমন বিঘ্নিত হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সুনামও। কারণ অপহরণকারী দলের সদস্যরা কখনো কখনো আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ঘটাচ্ছে অপহরণের ঘটনা। র‍্যাব বা ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয় দিয়ে অপহরণ বাণিজ্যে জড়িত থাকার দায়ে এ যাবৎ বেশ কিছু অপরাধী ধরাও পড়েছে। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর, বড় মাপে সরকারের। স্বভাবতই অপহরণের মতো জঘন্য অপরাধের ঘটনা বৃদ্ধি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শুধু নয়, সরকারের সুনামের জন্যও বিড়ম্বনা ডেকে আনছে। আমরা আশা করব এ অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেবেন। দুর্বৃত্তদের শিকড় উপড়ে ফেলার সব চেষ্টাই তারা করবেন।  অপরাধী চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় আনাকে তারা কর্তব্য হিসেবে বেছে নেবেন এমনটিও কাঙ্ক্ষিত।  এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তত্পর হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর