শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বর্জ্যে ভরাট হচ্ছে জলাশয়

এ যথেচ্ছতার অবসান কাম্য

দুই সিটি করপোরেশনের বর্জ্যে ভরাট হয়ে যাচ্ছে রাজধানীর নদ-নদী, খাল, লেক ও জলাশয়। নদী ও লেক বর্জ্যমুক্ত করতে একদিকে যেমন কোটি কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে তেমন পাল্লা দিয়ে চলছে বর্জ্য ফেলার প্রতিযোগিতা। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি এলাকায় প্রতিদিন আবর্জনা উৎপাদন হয় প্রায় ৭ হাজার টন। নানা জটিলতায় প্রতিদিনের বর্জ্য যথাসময়ে অপসারণ করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। ফলে রাজধানীর প্রায় সব এলাকায় ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকছে। বৃষ্টি হলে এসব আবর্জনা সরাসরি ড্রেনে চলে যাচ্ছে। অনেকে জেনেশুনেই ড্রেন ও নদ-নদীতে বর্জ্য ফেলছে। এসব বর্জ্যে রাজধানীর বিভিন্ন ডোবা-নালা ও নদী-খাল ভরাট হচ্ছে। যত্রতত্র ময়লা পড়ে থাকায় নগরবাসীকে নানা দুর্ভোগ সহ্য করতে হচ্ছে। ঢাকা দক্ষিণের ওয়ার্ডের বর্জ্য সরাসরি ফেলা হয় বুড়িগঙ্গার শাখা নদীতে। হাজারীবাগের কোম্পানিঘাট-সংলগ্ন শাখা নদীতে বর্জ্যের বিশাল স্তূপ গড়ে উঠেছে। সেকশন বেড়িবাঁধ থেকে কামরাঙ্গীর চর লোহার ব্রিজসংলগ্ন শাখা নদীর পাড়ে প্রতিদিন ডিএসসিসির গাড়িতে করে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। রাজধানীর লালবাগ, হাজারীবাগ, কামরাঙ্গীর চর এলাকার পাশ দিয়ে প্রবাহিত বুড়িগঙ্গার শাখা নদী সংশ্লিষ্ট এলাকার আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। সিটি করপোরেশনের গাড়িতে করে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে বেড়িবাঁধের ঢালে। রাজধানীর জলাশয়গুলোকে ভরাট ও দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে নদ-নদী, খাল ও লেকে বর্জ্য ফেলা বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে। রাজধানীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গতি সৃষ্টিও প্রাসঙ্গিকতার দাবিদার। যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার প্রবণতা রোধেও দুই সিটি করপোরেশনকে কঠোর হতে হবে। রাজধানীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাউন্সিলরদের জবাবদিহিতা থাকা উচিত। সন্দেহ নেই, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় লোকবল ও উপকরণের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে আন্তরিতার অভাব তার চেয়েও প্রকট। এসবের দায়িত্বে যারা নিয়োজিত তারা সক্রিয় হলে সমস্যার সমাধানে সুফল অর্জিত হবে। রাজধানী ঢাকার পরিবেশ রক্ষায় সিটি করপোরেশনকে

যেমন সক্রিয় হতে হবে তেমন গড়ে তুলতে হবে নাগরিক সচেতনতা।

সর্বশেষ খবর