শিরোনাম
সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

জনশক্তি রপ্তানি

গতি সৃষ্টির প্রবণতা আশাব্যঞ্জক

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে আবারও জনশক্তি রপ্তানি জোরেশোরে শুরু হওয়ার খবর নিঃসন্দেহে এক স্বস্তিকর ঘটনা। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানিতে দীর্ঘদিন ধরে বিরাজ করছিল স্থবিরতা। নানা সময়ে জনশক্তি রপ্তানিতে গতি আনতে দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে আলোচনা হলেও স্থবিরতা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। তবে এ ক্ষেত্রে বরফ গলেছে সম্প্রতি। মালয়েশিয়ার নিয়োগকারীরা বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২০ হাজার শ্রমিক নেওয়ার চাহিদাপত্র দিয়েছেন, যাদের মধ্যে ৭২ হাজার জনের ভিসা ইতিমধ্যে ইস্যু করা হয়েছে। এর মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ করে ৩৭ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক ইতিমধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন। ফ্লাইটের নির্ধারিত তারিখের জন্য অপেক্ষা করছেন আরও পাঁচ হাজার। বাকি ৬৮ হাজার শ্রমিকের ভিসা ইস্যুর প্রক্রিয়া চলছে। জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় নতুনভাবে জনশক্তি রপ্তানি শুরু হওয়ার ইতিবাচক দিক হলো এ ক্ষেত্রে শ্রমিকদের প্রতারিত হওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে। মালয়েশিয়া প্রথমবারের মতো জনশক্তি আমদানিতে বাংলাদেশকে সোর্স কান্ট্রি হিসেবে ঘোষণা করায় আসিয়ানভুক্ত এ দেশটি বিদেশে গমনেচ্ছুদের আগ্রহের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সে দেশে যাওয়া ও কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে আনুষঙ্গিক খরচ কমানো যায় কিনা সে ব্যাপারে দেন দরবার চলছে। বাংলাদেশের জন্য সুখবর হলো মালয়েশিয়ার পাশাপাশি সৌদি আরবেও জনশক্তি রপ্তানিতে অচলাবস্থা কাটছে। আরব আমিরাতের দিক থেকেও সবুজ সংকেতের আশা করা হচ্ছে। পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০০৮ সালে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী গিয়েছিলেন এক লাখ ৩১ হাজার। কিন্তু বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ২০১০ সালে সে দেশে যেতে পারেন মাত্র ৯০০ জন। ২০১২ সালে এই সংখ্যা আরও কমে আসে। পরে ২০১৫ সালে যায় ৩০ হাজার ৫০০ জন। ২০১৬ সালে শ্রমিক যায় প্রায় ৪০ হাজার। তবে চলতি ২০১৭ সালে তিন মাস বাকি থাকতেই আগের বছরের সংখ্যা পেরিয়ে ৪২ হাজার শ্রমিক গেছেন মালয়েশিয়ায়। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রাণভোমরার ভূমিকা পালন করছে। বিশ্ব অর্থনীতির মন্দাবস্থার কারণে জনশক্তি রপ্তানিতে ভাটা সৃষ্টি হওয়ায় এ ব্যাপারে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়ার ঘটনা তা কাটতে অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর