মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

একই রকম প্রণব মুখার্জি

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম

একই রকম প্রণব মুখার্জি

মনে হয় যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে। অন্যের কেমন হয় জানি না, কিন্তু আমার মনে হয়। তাই সব সময় শঙ্কায় থাকি, কোন কর্তব্য পালনে অবহেলা করলাম, কোথায় কোন ভুল করলাম। কী জবাব দেব পরম প্রভুর কাছে। ১৬ তারিখ নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিলাম। প্রধান নির্বাচন কমিশনার জিয়াউর রহমানকে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা বলায় তার সঙ্গে একমত হতে না পেরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সংলাপ বর্জন করেছে। অনেক বঙ্গবন্ধুপ্রেমী খুশি আবার জিয়াউর রহমানপ্রেমীরা বেজার। মনে হয় তারা আশা করেন তাদের মতো বিএনপি করি এবং বঙ্গবন্ধুকে গণতন্ত্রের হত্যাকারী, জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা বলি। আমি বিএনপি করি না। বিএনপির ওপর অত্যাচার হলে যেমন প্রতিবাদ করি, আওয়ামী লীগের ওপর অত্যাচার হলেও বেঁচে থাকলে অবশ্যই করব। কারণ আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, মানুষের সম্মানে বিশ্বাস করি। তা না হলে সত্য বলতে গিয়ে ক্ষমতাবানদের চক্ষুশূল হব কেন? সেদিন আমাদের সময়ে লিখেছিলাম, বর্তমান গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতাধর মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরপর কত জায়গায় তারস্বরে চিৎকার করে, ‘এক নেতা এক দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ স্লোগানকে ব্যঙ্গ করে বলেছেন, ‘এক নেতা এক দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, কয়েক গুলিতেই সব শেষ।’ খন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস ‘মুজিববাদ’ নামে বিশাল বই লিখেছিলেন। নেতারা এক নেতা এক দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ স্লোগান তুলেছিলেন। সেটাই ব্যঙ্গ করে মতিয়া চৌধুরী এসব বলতেন। ’৭৭-এ ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জে জিয়াউর রহমানের মাটি কাটা প্রোগ্রামে বেগম মতিয়া চৌধুরী অনেকবার গেছেন এবং অন্যান্য কথার সঙ্গে ওসব কথাও বলেছেন। তারা আজ কী ক্ষমতাধর! মুখে বঙ্গবন্ধুর কথা বলে ফেনা তোলেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হূদয়ে ধারণ করেন না।

মানুষ নিরহংকার না হলে প্রকৃত অর্থে অনেক বড় হয় না। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি যথার্থই একজন বড় মানুষ। কত বছর আমাদের পরিচয়, কিন্তু সম্পর্কে কোনো জোয়ার-ভাটা পড়েনি। আমরা একইভাবে চলেছি। নির্বাসনে থাকতে যখনই দিল্লি থাকতাম সকালে যেতাম তার বাড়িতে। সেটা যন্তর-মন্তর বা তালকাটরা রোডেই হোক। নিয়মিত রুটিন ছিল সকাল সাড়ে ৬টায় তার বাড়িতে যাওয়া এবং লনে বসে পেপার পড়া, সঙ্গে চা-বিস্কিট খাওয়া। আমি পেপার পড়তে গেলে তার নাকি ভালো লাগত, আমারও ভালো লাগত। কখনো কখনো জিজ্ঞাসা করতেন, ‘বাঘা! দিনের পর দিন আমরা পাশাপাশি বসে পেপার পড়ি, গল্প করি, চা-নাস্তা খাই, কর্মীদের নিয়ে তোমার কত কষ্ট, কিন্তু তবু যখন তখন তো এসব নিয়ে কথা বল না? এত ধৈর্য ধর কী করে?’ অনেক সময় তার প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতাম না। গল্প করেই কাটিয়ে দিতাম। কাজের কথা বলতে বিকালে অথবা দুপুরে অফিসে যেতাম, সুবিধা-অসুবিধার কথা আলাপ করতাম। প্রণবদা ভীষণ ভালো মানুষ। তার পরও তিনি অনেকটা আমাদের মতো নন। তিনি অনেক কিছু সহ্য করেন। আমাদের মতো ধমমত্বংংরাব হয়ে কোনো কাজে খুব বেশি ঝাঁপিয়ে পড়েন না। তিনি যে আমার মঙ্গল কামনা করেন সেটাই যথেষ্ট। সব সময় সবার কাছে শুধু পেতেই হবে এটা আমার কাম্য নয়। পাওয়া না পাওয়া ছাড়াও যে একটা আত্মিক সম্পর্ক থাকতে পারে প্রণবদার সঙ্গে আমার ব্যাপারটা তার উজ্জ্বলতর প্রমাণ। আসলে আগা-গোড়াই আমি একটু ভীতু। কারও কাছে তেমন বেশি কিছু আশা করি না। কেউ বিরক্ত হোক অযোগ্য-অপদার্থ ভাবুক অথবা স্বার্থপর-লোভী ভাবুক, তার আগে যেন আল্লাহ আমায় মৃত্যু দেন।

’৭৭-এর দিকে আমাদের যখন চরম দুর্দিন, মোরারজি দেশাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী। শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীকে একেবারে সহ্য করতে পারতেন না। ইন্দিরা গান্ধী আমাদের সহযোগিতা করেছেন বলে পিষে মারতে চেয়েছিলেন। চেষ্টাও করেছেন। সর্বোদয় নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণ আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল-সদয় না থাকলে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও ভারতে থাকতে পারতেন না। আমাদের অনেক নেতাকে দেশে ফিরে বীরউত্তম জিয়াউর রহমানের হাতে নিগৃহীত হতে হতো। সময় পার হলে অনেকেই পিছু ফিরে দেখে না। আমাদের দেশে গ্রাম্য প্রবাদ- ‘পার হয়ে ভুড়াকে লাথি’। বর্ষাকালে কলাগাছ কেটে ভুড়ায় চড়ে এ-বাড়ি সে-বাড়ি এপাড়-ওপাড় হয়ে বর্ষা শেষে সেই ভুড়ার কথা কেউ মনে রাখে না। বাড়ির পাশে আতরে-বাতরে পড়ে থেকে মাটির সঙ্গে মিশে যায়, কেউ খবর রাখে না। আমাদের অবস্থাও তেমন। কিন্তু কিছু মানুষ দেখেছি যারা অমন স্রোতের সঙ্গে মিশে গা ভাসিয়ে দেননি। আমাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন, সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। তার মধ্যে অন্যতম প্রধান সর্বোদয় নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণ। প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইর প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেজ। কেন যেন মন্ত্রী আমাকে ভীষণ গুরুত্ব দিতেন, সম্মান করতেন, সব সময় সাহায্য-সহযোগিতা করতেন। জয়প্রকাশজি কয়েকবার তাকে পাটনায় ডেকে আমাদের সহযোগিতা করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশ সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রীমতী সুষমা স্বরাজকে জর্জ ফার্নান্ডেজের বাড়িতে কতবার দেখেছি, কত কথা হয়েছে। জর্জ ফার্নান্ডেজ সব সময় সুষমা স্বরাজ সম্পর্কে উচ্চ ধারণা করতেন। আমাকে নিয়ে যেমন গর্ব করতেন, তেমনি সুষমা স্বরাজের ব্যাপারেও কত শতবার কত কথা বলেছেন। একসময় ভারতের প্রখ্যাত নেতা আবুল কালাম আজাদের ব্যক্তিগত সচিব অধ্যাপক হুমায়ুন কবিরের মেয়েকে জর্জ ফার্নান্ডেজ বিয়ে করেছিলেন। হুমায়ুন কবিরও মন্ত্রী হয়েছিলেন। আমাদের এই বঙ্গের মানুষ তিনি, তার মেয়েও খুব ভালো মানুষ। বাঙালির যে গুণ থাকে তা তার ছিল। তাই মাঝেসাঝে ভাবতে অবাক লাগে, আজ থেকে ৪০ বছর আগে ভারতে নির্বাসিত জীবনে কেমন ছিলাম এখন কেমন আছি, সৌভাগ্য না দুর্ভাগ্য বলতে পারব না। আশি-নব্বই দশকে যাদের সঙ্গে ওঠাবসা, তাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছিলেন না। এখনকার অনেক নেতার সঙ্গে পরিচয় ছিল না। তবে তখনকার নেতা প্রায় সবার সঙ্গেই পরিচয় এবং একটা বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। সেটা কোনো দলমতের বাচবিচার ছিল না। সেটা জনতা পার্টির সভাপতি চন্দ্রশেখর, মধু লিমাই, অশোক দণ্ডপাত, সুরেন্দ্র মোহন, অশোক সেন, অটল বিহারি বাজপেয়ি এমনকি লাল কৃষ্ণ আদভানি। উড়িষ্যার মুকুটহীন সম্রাট বিজু পট্টনায়েক, তার ছেলে উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক তার বাবার চেয়েও জনপ্রিয়। বিজু পট্টনায়েক আমার মতোই লম্বাচূড়া হওয়ায় কেমন যেন আপন ভাইয়ের মতো ব্যবহার করতেন। যত দিন ভারতে ছিলাম মূলত কংগ্রেসের পক্ষে প্রণবদাই দেখাশোনা করেছেন। কিন্তু একসময় এ বি এ গনি খান চৌধুরীকে আমাকে দেখতে ইন্দিরাজি দায়িত্ব দিয়েছিলেন। অসাধারণ এক মানুষ। ১২ নম্বর আকবর রোডে থাকতেন। তার ছোট ভাই আবু হাসেম খান চৌধুরী ডালু। তার মৃত্যুর পর কংগ্রেসের স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী হয়েছিলেন। কয়েক বছর আগে মন্ত্রী হিসেবে আমার বাবর রোডের বাসায় এসেছিলেন। তার বোন মৌসম বেনজির নূর লোকসভার সদস্য। সবাই যে কেমন যত্ন করতেন বলে বোঝাতে পারব না। বার বার বলতেন, ‘দিল্লি এলে আমার বাসায় উঠবেন।’ তার বাসায় উঠব কি, সরকারি ব্যবস্থা থাকলে বাইরে থাকা যায়? তাই তার বাসায় থাকিনি। কিন্তু গেলে না খেয়ে আসতে দিতেন না, ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্প করতেন। বোন ভাইদের ডেকে আমাকে নিয়ে গর্ব করতেন। নিরহংকার মানুষটার সঙ্গে মেলামেশা করে খুব ভালো লাগত। আমরা জোয়ার-ভাটার দেশের মানুষ। কিন্তু মুর্শিদাবাদের গনি খানের রাজনীতিতে কোনো জোয়ার-ভাটা ছিল না। জীবনে কোনো দিন ভোটে হারেননি। সাতবার লোকসভা, আটবার বিধানসভা অথবা আটবার লোকসভা, সাতবার বিধানসভায় নির্বাচন করেছেন। যখন পশ্চিমবঙ্গে লোকসভায় কংগ্রেসের মাত্র চারজন জয়ী হয়েছেন তখনো গনি খান বিজয়ী হয়েছেন। মরার আগে লোকসভার ভোটে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছিল, ‘খান সাহেব তো হাঁটতে চলতে পারেন না, ঘর থেকে বেরোতে পারেন না। তাকে ভোট দিয়ে কী হবে?’ মালদার জনগণ বলেছিল, ‘তিনি যতক্ষণ বেঁচে আছেন আমরা তাকেই ভোট দেব।’ গনি খানের মতো নিজের এলাকার মানুষের ভালোবাসা দেখিনি। আমাদের বহু লোক ভালোবাসে। কিন্তু অনেকে আবার গাল ফুলায়। কিন্তু গনি খানের ক্ষেত্রে কারও গাল ফুলা ছিল না। অসাধারণ এক মানুষ ছিলেন তিনি। বাঙালি হওয়ায় প্রণবদার মতো তিনিও অনেক কিছু হারিয়েছেন। কিন্তু ধৈর্যের দিক থেকে প্রণবদা তুলনাহীন। সবসময় তিনি আমার কল্যাণ কামনা করেছেন। তার স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জি আপন ভাইয়ের মতো দেখতেন। বয়স কত আর হবে, আমার থেকে তিন-চার বছরের হয়তো বড়। কেন যে চলে গেলেন। মাকে হারিয়ে যেমন অসহায়বোধ করেছি, দিদি চলে যাওয়ায় ঠিক একই রকম খারাপ লেগেছে। দিদির মৃত্যুসংবাদ আমি টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার পথে ভাঙ্গার কাছে পেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে তেমন কিছুই প্রত্যাশা করি না। শুভ্রাদির শেষকৃত্যে প্রধানমন্ত্রী ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে গিয়েছিলেন। কেন যেন সেদিন মনে হয়েছিল শুভ্রা মুখার্জি গীতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী আমাকে সঙ্গে নেওয়ার কথা চিন্তা করতে পারতেন। কারণ আজ যত কথাই হোক, আমার প্রিয় ভগ্নি দিল্লিতে অসহায়ভাবে পান্ডারা রোডের একটা উপসচিব পর্যায়ের বাড়িতে যখন ছিলেন তখন প্রণবদার স্ত্রী গীতা মুখার্জির সঙ্গে আমার গাড়িতে করেই ৭ নম্বর তালকাটরা রোডে প্রথম গিয়েছিলাম। সেই পরিচয় আজও আছে। কিন্তু দিদি নেই। তার শ্রদ্ধাঞ্জলিতে প্রণবদা নিজে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। দিল্লি যাওয়ার ২ ঘণ্টা পর তার সঙ্গে দেখা হয়। তিনি বলেছিলেন, ‘বাঘা! ভেবেছিলাম তুমি হাসিনার সঙ্গেই আসবে। তোমার দিদি শেষ পর্যন্ত একমুহূর্তও তোমাকে ভোলেনি। তোমার দিদি তার ছেলেমেয়েকে ভুলতে পারত, আমাকে ভুলতে পারত কিন্তু তোমাকে ভুলত না।’ পরদিন পাশে বসে খাইয়েছিলেন। একজন নিরাসক্ত মানুষ তবু তার চোখে পানি দেখেছি। জীবনে সেই একবারই কাপড়-চোপড় মিষ্টি-মাছ ছাড়া প্রণবদার সঙ্গে দিল্লিতে দেখা করতে গিয়েছিলাম। দেশে ফেরার পর যতবার দিল্লি গেছি ইলিশ মাছ, টাঙ্গাইলের চমচম ও শাড়ি সঙ্গে নিয়েছি। সোনিয়া গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কার জন্যও একবার শাড়ি নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু তারা দিল্লিতে না থাকায়, নির্বাচন ক্যাম্পিংয়ে কয়েক দিন বাইরে থাকায় তাদের সেবার সে শাড়ি দিতে পারিনি। ফিরিয়ে এনেছিলাম। মনে হয় যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে। তাই অনেক স্মৃতি মনে উঁকিঝুঁকি মারে। আমার অত্যন্ত প্রিয় পীর হাবিব দিল্লিতে। হঠাৎই ফোন পেলাম, তার সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছা। ২০ তারিখ ছিল দীপাবলি। বাংলাদেশসহ পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সম্প্রদায় অসম্ভব জাঁকজমক করে দুর্গাপূজা করলেও সারা ভারত দীপাবলিতে মেতে ওঠে। তাই পীর হাবিবকে বলেছিলাম, আগামীকাল ২০ অক্টোবর তোমাকে জানাব। সাড়ে ৮টার দিকে দাদাকে ফোন করেছিলাম। সেই আগের মতোই এক-দুই রিংয়ের পরেই—

— হ্যালো। বললাম,

— ঢাকা থেকে বাঘা বলছি।

— বাঘা কেমন আছো?

— ভালো আছি। আপনাকে দীপাবলির অনেক অনেক শুভেচ্ছা। তিনি বললেন, — তোমাকেও। নাসরীন কেমন আছে, ছেলেমেয়ে কেমন আছে? ওদেরও শুভেচ্ছা দিও। নিজে থেকে বললেন, কলকাতায় আমার এক দাদা মারা গেছেন। আমি এখন বিমানবন্দরের পথে। বললাম,

— আমার এক প্রিয় সাংবাদিক দিল্লি গেছে। সে আপনাকে পেতে চায়। দিনটা ছিল শুক্রবার। বললেন, — আমি রবিবার বিকালে ফিরব। সোম-মঙ্গলবার থাকলে তুমি ফোন করো, দেখা হবে।

জীবনে কোনো দিন ফোন করে বিফল হইনি। তার মুখে ‘না’ শুনিনি। দিদি মারা যাওয়ার পর বড় একা হয়ে পড়েছেন। আঠার মতো লেগে থাকা যে কোনো ভালোবাসার মানুষ হারিয়ে বা চলে গেলে যা হয়, তারও হয়েছে। বাংলাদেশের কল্যাণকামী এক অসাধারণ মানুষ। যত দিন বাঁচুন সুস্বাস্থ্যে বাঁচুন— এমনটাই কামনা করি।

লেখক : রাজনীতিক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর