সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন

শান্তিপূর্ণ পরিবেশের বিকল্প নেই

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তির ২০তম বার্ষিকী উপলক্ষে বলেছেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় আছে বলেই পার্বত্য এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। রাস্তাঘাট গড়ে উঠেছে। সুষম উন্নয়নের অংশীদার হয়েছে পার্বত্য জনপদের বাসিন্দারা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শান্তিচুক্তির সিংহভাগ ইতিমধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকিটাও করা হবে। শান্তিচুক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভূমি বিরোধ। এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সহযোগিতা করলে বিষয়টির মীমাংসা হতে পারে। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২০তম বার্ষিকী উপলক্ষে গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাঙামাটি স্টেডিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানসহ বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের আন্তরিকতারই প্রতিফলন— যা প্রশংসার দাবিদার। দুই দশক আগে শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে। এ চুক্তির পরিণতিতে পার্বত্য এলাকার অস্ত্রধারী শান্তিবাহিনী অস্ত্র সমর্পণ করে দেশের মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। হানাহানির বদলে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে এই শান্তিচুক্তি। শান্তিচুক্তির বাস্তবায়নে সরকারের অঙ্গীকারবদ্ধ ভূমিকায় ঘাটতি না থাকলেও ভূমি বিরোধের সমাধানে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জিত হয়নি নানা জটিলতার কারণে। শান্তিচুক্তি সত্ত্বেও শান্তিবাহিনীর একাংশের ভিন্ন অবস্থান এক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের পক্ষ থেকে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতার ঘাটতি থাকায় সমস্যার গ্রন্থিমোচন সম্ভব হয়নি। পাহাড়িদের একাংশের আত্মঘাতী অবস্থান এবং শান্তিশৃঙ্খলা বিনাশী কর্মকাণ্ড শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করছে। পার্বত্য তিন জেলার শান্তিশৃঙ্খলা এবং উন্নয়নের স্বার্থে এ আত্মঘাতী তৎপরতায় লাগাম পরাতে হবে। পাহাড়ে বসবাসকারী পাহাড়ি-বাঙালি সবার নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার মনোভাব রপ্ত করতে হবে। বিভেদকামী শক্তিকে রুখতেও হতে হবে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর