সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

গৌরব যেন আর কলঙ্কিত না হয়

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)

গৌরব যেন আর কলঙ্কিত না হয়

বাঙালি জাতির জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ গৌরব ও অহংকার আমাদের সুমহান মুক্তিযুদ্ধ। আর সেই যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে, আমরা বিজয়ী হই, ডিসেম্বর মাস হয় আমাদের বিজয়ের মাস। দুই দিন আগেই ছিল ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ইতিমধ্যে বিজয়ের মাসের অর্ধেকেরও বেশি দিন পার হয়ে গেছে। তবে বিজয়ের আমেজ উৎসব থাকবে মাসজুড়ে। আনন্দ উৎসবের মধ্যে যে বিষয়টি বেদনার তা হলো এত বড় বিজয়ের ৪৬ বছরের মাথায় এসেও ১৯৭৫ সালের পরে নতুন করে আবির্ভূত হওয়া বড় এক রাজনৈতিক পক্ষ ও তাদের সহযোগী একাত্তরের পরাজিত গোষ্ঠী সুপরিকল্পিতভাবে বিজয়ের মাহাত্ম্যের ওপর কালিমা লেপন করেছে এবং এখনো সেই অবস্থানেই তারা অটুট আছে। একাত্তরের যুদ্ধক্ষেত্রের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র জয় বাংলা স্লোগানটিকে তারা স্বীকার করে না, উচ্চারণও করে না। মহান গৌরবগাথার দলিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে তারা স্বীকার করে না, সম্মানও দেখায় না। এমন উদাহরণ বিশ্বে একটাও পাওয়া যায় না। তারা জাতির পিতাকে মানে না, সম্মান করে না। জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতকে অবমাননা করেও ২০০১-২০০৬ মেয়াদে মন্ত্রী হয়েছেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং মুজাহিদ ও নিজামী। এত সব কলঙ্কের বোঝাকে পেছনে ফেলে ৪৬তম বিজয় দিবস শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের সব প্রান্তে, যেখানেই বাঙালি আছে, সেখানেই সবাই মিলে আনন্দ উৎসবের সঙ্গে লাল সবুজের পতাকার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছে এবং জয় বাংলা স্লোগানে স্লোগানে বাংলাদেশের সব প্রান্তকে মুখরিত রেখেছে। শ্রদ্ধা জানিয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি, যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না, এত বিশাল বড় গৌরবের অধিকারী আমরা কখনো হতে পারতাম না।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাঙালির হৃদয়ে যে রক্তিম লাল সূর্য প্রোথিত হয়ে আছে তার শক্তিকে কেউ দমন করতে চাইলে তারা কখনো সফল হবে না। গত ৪৬ বছরে এটি প্রমাণিত হয়েছে। এমন অনির্বাণ আত্মপ্রত্যয়ের সামনে একাত্তরের পরাজিত গোষ্ঠী, যুদ্ধাপরাধী ও তাদের আশ্রয়দাতা রাজনৈতিক পক্ষ আজ বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে সেই শুভ দিন আর বেশি দূরে নয়, যখন বাংলাদেশে এমন কোনো রাজনৈতিক পক্ষ থাকবে না, যারা মুক্তিযুদ্ধের গৌরবকে অবমাননা করে রাজনীতি করতে পারে। একাত্তরের বিজয় আমাদের যেমন বড় অর্জন, তেমনি এর জন্য ত্যাগের দৃষ্টান্তও তুলনাহীন। তাই এই প্রসঙ্গে আরেকটি কথা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি মনে করি শুধুমাত্র ৯ মাসের যুদ্ধের ফলে আমরা এই বিজয় অর্জন করেছি, তাহলে মারাত্মক ভুল হবে। এই যুদ্ধ ও বিজয় অর্জনের জন্য অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ধাপে ধাপে বহু আগ থেকেই একটার পর এক ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। হঠাৎ করে এত বড় একটা জনযুদ্ধ শুরু হতে পারে না এবং বিজয় অর্জনও সম্ভব হয় না। গত শতকের ষাট দশকের শুরু থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়েছে। তার আগে ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু হওয়া ভাষার জন্য সংগ্রাম, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে বাঙালির বিজয় ও তার করুণ পরিণতি, রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যবহার এবং পাঞ্জাবি কোটারি কর্তৃক বাঙালি সংস্কৃতিকে হিন্দুয়ানির অপবাদ ইত্যাদি ঘটনাবলি স্বাধীনতার পথে বঙ্গবন্ধুর উপলব্ধি সৃষ্টির উপাদান হিসেবে কাজ করেছে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েই ১৯৬৬ সালে ছয় দফা দেন। এটাই আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের ম্যাগনাকার্টা। সুতরাং সেই ১৯৪৮ সালে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের বাংলা ভাষার মর্যাদা দাবির শুরু থেকে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন পর্যন্ত ঘটে যাওয়া প্রত্যেকটি ঘটনা একই সুতায় গাঁথা। তাই বিজয়ের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্যের পূর্ণ স্বাদ পেতে হলে এবং রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের চলার পথে সঠিক পথনির্দেশনা পেতে চাইলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত, মোট ২৩ বছর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রামের প্রতিটি ধাপের যথার্থ মূল্যায়ন প্রয়োজন। তা না হলে খণ্ডিত মূল্যায়ন আমাদের পথভ্রষ্ট করবে। ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল ঘটনা অনাগতকাল ধরে এটা জাতির জন্য অফুরন্ত শক্তির ভাণ্ডার হিসেবে কাজ করে। এগুলোর সংরক্ষণ, পরিচর্যা ও প্রচার রাষ্ট্রের জন্য অপরিহার্য কাজ। কিন্তু এর ঠিক বিপরীত কাজ হয়েছে বাংলাদেশে একনাগাড়ে ২১ বছর, ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত। তারপর ২০০১-২০০৬ মেয়াদে এবং এখন তারা ক্ষমতার বাইরে থেকে সেই একই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের পর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে সামরিক আদেশ বলে বাহাত্তরের সংবিধান থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিশেষত্ব বহনকারী সব চিহ্ন মুছে ফেলেন। একটি উদাহরণ দিই। সংবিধানের একেবারে প্রথম তিন লাইনের মধ্যে প্রস্তাবনার আওতায় বাহাত্তরের সংবিধানে উল্লেখ করা হয়, ‘জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামের কথা। মুক্তি ও সংগ্রাম এই দুটি শব্দ এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জিয়াউর রহমান সামরিক আদেশের মাধ্যমে এ দুটি শব্দ বাদ দিয়ে দেন। মুক্তির স্থলে’ স্বাধীনতা এবং সংগ্রামের স্থলে যুদ্ধ শব্দ বসিয়ে দেন। জনমত, গণভোট, জনপ্রতিনিধিদের মতামত ব্যতিরেকে তড়িঘড়ি করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে সামরিক আদেশ বলে সংবিধানের এই মৌলিক জায়গায় পরিবর্তন তিনি কেন করলেন তার কোনো ব্যাখ্যা জিয়াউর রহমান নিজেও দেননি, আজ পর্যন্ত বিএনপিও দেয়নি। শুধুমাত্র জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত বদলের জন্য এত সংগ্রাম আর ত্যাগ স্বীকার করার প্রয়োজন ছিল না। রাষ্ট্রের মৌলিক চরিত্রে গুণগত পরিবর্তন আনাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। আর এর জন্য স্বাধীনতার পর সব ধরনের সাম্প্রদায়িকতা থেকে জনগণ ও রাষ্ট্রকে মুক্ত রাখার জন্য সংবিধানের মৌলিক নীতিতে ধর্মনিরপেক্ষতাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গণতন্ত্র, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও সমাজতন্ত্র, এই তিন মৌলিক নীতির কোনোটাই পরিপূর্ণ হয় না, যদি পূর্ণমাত্রায় অসাম্প্রদায়িকতা প্রতিষ্ঠিত না হয়। সে জন্য ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ব্যবস্থা অপরিহার্য। কিন্তু সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতার সঙ্গে প্রস্তাবনা থেকে মুক্তি শব্দটি বাদ হয়ে যাওয়ার ফলে নতুন প্রজন্মের জানার সুযোগ থাকে না কি জন্য এবং কিসের থেকে বাঙালিরা সেদিন মুক্ত হতে চেয়েছিল। বাঙালিদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানিরা সব অন্যায় ও অপকর্ম করেছে ধর্মের দোহাই দিয়ে, ধর্মীয় রাজনীতির সুযোগ নিয়ে। ধর্মনিরপেক্ষতা সংবিধান থেকে বাদ দেওয়ার কারণেই জামায়াত, মুসলিম লীগসহ উগ্রসাম্প্রদায়িক রাজনীতি বাংলাদেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। অর্থাৎ যার থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য এত ত্যাগ ও সংগ্রাম, সেই অপশক্তির অশুভ চক্রের মধ্যে বাংলাদেশ আবার শৃঙ্খলবদ্ধ হয়ে পড়ে। তাই একাত্তরের বিজয়ও হয়ে যায় অর্থহীন। আড়ম্বরতাপূর্ণ মুখের বুলির মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। বাস্তবে রাষ্ট্রীয় চরিত্র আবার পাকিস্তানের মতো হয়ে যায়। দ্বিতীয়ত, সংগ্রাম শব্দটি বাদ দেওয়ার ফলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের সংগ্রামের সব গৌরবোজ্জ্বল ঘটনাবলি এবং পাকিস্তানিদের অপকর্ম বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে আড়াল করার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়। ফলে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে। আর এই সুযোগটি নেয় সুযোগ সন্ধানী বুদ্ধিজীবী মহল, যারা জেনারেল জিয়ার লেজুড় হয়ে মুক্তিসংগ্রামের সব ইতিহাস বিকৃত করার জন্য মাঠে নামে। এদের পাল্লায় পড়ে জিয়াউর রহমান জয় বাংলা স্লোগানকে ছুড়ে ফেলে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ এবং বাঙালি সংস্কৃতিপ্রসূত বাঙালি জাতীয়তাবাদকে বাদ দিয়ে আজব এক বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবর্তন করেন। এই অতি উৎসাহী বুদ্ধিজীবীদের বিকৃতি শেষমেশ এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, ওইসব বুদ্ধিজীবী জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বানিয়ে ছাড়ে, যেটি জীবিতকালে জিয়া নিজেও করেননি। তোষামোদকারী ও মোসাহেবদের কাজ যুগে যুগে এমনই হয়েছে, সুযোগ-সুবিধা আদায় করার জন্য তারা প্রভু রঞ্জনের সীমা ভুলে যান। ইংরেজ ঐতিহাসিকদের হাতে ভারতের যে ইতিহাস বিকৃত হয়, সে সম্পর্কে একবার পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু মন্তব্য করেছিলেন, ‘ব্রিটিশ শাসকরা ভারতবর্ষ ২০০ বছর ধরে শাসন করেছে, তাতে যতটা ক্ষতি হয়নি, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ব্রিটিশ ঐতিহাসিকরা যেভাবে ভারতের ইতিহাস ও জাতীয় চরিত্রের বিকৃতি ঘটিয়েছে, তাতে।’ আজকের বাংলাদেশ সম্পর্কেও এই কথাটি সত্য। জিয়াউর রহমানের মতো বীরউত্তম খেতাবধারী একজন মুক্তিযোদ্ধার হাত দিয়ে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত কাজ কেন শুরু হলো তার উত্তর আজও পাওয়া যায়নি। এই উত্তর না পাওয়া এবং বাংলাদেশের মানুষ সেটি উপলব্ধি না করা পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশ থেকে কালো মেঘ কখনো দূর হবে না। বাংলাদেশের রাজনীতি এই ঘোরের মধ্যে পড়ে থাকায় সংকটের সময় তার শেকড়ের সন্ধানের পরিবর্তে ডালপালা নিয়ে সবাই ব্যস্ত হয়, তাতে সংকটের কোনো স্থায়ী ও টেকসই সমাধান হয় না, হচ্ছে না। ১৯৭৮ সালে পূর্ব-পাকিস্তান পুনরুদ্ধার আন্দোলন জারি রেখে জামায়াত প্রধান গোলাম আযম বাংলাদেশে প্রবেশ করলেন জিয়াউর রহমান সরকারের অনুমতি নিয়ে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বানচাল করার সংগ্রামেরত একজন চিহ্নিত একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীকে পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার জন্য অনুমতি প্রদানের কি কারণ থাকতে পারে? যে কারণই থাকুক না কেন, গোলাম আযমকে কেন বলা গেল না যে, বাংলাদেশে প্রবেশ করতে হলে পূর্ব-পাকিস্তান পুনরুদ্ধার আন্দোলন বাতিল করতে হবে। একটা দেশের স্বাধীনতা বানচাল করার সংগ্রামে অটল থাকা অবস্থায় তাকে ওই দেশে প্রবেশ করার অনুমতি প্রদান বিশ্বে কখনো দেখা যায়নি, আগামীতে বোধহয় দেখা যাবে না। কিন্তু বাংলাদেশে সেটা ঘটেছে ১৯৭৮ সালে। রাজাকার শিরোমণি শাহ আজিজুর রহমান, যুদ্ধাপরাধী আবদুল আলিম ও মাওলানা আবদুল মান্নান জিয়া সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী হলেন। এসব ঘটনা আমাদের বিজয়কে মহিমান্বিত করেছে, নাকি কলঙ্কিত করেছে? রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও মর্যাদার প্রতীক তার জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত। প্রকাশ্যে এগুলোর প্রতি কটাক্ষ ও অবমাননাকর উক্তি করার পরেও যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ২০০১-২০০৬ মেয়াদে তার গাড়িতে জাতীয় পতাকা লাগানোর সুযোগ পেয়েছে। আমরা বিজয়ী জাতি। এ কথা বুক উঁচু করে বলতে আমরা গর্ববোধ করি। এটি আমাদের জাতীয় অহংকার। বিগত দিনে এই গর্ব ও অহংকার কীভাবে কলঙ্কিত হয়েছে— তার মাত্র সামান্য কয়েকটি বর্ণনা আজ বিজয়ের মাসে সবার স্মরণের জন্য তুলে ধরলাম। বিজয়কে অর্থপূর্ণ করতে হলে সমগ্র জাতিকে শপথ নিতে হবে যাতে আগামীতে এমন ঘটনা আর কখনো ঘটতে না পারে। সে সুযোগ যেন কেউ না পায়।

লেখক : কলামিস্ট ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

[email protected]

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর