রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

অবৈধ স্থাপনা নীলা মার্কেট

দখলদারদের আইনের আওতায় আনুন

পূর্বাচলে স্টেডিয়ামের জন্য নির্ধারিত জায়গা দখল করে শতাধিক দোকানপাটসংবলিত নীলা মার্কেট গড়ে উঠেছে রাজউকের চোখের সামনেই। দখলবাজদের হাত থেকে স্টেডিয়ামের জায়গা উদ্ধারে বার বার চেষ্টা করা হলেও তা কোনো কাজে আসছে না। প্রতিবারই উচ্ছেদের পরপরই দখলবাজরা আবারও মার্কেট বসিয়ে নিজেদের ক্ষমতার জানান দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্লাবের নামে চালানো হচ্ছে দখলদারিত্বের সব কর্মকাণ্ড। সরকারি দলের গায়ে সে কলঙ্ক লাগলেও অজ্ঞাত কারণে তাদের নীরবতা দুর্ভাগ্যজনক। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে এ বিষয়ে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তাতে সংশয় হয় দেশে কোনো কর্তৃপক্ষ আছে কিনা। অভিযোগ উঠেছে, দখলবাজরা পরস্পরের মধ্যে আইনি জটিলতা বাধিয়ে মামলা-মোকদ্দমা সৃষ্টির চক্রান্ত চালাচ্ছে। মসজিদ-মাদ্রাসা-স্থাপনা বানিয়ে স্টেডিয়ামের জায়গা স্থায়ীভাবে দখলের জন্য চলছে পাঁয়তারা। নীলা মার্কেটের পাশের কিছু প্লট দখল করে বিনোদনের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ বিনোদনের স্থাপনা। বালু নদ ঘেঁষে ছোট ছোট খুপরি ঘর বানিয়ে তরুণ-তরুণীদের আড্ডাস্থল হিসেবে সেগুলো বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ফাস্টফুডের আড়ালে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। অবৈধ নীলা মার্কেটে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে দোকানপাটের পজিশন বিক্রি করেছে দখলবাজরা। তাদের পেছনে রাজনৈতিক সমর্থন থাকায় রাজউক বা আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষগুলো অসহায় হয়ে পড়েছে। তাজ্জবের বিষয় হলো, স্থানীয় সংসদ সদস্য অবৈধভাবে স্থাপিত নীলা মার্কেট উচ্ছেদে সহায়তার বদলে তা উচ্ছেদ না করে অনুমোদন দেওয়ার আবেদন করেছেন রাজউক বরাবর। রাজউক সে আবেদনে সাড়া না দিলেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিপক্ষে সংসদ সদস্য অবস্থান নেওয়ায় বিব্রত অবস্থায় পড়েছে। নীলা মার্কেট ঘিরে অসামাজিক কার্যকলাপের পাশাপাশি জুয়া ও মাদকের রমরমার প্রসার পুরো এলাকার পরিবেশ বিষিয়ে তুলেছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে রাজউক অবৈধ দখলদারিত্বের উচ্ছেদ চাইলেও তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশের যোগসাজশ রয়েছে দখলদারদের সঙ্গে। অবৈধ দখলদারিত্বের অবসানে এ যোগসাজশের অবসান ঘটাতে হবে। পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে যে সমাজবিরোধীরা সরকারি প্রকল্পের সর্বনাশ ডেকে আনছে তাদের আইনের আওতায় নিতে হবে।

সর্বশেষ খবর