বুধবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা

ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে অবদান রাখুক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এগিয়ে নিতে নতুন নতুন বাজার খোঁজার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। গত সোমবার বছরের প্রথম দিনে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনকালে বহির্বিশ্বে বর্তমান সরকারের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের উদ্যোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, এ উদ্দেশ্যে আরও ১২টি দেশে নতুন দূতাবাস ও ১৭টি মিশন খোলা হয়েছে। সেসব দেশের অ্যাম্বাসাডর, হাইকমিশনারদের ডেকে ওয়ার্কশপ করে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার এবং দেশে বিনিয়োগ কীভাবে বাড়ানো যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বিশ্বের ৪৬তম বৃহত্তম অর্থনীতি। গত অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.২৮ শতাংশ। এখন আমদানি ব্যয়ের ৭৫ শতাংশ অভ্যন্তরীণ আয় থেকে মেটানো হচ্ছে। মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৬১০ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। অর্থনীতি ও আর্থ-সামাজিক বেশির ভাগ সূচকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বব্যাংকের মতে, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে একই সঙ্গে উন্নয়ন ঘটানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রীতিমতো বিস্ময় সৃষ্টি করেছে। ‘প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপার্স’ বলেছে, ‘নেক্সট ইলেভেনে’র প্রথমে থাকা বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০৫০ সালে পশ্চিমা দেশগুলোকেও ছাড়িয়ে যাবে। বাণিজ্য মেলা উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা তাৎপর্যের দাবিদার। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে বিশেষ কোনো পণ্যের ওপর নির্ভরশীল না থেকে বাজারে বেশি বেশি পণ্যের সমাবেশ ঘটাতে হবে। বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার ধরে রাখতে পণ্যের মানোন্নয়নে নজর দিতে হবে। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মনে রেখে পণ্য উৎপাদনে ব্রতী হতে হবে। নতুন বাজার খোঁজার মাধ্যমে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটাতে হবে। স্মর্তব্য, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় এ বছর বাংলাদেশ ছাড়াও অনেক দেশ অংশ নিচ্ছে। আমরা আশা করব, বাণিজ্য মেলার মাধ্যমে দর্শকরা যেমন দেশি-বিদেশি পণ্য সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন, তেমন দেশের পণ্য বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রেও এ মেলা অবদান রাখবে।

সর্বশেষ খবর