১৫১৯ খ্রিস্টাব্দে হুসাইন শাহ দীর্ঘকাল সগৌরবে রাজত্ব করার পর গৌড়ে প্রাণ ত্যাগ করেন। মৃত্যুর পর তার পুত্র নসরত শাহ সিংহাসনে আরোহণ করেন (১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ)। তিনি সিংহাসনে আরোহণ করে ভাইদের ভাতা ও মর্যাদা বাড়িয়ে দিলেন। নসরত শাহ পিতার গুণাবলির অধিকারী ছিলেন এবং রাজনৈতিক সমস্যা সম্পর্কে তার পুরোপুরি ধারণা ছিল। পিতার আমলে তিনি শাসনকার্যে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন, তা পরবর্তীকালে রাজ্যশাসনে ও রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে তাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছিল। নসরত শাহের সিংহাসন আরোহণের প্রায় দুই বছরের মধ্যে দিল্লির লোদি সাম্রাজ্যের পতন শুরু হলে বিহারের সুলতান দরিয়া খান লোহানি বিহারে ‘লোহানি রাষ্ট্র’ স্থাপন করেন (১৫২২ খ্রি.) এবং জৌনপুর থেকে পাটনা পর্যন্ত এক বিরাট অঞ্চলে স্বাধীনভাবে রাজত্ব করতে থাকেন। নসরত শাহ এই বিদ্রোহীদের সঙ্গে মিত্রতা স্থাপন করে নিজের শক্তি বৃদ্ধি করলেন। অতঃপর তিনি ত্রিহুত স্থাপন করে উত্তর বিহার স্বীয় অধিকারে আনলেন এবং তার শ্যালক মকদুম-ই-আলমকে ওই অঞ্চলের শাসনকর্তা নিযুক্ত করলেন। গণ্ডক ও গঙ্গা নদীর সঙ্গমস্থল হাজীপুরে তিনি একটি সামরিক দুর্গ স্থাপন করে নিজ রাজ্যের নিরাপত্তা বিধান করেন।
শাকিল জাহান।